নিজস্ব চিত্র।
সম্প্রতি উচ্চ প্রাথমিকের বহু চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে গিয়ে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই নিয়োগে যাতে কোনও বাধা না পড়ে, তা দূর করতে স্কুল পরিদর্শক ও জেলা স্কুল পরিদর্শকদের বললেন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমরা জেলা স্কুল পরিদর্শক এবং স্কুল পরিদর্শকদের স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র নিয়ে স্কুলে যোগদান করতে আসছেন, তাঁদের যেন হয়রানির শিকার না হতে হয়। প্রয়োজনে ওঁরা চাইলে গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হবে দফতরের তরফে।”
আর শিক্ষামন্ত্রীর এই বার্তার পরই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হল, যে ২৯ জন চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশপত্র পাওয়ার পরেও স্কুলে যোগদানের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল, তার সমাধান করা হয়েছে। এখনও চার জনের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। তারও দ্রুত সমাধান করা হবে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “এসএসসি ভুলগুলির বিষয়ে যা যা সংশোধন করার, তা করেছে। একই ভাবে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের উদ্যোগী হওয়া উচিত। শিক্ষা দফতরেরও উচিত ডিআইদের স্পষ্ট গাইডলাইন দেওয়া।”
চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, অসুবিধা নানাবিধ। যেমন, অনেক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালন কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সেই সব স্কুলে চাকরিপ্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র নিয়ে এলে তাঁদের নিয়োগপত্র দেবে কে? এ দিকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ম্যানেজিং কমিটির। আর এর ফলে চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না যোগ্য প্রার্থীরা।
যদিও শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট স্কুলে প্রধান শিক্ষক জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআইকে জানাবেন। ডিআই কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের অনুমোদন ক্রমে ওই প্রার্থীকে স্কুলে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেবেন। এখানে দেরি হওয়ার কথা নয়। আবার বেশ কিছু জায়গায় নতুন স্কুল। সেখানে কোনও প্রশাসক না থাকায় নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না চাকরিপ্রার্থীদের। সেখানে প্রার্থীদের বলা হচ্ছে, জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফ থেকে কোনও নির্দেশ আসেনি।
এ ছাড়াও সুপারিশপত্র প্রাপ্ত শিক্ষক যোগ দিতে গিয়ে দেখছেন, সেই স্কুলে আগেই বদলির মাধ্যমে ওই বিষয়ে কোনও শিক্ষক একই রোস্টারে রয়েছেন। এ ছাড়াও প্রার্থীর নামের বানান ভুল বা স্কুলের পিন কোডের ভুল ইত্যাদি তো রয়েছেই।
এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা বলেন, “প্রার্থীদের এবং বিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে যোগদানের ক্ষেত্রে যে অসুবিধের কথা জানা যাচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই দফতরের কাছে জানানো হয়েছে। যাতে সমস্যার সমাধানে দফতর দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই আশা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy