ব্রিটিশ মিউজ়িয়ামে তন্ত্রের আখ্যান
করোনার জন্য লন্ডনে দুর্গাপুুজো বন্ধ। তবে ব্রিটিশ মিউজ়িয়ামের তন্ত্র বিষয়ক প্রদর্শনীতে ঢুকতেই দেখা গেল বিশাল কালীমূর্তি। সঙ্গে চণ্ডীপাঠের মন্দ্রোচ্চারণ। প্রদর্শনীতে ‘শক্তি’র ধারণা এবং চামুণ্ডা, দুর্গা, কালী ইত্যাকার বিবিধ মাতৃরূপের ব্যাখ্যা রয়েছে। প্রাচীন হিন্দু ও বৌদ্ধ গ্রন্থগুলিতে তন্ত্রের রূপ থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবে তন্ত্রের ভূমিকা, ষাটের দশকে পশ্চিমের রকস্টার ও তারকাদের তন্ত্রে মতিও আলোচিত। পোস্টার, অলঙ্করণ ও সাহিত্যে কালী ছিলেন প্রতিরোধের প্রতীক। উনিশ শতকের শেষে ‘ক্যালকাটা আর্ট স্টুডিয়ো’র উজ্জ্বল লিথোগ্রাফগুলিতে মা কালী শক্তির প্রতিরূপ, তাঁর ভয়ে সন্ত্রস্ত ব্রিটিশ। ‘কালী সিগারেট’-এর পোস্টারে দাবি, এই স্বদেশি সিগারেট সেবনে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ পাবে। কিছু ছবিতে কালীর গলায় ব্রিটিশদের কাটা মুণ্ডের মালা। বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতমাতা কালী রূপে পূজিতা হতেন। বিপ্লবীরা তৈরি করেছিলেন বিশেষ ‘কালী মায়ের বোমা’। কালীর ছবিগুলি নিষিদ্ধ করেছিল ব্রিটিশ।
প্রদর্শনীতে কলকাতার এক শিল্পীর ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তান্ত্রিক দেবী ছিন্নমস্তার গলা দিয়ে তিনটি রক্তধারা বেরিয়েছে। একটি ধারা দেবীর হাতে ধরা নিজের কাটা মাথাটি পান করছে। বাকি দু’টি ধারা অনুচরীরা পান করছে। নিহিতার্থ, ব্রিটিশ দেশমাতৃকার মাথাটি কাটলেই বা ভয় কী! দেবী নিজের রুধিরপান করে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়েছেন!
শক্তিরূপেণ: প্রদর্শনীতে ছিন্নমস্তার ছবি (বাঁ দিকে), কালী সিগারেটের পোস্টার
প্রাগৈতিহাসিক দাঁত
স্যর ডেভিড অ্যাটেনবরো খুদে প্রিন্স জর্জকে একটি কার্চরোকল্স মেগালোডনের দাঁত উপহার দিয়েছেন। হলুদ চুনাপাথরে ফসিল হয়ে যাওয়া দাঁতটির বয়স প্রায় ২.৩ কোটি বছর। বর্তমানে বিলুপ্ত, প্রাগৈতিহাসিক যুগের এই দৈত্যাকৃতি হাঙর ৫২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হত। অর্ধশতাব্দী আগে অ্যাটেনবরো দাঁতটি পেয়েছিলেন মাল্টা-য় গিয়ে। কিন্তু, জর্জের প্রাপ্তিযোগে বাদ সাধলেন মাল্টার সংস্কৃতি মন্ত্রী। তাঁর দাবি, যে দ্বীপে দাঁতটি মিলেছিল, সেখানেই সেটি ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ, ভূতত্ত্বগত গুরুত্ববহুল স্থাবর বা অস্থাবর বস্তুর শ্রেণিভুক্ত হওয়ায়, ফসিল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে। মাল্টায় ফসিল খনন ও স্থানান্তর কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। তবে, বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচইয়ের পর মন্ত্রী পিছু হটেছেন। জর্জের কাছেই থাকবে তার প্রিয় ‘ডাইনোসরের দাঁত’।
এখনও বিতর্কে ডায়ানা
বিবিসি-র বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে যুবরানি ডায়ানা বলেছিলেন, “এই বিয়েতে দু’জন নন, তিন জন আছেন।” পুরনো সেই সাক্ষাৎকার ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে, মিথ্যে কথা বলে ডায়ানাকে সাক্ষাৎকারে রাজি করিয়েছিলেন শো সঞ্চালক মার্টিন বশির। তিনি যুবরানির ভাই চার্লস স্পেনসারকে ব্যাঙ্কের ভুয়ো কাগজ দেখান। দাবি করেন, পরিবারের তথ্য ফাঁসের বিনিময়ে চার্লসের প্রাক্তন কর্মীকে ব্রিটিশ সিকিয়োরিটি সার্ভিস অর্থ দেয়। ১৯৯৬-এ মেল অন সানডে এই ভুয়ো কাগজগুলির কপি প্রকাশ করে। বিবিসি জানায়, সাক্ষাৎকারে কাগজগুলির কোনও ভূমিকা ছিল না। ওগুলি যুবরানিকে দেখানোই হয়নি। সে সময় তাঁর উপর গোয়েন্দা সংস্থা এমআইফাইভ-এর নজরদারি নিয়ে ডায়ানার প্রায় উন্মত্ত অবস্থা। ক্যামেরার সামনে তিনি বশিরকে বলেন, “সাধারণ মানুষের হৃদয়ের রানি হতে চাই, দেশের রানি হব বলে মনে করি না।” ফলাফল হয়েছিল সাঙ্ঘাতিক। প্রিন্স চার্লস ও ডায়ানাকে চিঠি দিয়ে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিলেন স্বয়ং রানি। ব্যক্তিগত বৃত্তে বলেছিলেন, “আমার পুত্রবধূ ভয়ঙ্কর কাণ্ড বাধিয়েছে।” গোটা কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে চ্যানেল ফোরের নতুন তথ্যচিত্র ‘ডায়ানা: দি ইন্টারভিউ দ্যাট শক্ড দ্য ওয়র্ল্ড’।
বিতর্ক: বিবিসি-র সাক্ষাৎকারে ডায়ানা
টার্কি-র দুর্দিন
এই বড়দিনে পারিবারিক জমায়েত না হওয়ারই আশঙ্কা। চিন্তায় টার্কি-চাষিরা। বড় টার্কির চাহিদা না থাকলে, কী করবেন? আগেই পাখিগুলোকে কেটে ফেলবেন, না কি কম খাওয়াবেন— যাতে মুটিয়ে না যায়? টার্কিগুলি সাধারণত ৩ থেকে ২০ কিলোগ্রাম ওজনের হয়। জনাদশেক লোকের পার্টির জন্য একটি পরিবারের মোটামুটি ৬ কিলোগ্রাম টার্কি লাগে। ক্রিসমাসের সময় প্রায় ৯০ লাখ টার্কি খাওয়া হয়। সেই টার্কিদের ভাগ্যে এ বছর কী আছে? অকালমৃত্যু না অনাহার?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy