প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে বাংলার উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা সায়েন্সের পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফ থেকে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর ডেটা সায়েন্স, এআই এবং ফিউচারিস্টিক টেকনোলজি ট্রেনিং সেন্টার খুলতে চলেছে।
আধুনিক এই কেন্দ্রটি খোলা হচ্ছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট) সল্টলেকে। এখানে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের আধুনিক প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আয়োজন করা হবে কর্মশালার। উচ্চশিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ন্যাসকমের সঙ্গে এই ধরনের সেন্টার তৈরি ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম করার জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে।
উচ্চশিক্ষা দফতরের চিফ কো-অর্ডিনেটর অফিসার অম্লান চক্রবর্তী বলেন, “এই সেন্টারটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের আরও আধুনিক করা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা। দেশে-বিদেশে যে ভাবে রোবটিক সায়েন্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে এক ছাতার তলায় এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এখানেও তেমনই কেন্দ্র তৈরি করা।”
এ বছর ডিসেম্বর মাস থেকে অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে এই কেন্দ্রের কাজ শুরু হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ও এই সেন্টারের মাধ্যমে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এখানে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, বেসিক, ইন্টারমিডিয়েট ও অ্যাডভান্স লেভেল। স্কুল স্তরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা প্রাথমিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা সায়েন্স-এর প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। যাঁরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছেন তাঁরা ইন্টারমিডিয়েট-এর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন। আবার অনেকেই টেকনোলজির উপর স্নাতক বা স্নাতকোত্তর করে ফেলেছেন, তাঁদের জন্য অ্যাডভান্স রিসার্চ ওরিয়েন্টেড প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা থাকছে।
যাঁরা অন্য বিভাগের পড়ুয়া তাঁরাও এই সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। পড়ুয়াদের জন্য থাকছে বিশেষ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম যা পরবর্তীকালে তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রেও যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করবে বলে জানাচ্ছে সরকার। শিক্ষকদের জন্য ২০ থেকে ৬০ ঘণ্টার স্বল্পমেয়াদি প্রজেক্ট ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে। আর পড়ুয়াদের জন্য ৪০ ঘণ্টার স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকছে।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে ন্যাসকম-সহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্পসংস্থা এই কেন্দ্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে সেগুলি হল,মাইক্রোসফট, আইবিএম, ইন্টেল ইত্যাদি। যারা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে হাতে-কলমে শিক্ষা ও গবেষণারও ব্যবস্থা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy