Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Pink Floyd

যুদ্ধ-দাঙ্গা-সন্ত্রাস: কবিতা আর গান যখন বাঁচার নিশান

সঙ্কট না থাকলে প্রতিবাদ থাকে না— এ কথা সত্য। আবার সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও অপ্রাসঙ্গিক নয় যে, গান গেয়ে আর কবিতা লিখে কি রুখে দেওয়া সম্ভব সঙ্কটকে?

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:৫২
Share: Save:

লন্ডনের এক জনসভায় ভিন্ন এক কারণে প্রতিবাদরত জনতার সামনে ভারতের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ রক সঙ্গীতশিল্পী রজার ওয়াটার্স। তরুণ ভারতীয় কবি আমির আজিজের কবিতা ‘সব ইয়াদ রাখা যায়েগা’-র ইংরেজি তর্জমা পাঠ করে ৭৬ বছর বয়সের রজার তিক্ত ভাষায় সমালোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইনের।

‘পিঙ্ক ফ্লয়েড’ নামের অধুনালুপ্ত ও একদা বিশ্ব কাঁপানো রক ব্যান্ডের অন্যতম মুখ ওয়াটার্সকে ‘প্রতিবাদী’ ও ‘অ্যাংরি ইয়ংম্যান’ হিসেবে পৃথিবী চেনে। তাঁর লিডারশিপে ‘পিঙ্ক ফ্লয়েড’-এর অ্যালবাম ‘ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন’, ‘দ্য ওয়াল’, ‘অ্যানিম্যালস’ বা ‘ফাইনাল কাট’ একের পর এক প্রতিবাদকে তুলে ধরেছিল। কখনও সেই প্রতিবাদ ছিল ১৯৭০ দশকের ঠান্ডা লড়াইয়ের বিরুদ্ধে, কখনও রাষ্ট্রের চাপে দীর্ণ শৈশব, স্কুলজীবন এবং তাকে অতিক্রম করে ঝাঁকের কই হয়ে বেঁচে থাকার বিরুদ্ধে। ‘পিঙ্ক ফ্লয়েড’ কখনও এ সমস্ত কিছুকেই অতিক্রম করে প্রশ্ন করেছে অস্তিত্বের সঙ্কটকে।

তরুণ কবি আমির আজিজের এই কবিতা এখন বিশ্বমঞ্চে

মনে রাখতে হবে, এই গানের দলটির জন্ম ১৯৬৫ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি তখনও অনেকের মনেই জাগরুক, তার উপরে ভিয়েতনাম যুদ্ধের ছায়া তখন প্রলম্বিত। পৃথিবী দুই ক্ষমতা-শিবিরে বিভাজিত। ছায়া-যুদ্ধ আর হুমকির চাপে পিষ্ট হচ্ছে প্রায় সব দেশের মানুষ। এমতাবস্থায় শিল্পকলায়, বিশেষত কবিতা ও গানে ‘প্রতিবাদ’ এক প্রধানতম বিষয় হয়ে ওঠে। মনে রাখা প্রয়োজন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মার্কিন-সোভিয়েত ঠান্ডা লড়াইয়ের দশকগুলো ব্যেপে এই প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়। মনে রাখতে হবে, এই কালপর্বেই বব ডিলান তাঁর ‘ব্লোইং ইন দ্য উইন্ড’, ‘ট্যাম্বোরিন ম্যান’ রচনা করেন, জন লেনন ‘ইম্যাজিন’ লেখেন, অ্যালান গিন্সবার্গ ‘হাউল’ রচনা করেন। বাংলাতেও সেই কালপর্ব সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার কাল, সলিল চৌধুরীর ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা’-র যুগ।

প্রতিবাদী গানের তিন কিংবদন্তী। বাঁ দিক থেকে জন লেনন, বব ডিলান, পিট সিগার।

আরও পড়ুন: তবু, বন্ধ কোরো না পাখা​

সঙ্কট না থাকলে প্রতিবাদ থাকে না— এ কথা সত্য। আবার সেই সঙ্গে এই প্রশ্নও অপ্রাসঙ্গিক নয় যে, গান গেয়ে আর কবিতা লিখে কি রুখে দেওয়া সম্ভব সঙ্কটকে? বদলানো সম্ভব বৈরী পরিবেশকে? ক্লিশে প্রশ্ন। কালে কালে কলাকৈবল্যবাদীরা, মানে যাঁরা শিল্পকে শুধুই শিল্পের জন্য বলে মনে করেন তাঁরা প্রতিবাদীদের এই ‘দায়বদ্ধতা’-কে প্রশ্ন করেছেন। বলতে চেয়েছেন, শিল্পের কালোত্তীর্ণতাকে নিশ্চিত করতে হলে সাম্প্রতিকতা থেকে দূরে থাকতে হবে। চিরায়ত বা শাশ্বত উচ্চারণকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই কালজয়িত্বের উদাহরণ হিসেবে শেক্সপিয়রের ১৫৪টি সনেটের উল্লেখ করেই থাকেন তাঁরা, যে কবিতাবলি যে কোনও কালেই যে কোনও পরিসরেই তার মহিমা হারায় না। উলটো দিকে প্রতিবাদের পক্ষের সওয়ালকারীরা তুলে ধরতেই পারেন ডিলানের ‘ব্লোইং ইন দ্য উইন্ড’-কে, রবীন্দ্রনাথের ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি’-কে, সলিল চৌধুরীর ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা’-কে। সভ্যতার যে কোনও সঙ্কটেই এই গান সত্য। সে হিসেবে এরা শাশ্বত, চিরায়ত। তুর্কি কবি নাজিম হিকমতের কবিতাকে তার কনটেক্সট থেকে বিচ্ছিন্ন করে পড়লেও যে রসহানি হয় না, তার প্রমাণ রয়ে গিয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়-কৃত তার বঙ্গানুবাদে। রাষ্ট্রিক পীড়নের কালে হিকমত যেন হাত ধরেন মুখুজ্যের। ‘প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য/ ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা’-র পাশেই হাঁটতে থাকে ‘ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না’।

বাঁ দিকে সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং ডান দিকে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: ‘দিল্লি মডেল’ কিন্তু ব্যতিক্রমী​

রজার ওয়াটার্স আমির আজিজের যে কবিতাটি সে দিন পাঠ করেছিলেন, তার মধ্যে কোথাও সাম্প্রতিকের উল্লেখ ছিল না। যে কোনও অবদমনের কালেই এই কবিতা পাঁচিল হয়ে দাঁড়াতে পারে। ওয়াটার্স সে দিন বলেছিলেন, “এই তরুণের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমি দেখতে পাচ্ছি”। আসলে ওয়াটার্স কবির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখানে বলেননি, তিনি বলতে চেয়েছেন কবিতাটির ভবিষ্যতের কথা। একদিন এই কবিতা হয়ে দাঁড়াতেই পারে পাকিস্তানী কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের নজম ‘হম দেখেঙ্গে’-র সহযাত্রী। মনে রাখার বিষয়, ‘হম দেখেঙ্গে’ ফয়েজ লিখেছিলেন জিয়া উল হকের অবদমনকারী শাসনের প্রেক্ষিতে। আজ যখন সেই গান ইকবাল বানোর কণ্ঠ পেরিয়ে ধ্বনিত হয় শাহিন বাগে, বা আমাদের শহরেরই পার্ক সার্কাসে, তখন কোথায় জিয়া আর কোথায় পাকিস্তান! এ গান সেখানেও সত্য, নিত্য যেথা বহে ভাগীরথী।

সময় আর দেশ ছাপিয়ে নাজিম হিকমতের কবিতা পঞ্চাশের বেশি ভাষায় অনুদিত

আরও পড়ুন: ১৩ হাজার ২০০ ফোন পেয়েও নিষ্ক্রিয় ছিল দিল্লি পুলিশ! প্রকাশ্যে নয়া অভিযোগ​

এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে শঙ্খ ঘোষের দু’টি কাব্যগ্রন্থের কথা। একটি ‘লাইনেই ছিলাম বাবা’ আর অন্যটি ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’। প্রথমটিতে সংবাদপত্রের লাইন প্রবেশ করেছিল কবিতায়। অর্ধশতক পরে সেই কবিতার কনটেক্সট বুঝতে হলে হয়তো টীকার প্রয়োজন পড়তে পারে, হয়তো পারে না। “পুলিশ কখনও অন্যায় করে না যতক্ষণ তারা আমার পুলিশ”—এই পঙক্তির প্রকৃত উৎস জানতে কি জ্যোতি বসুর সেই কুখ্যাত উক্তিকে ইতিহাসের কবর থেকে খুঁড়ে বের করে আনতেই হবে? এই পঙক্তি কি আজকের দিল্লি পুলিশের ক্ষেত্রেও সত্য নয়? গবেষক হয়তো ‘প্রেক্ষিত’ খুঁজবেন, কিন্তু প্রতিবাদী সহজেই কবিতাটিকে কণ্ঠে তুলে আনতে পারেন। এই কাব্যগ্রন্থের প্রায় সমসময়েই প্রকাশিত হয়েছিল ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’। প্রতিবাদের উত্তাল উত্তাপ তাতে ছিল না, ছিল স্নিগ্ধ ও মন্দ্র স্বরে উচ্চারিত কিছু কথা, যেখানে ছিন্ন ভিন্ন স্বদেশকে দেখা হয়েছে অন্য সব উপমায়, যারা ‘লাইনেই ছিলাম বাবা’-র কবিতা থেকে বহুদূরের। কিন্তু “…সবারই হাতের/ ভিতরে আরেক হাত জেগে ওঠে” থেকে কত দূরে “বাসের হাতল কেউ দ্রুত হাতে ছুঁতে এলে/ আগে তাকে প্রশ্ন করো তুমি কোন দলে”? এই দুই উচ্চারণই কিন্তু এক কবির, প্রায় কাছাকাছি সময়ের। প্রতিবাদ যে দু’ভাবেই ব্যক্ত করা যায়, তার সবিশেষ উদাহরণ এই দুই কবিতাবলি।

আরও পড়ুন: ১২৩টি এফআইআর, আটক ৬৩০, স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে থমথমে রাজধানী​

একই ভাবে মনে পড়তে পারে বাংলাদেশের কবি আল মাহমুদের ‘সোনালি কাবিন’ –এর চতুর্দশপদীগুলিকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে লেখা সেই সব কবিতা আজও যে কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলাভাষীরা ব্যবহার করতে পারেন। “পরাজিত নয় নারী, পরাজিত হয় না কবিরা/ দারুণ আহত বটে আর্ত আজ শিরা-উপশিরা” তো বাংলাকে অতিক্রম করে আমির আজিজেরও কথা, রজার ওয়াটার্স বা অ্যালান গিন্সবার্গেরও কণ্ঠস্বর। প্যাশনেট প্রেমের তীব্রতাকে মুক্তিযুদ্ধের আত্মার সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পেরেছিলেন মাহমুদ। প্রেম যে সব থেকে বড় প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা, তা টের পাওয়া যায় ‘সোনালি কাবিন’ পড়তে বসলে। দিন গিয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস অন্য খাতে বয়েছে, মাহমুদ বদল ঘটিয়েছেন নিজের বিশ্বাসের, বিতর্কের কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন, কিন্তু ‘সোনালি কাবিন’-কে কি অস্বীকার করা গেল? সম্ভবত কোনও দিনও যাবে না।

পিঙ্ক ফ্লয়েডের রজার ওয়াটার্সের বয়স এখন ৭৬। তরুণ কবি আমির আজিজের কবিতা তিনিই তুলে ধরেছেন লন্ডনের প্রতিবাদ মঞ্চে।

১৯৯০-র দশকের এক ভ্যাবাচ্যাকা পরিস্থিতিতে শহর কলকাতার বুকে গিটার হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ান এক নাতিতরুণ। “আমাকে না, আমার আপস কিনছ তুমি” গেয়ে প্রতিবাদের ভাষাকে এক অন্য মাত্রা দেন সেই সময়কার সুমন চট্টোপাধ্যায়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে কলকাতার একের পরে এক প্রেক্ষাগৃহে জলদমন্দ্র স্বরে আগুন ঝরিয়েছিলেন মানুষটি। “আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু” কি আজও গাওয়া হচ্ছে না প্রতিবাদের মঞ্চ থেকে? সলিল চৌধুরীর “আমার প্রতিবাদের ভাষা” শাশ্বত হলে এ গানও অতিক্রম করে গিয়েছে তার রচনার কনটেক্সটকে।

রজার ওয়াটার্স, ৭৬ বছরের রজার ওয়াটার্স , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বাবাকে হারানো রজার ওয়াটার্স নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছেন ফ্যাসিজমের স্বরূপকে। মানুষ নিজেই কী করে মনুষ্যত্বকে অতিক্রম করে শুধুমাত্র ক্ষমতার দাস হয়ে জীবন কাটায়, তা তিনি খোদাই করেছেন তাঁর কালজয়ী অ্যালবাম ‘দ্য ওয়াল’-এর প্রতিটি গানে। “জাস্ট অ্যানাদার ব্রিক ইন দ্য ওয়াল” হয়ে বেঁচে থাকা থেকে দেওয়াল ভাঙার গান শুনিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কি ফ্যাসিজমের অন্ত ঘটেছে? সুমন একদা গেয়েছিলেন, “তুমি গান গাইলে, তাতে বিশেষ কিছুই হল না”। না, তাতে বিশেষ কিছুই হয়নি। গুজরতে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, মন্দির-মসজিদ কাজিয়া অব্যাহত থেকেছে, ভূমিহীন কৃষকের কিশোরী মেয়েটা রং মেখা রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। বিশেষ কিছুই হয়নি। বিশেষ কিছুই হয় না হয়তো। হিকমত, ফয়েজ, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’, ‘সোনালি কাবিন’ শুধু নন্দন উৎপাদন করেই থেমে গিয়েছে। মধ্যবিত্ত শিক্ষিত মার্জিত রুচির পাঠক বা ভোক্তার বিবেকের দায় মিটেছে। দাঙ্গাকারীরা কবিতা পড়ে না, ঘাতকেরা গান শোনে না। তাই ‘বিশেষ কিছুই হয় না’। দিল্লির রাস্তায় মেয়ের কফিনের পাশে বাবাকে শুইয়ে প্রহার করতে থাকে রাষ্ট্র। রক্তে ভেজা পথে এবাদতের ভঙ্গিতে নুয়ে থাকা মানুষটির উপরে পড়তে থাকে একের পর এক লাঠির আঘাত।

বাঁধ ভাঙার বাংলা গানের তিন প্রজন্ম। রবীন্দ্রনাথ, সলিল চৌধুরী, কবীর সুমন।

তখনই কিন্তু কোথাও অগ্নিকোণের তল্লাট জুড়ে ঘনিয়ে ওঠে ক্রোধে রাঙা হয়ে ওঠা মেঘের ধূম্রজাল। ‘হম দেখেঙ্গে’ মিশে যেতে থাকে ‘সব ইয়াদ রাখা যায়েগা’-র সঙ্গে। অপরাজিত কবিসত্তা ছড়াতে থাকে হাত থেকে হাতে, মুখ থেকে মুখে। মিছিল থেকে মিছিলে ছিড়িয়ে পড়তে থাকে নিষিদ্ধ ইস্তেহার। মধ্যবিত্তির ঘেরাটোপ টপকে তারা নিজেরাই তখন জেগে উঠেছে। উদ্যত অস্ত্রের সামনে সে তখন মিলিয়ে দিচ্ছে হাতের সঙ্গে হাত। দ্রুত পায়ে কেউ বাসে হাতল ছুঁতে এলে আর তাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে না, তুমি কোন দল— মানুষই তখন গান, মানুষই তখন ত্রুবাদুর। সুর তখন নিজেই ফকির। একতারা হাতে সে পেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রাম, প্রান্তরের ওপারের প্রান্তর। যমুনা তীরের বেদনা ফুটে উঠছে টেমসের কূলে। ঘনিয়ে ওঠা মেঘ তখন বৃষ্টি নামায়, অঝোর ধারা এসে ধুইয়ে দেয় সঙ্কোচের বিহ্বলতা, ধ্বংস করে ধ্বজা, আগুনের ফুলকি ছোটে তখন। ওয়াটার্স আর আমির আজিজ, আল মাহমুদ আর সুভাষ মুখোপাধ্যায়, বব ডিলান আর রবি ঠাকুর তখন একাকার। ভূগোল তখন লুপ্ত। কাল সেখানে পরাহত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy