Advertisement
E-Paper

লন্ডন ডায়েরি: শেষ নবাবকে নিয়ে বই লিখলেন প্রপৌত্রী লিন

সম্প্রতি প্রকাশিত লিনের বই দ্য লাস্ট প্রিন্স অব বেঙ্গল-এ তাঁদের পরিবারের মুর্শিদাবাদের প্রাসাদ থেকে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার কাহিনি আছে।

শ্রাবণী বসু

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৩৯
Share
Save

ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট-এ লিন ইনেজ় উত্তর-ঔপনিবেশিক সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তাঁর প্রমাতামহ মনসুর আলি খান ছিলেন বাংলা, বিহার, ওড়িশার নবম নবাব। পলাশির যুদ্ধে ক্লাইভের সাহায্যে সিরাজ-উদ-দৌল্লাকে হারিয়ে সিংহাসনে বসেছিলেন মিরজাফর। তাঁরই বংশধর মনসুর। ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের তিন গুণ আয়তনের এই রাজত্বের শেষ শাসক ছিলেন। সম্প্রতি প্রকাশিত লিনের বই দ্য লাস্ট প্রিন্স অব বেঙ্গল-এ তাঁদের পরিবারের মুর্শিদাবাদের প্রাসাদ থেকে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার কাহিনি আছে।

ক্ষমতা ও ভাতা কমিয়ে দেওয়ার পর, ১৮৬৫-তে নবাব দুই ছেলেকে নিয়ে রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে দরবার করতে ইংল্যান্ডে যান। জমকালো জোব্বা, মাথায় পাগড়ি— অভিজাত চেহারার মনসুর অল্প দিনেই ব্রিটেনের অভিজাততম গোষ্ঠীগুলোর নিয়মিত মুখ হয়ে উঠলেন। তারই মধ্যে প্রেমে পড়লেন এক হোটেল পরিচারিকার। তাঁর নাম ভেনেল। বিয়ে করলেন তাঁকে— নাম দিলেন সারা বেগম। ও দিকে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাঁর পদমর্যাদা বাংলার নবাব-নাজিম থেকে ছেঁটে করে দিল শুধু মুর্শিদাবাদের নবাব। ভারতে ফিরে মারা যান তিনি। সারা বেগম লন্ডনে থাকতেন। তাঁদের ছেলে নুসরত আলি মির্জ়া অক্সফোর্ডে পড়তেন। তিনিই লিনের দাদু। মুর্শিদাবাদের প্রাসাদে মনসুরের বিখ্যাত পোর্ট্রেট চাক্ষুষ করেছেন লিন। বাংলার নবাবের বংশজরা কী ভাবে অস্ট্রেলিয়ার মেষপালক হয়ে গেলেন, সেই আশ্চর্য কাহিনি বর্ণিত তাঁর বইয়ে।

ইতিহাস: দ্য লাস্ট প্রিন্স অব বেঙ্গল বইয়ের প্রচ্ছদ ও লেখিকা লিন ইনেজ়।

ইতিহাস: দ্য লাস্ট প্রিন্স অব বেঙ্গল বইয়ের প্রচ্ছদ ও লেখিকা লিন ইনেজ়।

স্যুট এবং ঝুটঝামেলা

অতিমারি এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর বলি হয়েছে ব্রিটিশ স্যুট। বাড়ি থেকে বেরোনোরই যখন প্রয়োজন নেই, তখন স্যুট পরতে নারাজ বেশির ভাগ পুরুষ। স্যাভিল রো, মার্ক অ্যান্ড স্পেনসার প্রমুখ নামী ব্র্যান্ডগুলি স্যুটের পসরা তুলে দিচ্ছে। টি এম লুইনের ৬৬টা দোকানই উঠে গিয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাকস, জে পি মর্গ্যান স্মার্ট ক্যাজ়ুয়ালে মন দিয়েছে। কারণ, সকাল-সকাল উঠে শার্ট, টাই বাছাই বই আর ঝঞ্ঝাট নেই। তবুও, অনেক পুরুষই এখনও স্যুটের ভক্ত। স্যুটের পক্ষে সওয়াল করেছেন হাউস অব কমনস-এর স্পিকার লেসলি হয়েল। ১৮ মাস অনলাইন কাজ শেষে সদ্য ওয়েস্টমিনস্টারে নিজেদের পুরনো কুর্সিতে ফিরলেন সাংসদরা। চেম্বারে কর্মক্ষেত্রের পোশাক পরুন, স্পিকারের নির্দেশ। ট্র্যাকপ্যান্টস, ক্যাজ়ুয়াল জামা আলমারিতে তুলে স্যুট প্রস্তুত চলছে। জিনস, ক্যাজ়ুয়াল ট্রাউজ়ার্স ও ক্যাজ়ুয়াল জুতোও নিষিদ্ধ। মহিলাদের বলা হয়েছে, টিশার্ট, হাতকাটা টপ কর্মক্ষেত্রের পোশাক নয়।

নতুন চাকরি

প্রিন্স চার্লসের সহায়ক মাইকেল ফসেট পদত্যাগ করলেন। যুবরাজের চ্যারিটির সৌদি দাতা নাকি তাঁকে সম্মানজনক পদে বহাল করছেন। ২০০৩ পর্যন্ত চার্লসের খানসামা ফসেটের প্রথম দিকে অন্যতম দায়িত্ব ছিল রাজপরিবারের সদস্যদের টুথপেস্ট টিউব থেকে পেস্ট টিপে বার করে দাঁতের বুরুশে লাগিয়ে রাখা।

ডায়ানার ভাঙা মন

ভেনিস ফিল্মোৎসবে স্পেনসার দেখানো হল। যুবরানি ডায়ানার ভূমিকায় হলিউড তারকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট। ছবিটির পটভূমিকা ১৯৯১ সালের বড়দিনে সান্ড্রিংগাম প্রাসাদ। নেটফ্লিক্সের সিরিজ় দ্য ক্রাউন সূত্রে অনেকেই জানেন, এ সময়ে গির্জায় যাওয়া, শিকার, ভোজ ডায়ানার জন্য কত দুর্বিষহ ছিল। ছবিতে সন্তানদের সঙ্গে যুবরানির সম্পর্ক ধরা পড়েছে। আত্মনিপীড়ন, মনের ভাঙনের কল্পদৃশ্য আছে। স্বপ্নদৃশ্যে এসেছেন অষ্টম হেনরির দ্বিতীয় স্ত্রী অ্যান বোলেন, যাঁর শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। সমালোচকদের মতে, স্টুয়ার্টের কাজ অস্কারের যোগ্য। তিনি ডায়ানার সাক্ষাৎকার অসংখ্য বার দেখেছেন। যুবরানির ঢঙে মাথা কাত করে চোখ নামানো মোক্ষম রপ্ত করেছেন।

হুবহু: ডায়ানা চরিত্রে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট।

হুবহু: ডায়ানা চরিত্রে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট।

পুজো হবে

লন্ডন শারদোৎসব ও বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন অক্টোবরে লন্ডনে দুর্গাপুজো করবে। মুখোমুখি স্টলও ফিরবে। সফটওয়্যার সংস্থায় যুক্ত তরুণ বাঙালিদের এই আয়োজন ‘টেকি পুজো’ নামে খ্যাত। তার ভোগ, খেলা আর স্টলগুলোও বিখ্যাত। দেখা যাক, অন্য পুজো উদ্যোক্তারা কী সিদ্ধান্ত নেন।

London Diary

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}