পশ্চিমবঙ্গের সেট পরীক্ষা সংগৃহীত ছবি
শিক্ষক-শিক্ষিকার মতোই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনেকেরই। তার জন্য রাজ্যস্তরে যে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের পাশ করতে হয় তা হল, স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট বা সেট পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন। এই বছর ১৬ অগস্ট পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.wbcsconline.in/)-এ এই পরীক্ষায় আবেদন জানানোর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে এবং আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। ৮ জানুয়ারি, রবিবার এই পরীক্ষাটি নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
১. জেনারেল ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরীক্ষার্থী ,যাঁরা ইউজিসি দ্বারা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজ থেকে মাস্টার্সে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে এসসি,এসটি, পিডব্লিউডি,তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলেই হবে।
২. যাঁরা মাস্টার্স বা সমতুল বিষয়ে পড়াশোনা করে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন এবং রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছেন অথবা যাঁদের চূড়ান্ত পরীক্ষার দিন কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছে, তাঁরা তখনই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য নির্বাচিত হবেন যখন তাঁরা মাস্টার্সে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করবেন (জেনারেল ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে) বা ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করবেন (এসসি,এসটি, পিডব্লিউডি,তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে)। সেট পরীক্ষায় পাশের দু'বছরের মধ্যে তাঁদের এই কোর্স নির্দিষ্ট নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে।
ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রদত্ত স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা/ শংসাপত্র প্রাপ্ত প্রার্থী বা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়/ ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত বিদেশি ডিগ্রি/ ডিপ্লোমা/ শংসাপত্র ইউজিসি দ্বারা প্রদত্ত মাস্টার্স ডিগ্রির সমতুল হতে হবে।
বিষয়গত যোগ্যতা
পরীক্ষার্থীরা মাস্টার্স যে বিষয়ে করেছেন,সেই বিষয়েই সেট পরীক্ষা দিতে পারবেন। বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ সেটের বিষয়সূচির আওতাভুক্ত না হলে তাঁরা ইউজিসি নেট বা সিএসআইআর নেট পরীক্ষায় বসতে পারেন।
ব্যতিক্রম
১.যাঁদের পিএইচডি ডিগ্রি আছে তাঁদের মাস্টার্স পরীক্ষা ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ এর আগে শেষ হলে তাঁদের সেট পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে মাস্টার্স পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলেই হবে।
২. তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের এসসি,এসটি, পিডব্লিউডি প্রার্থীদের মতোই আবেদনমূল্যে ছাড় মিলবে এবং পরীক্ষা পাশের জন্য ‘কাট অব নাম্বার’-এর ক্ষেত্রে এসসি,এসটি, পিডব্লিউডি, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরীক্ষার্থীদের থেকেও এঁদের কম ‘কাট অব নাম্বার’ ধার্য করা হবে।
বয়ঃসীমা
সেট পরীক্ষায় আবেদন জানানোর জন্য বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা রাখা হয়নি।
আবেদনমূল্য
যেহেতু অনলাইন মাধ্যমেই আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে, প্রার্থীরা আবেদনমূল্য ক্রেডিট কার্ড/ ডেবিট কার্ড/ ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডে আবেদনমূল্যের উপর অতিরিক্ত ১.২ শতাংশ টাকা এবং প্রযোজ্য জিএসটি দিতে হবে এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ে প্রতিটি লেনদেনে অতিরিক্ত ১০ টাকা ও প্রযোজ্য জিএসটি দিতে হবে।
আবেদনমূল্য জেনারেল প্রার্থীদের জন্য ১২০০ টাকা,এসসি,এসটি, পিডব্লিউডি,তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ৩০০ টাকা এবং অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ও ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ৬০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
আবেদন প্রক্রিয়া
১. প্রথমেই পরীক্ষার্থীদের পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট- www.wbcsconline.in-এ যেতে হবে।
২. এখানে সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি পড়ে নিয়ে 'অ্যাপ্লাই নাও' অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৩. এর পর যাবতীয় তথ্য সঠিক ভাবে দিয়ে সমস্ত নথি আপলোড করতে হবে।
৪. তখনই আবেদনমূল্য জমা করে দিতে হবে।
৫. এর পর আবেদনপত্রটি জমা করে তার একটি প্রিন্ট আউট নিজের কাছে রাখতে হবে ভবিষ্যতের সুবিধার্থে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy