টেট। প্রতীকী ছবি।
প্রিয় ছাত্রছাত্রীবৃন্দ, কেমন আছো সবাই? আশা করি সকলেই ভাল আছো। টেট যে একদম দরজায় এসে কড়া নাড়ছে একথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। যাক এই গত কয়েকদিনে নিশ্চয়ই বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ক্লাস, বই, প্র্যাক্টিস সেট, মক সেটের সাহায্যে আশা করি নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছো অনেকটাই। এবার শুধু পরীক্ষা হলে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় ঠিক মতো উত্তর করে আসাই একমাত্র লক্ষ্য।
গত দুই লেখায় তোমাদের বলে ছিলাম কী ভাবে পরিবেশবিদ্যার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট ভাবে প্ল্যান করবে এবং সিলেবাসে থাকা কন্টেট অংশটি থেকে কী কী বিষয়ের উপর ভীষণ রকম জোর দেবে। আজকে এই শেষ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কথা বলবো সিলেবাসে থাকা পেডাগজি অংশটি নিয়ে। যেখান থেকেও ১৫ টি প্রশ্ন আসার কথা। পরীক্ষার্থীদের একাংশ এই পেডাগজি অংশটি নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। কী প্রশ্ন আসবে, কেমন ভাবেই বা তার উত্তর করবে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তোমরা ভাবছ। অনেকে হয়তো বিষয়গুলি খুঁটিয়ে পড়েও ঠিক স্বস্তি পাচ্ছ না। দেখ, প্রথমেই একটা কথা বলি এই পেডাগজি অংশটি এমনই যেখান থেকে প্রশ্নগুলি সঠিকভাবে পারার জন্য বোধমূলক দক্ষতা থাকা বাঞ্ছনীয়। একটি ক্লাসরুম ঠিক কী রকম হয়, সেখানে একজন আদর্শ শিক্ষকের উপযুক্ত শিক্ষণের উদ্দেশ্যে কী কর্মনীতি গ্রহণ করা উচিত তা সঠিক ভাবে রপ্ত করতে পারলে, বলা বাহুল্য অনুভব করতে পারলে তবেই এই অংশটি থেকে সঠিকভাবে উত্তরগুলি তোমরা করে আসতে পারবে। নতুবা, শুধু মুখস্থবিদ্যার উপর ভর করে উপযুক্ত লাভের লাভ নাও হতে পারে।
এবার আসি আসল কথায়। এই সময়ে দাঁড়িয়ে নতুনভাবে আর কিছু তৈরি না করতে যাওয়াই ভাল। তাতে করে যা পড়েছ এতদিন সেগুলো গুলিয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই যতটুকু পারছ বারবার করে যা পড়ে এসেছ সেইগুলিকেই রিভিশন দাও এবং তার সঙ্গে সিটেট-এর মতো পরীক্ষাগুলির বিগত বছরের প্রশ্নগুলিকে বার বার অনুশীলন কর।
তবুও তোমাদের কারোর কারোর মন হয়তো সাজেশন চায়। তাই বলি সিলেবাসে থাকা যে অংশগুলিকে আগামী কয়েকঘন্টার মধ্যে দেখে নাও ভাল করে সেগুলি হল—
১. পরিবেশ শিক্ষার তাৎপর্য
২. পরিবেশ পাঠের শিক্ষণ নীতি বা লার্নিং প্রিন্সিপালস
৩. পরিবেশবিদ্যা শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতিসমূহ
৪. লেসন প্ল্যান তৈরির বিভিন্ন পদ্ধতি
৫. পরীক্ষামূলক পদ্ধতি এবং হাতে কলমে পরিবেশ শিক্ষা
৬. সিসিই বা কন্টিনিউয়াস এবং কম্প্রিহেন্সিভ এভ্যালুয়েশন
৭. শিক্ষাদানের উপকরণসমূহ
৮. পরিবেশ শিক্ষায় ইনফরমেশন এবং কমিউনিকেশন টেকনোলজির প্রভাব
এইগুলি দেখে গেলেই আশা করছি তোমরা কমন পেয়ে যাবে। আর সবশেষে যে কথাগুলি বার বার মনে করিয়ে দেব— পরীক্ষাহলে খুব খুব ঠান্ডা মাথায় যাবে। পর্ষদ থেকে বলে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে চেষ্টা করবে। অবশ্যই নিজের কোনো একটি ফটো আইডেন্টিটি কার্ড যেমন আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড বা প্যান কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স যা তোমার সঙ্গে আছে তা নিতে ভুলবে না। সঙ্গে নিজের ব্ল্যাক বলপয়েন্ট পেন রাখবে একটি বা দুটি। সঠিক ভাবে নির্দেশ মেনে ও এম আর শিট পূরণ করবে। কারণ একবার ভুল হলে কিন্তু কোনোভাবেই আর কেন্দ্র থেকে সেটি বদলে দেবে না, বা তোমরা সেগুলি সংশোধনের সুযোগ পাবে না। কোনো বিষয় যদি পূরণ করতে গিয়ে অসুবিধা হয় তবে অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রের সহায়তা ছাড়া পূরণ করবে না। এতে তোমার ও.এম.আর বাতিল হতে পারে। আর নিজের দু’কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিও সঙ্গে রেখ। সবাই ভাল ভাবে পরীক্ষা দিও, খুব ভাল হবে তোমাদের পরীক্ষা। আমাদের সকলের তরফ থেকে তোমাদের জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা।
এই প্রতিবেদনটি ‘রাইস এডুকেশন’-এর পক্ষ থেকে টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে সংকলিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy