গত ৬ জুলাই কলকাতা স্টেশনের একটি অভিজ্ঞতার কথা জানানোর জন্য এই পত্রের অবতারণা। কলকাতা থেকে মথুরা যাওয়ার ট্রেন ধরব বলে আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছি। আমাদের বাঁ দিকে এক জন ভদ্রলোক এবং তাঁর স্ত্রীও বেডিংপত্র নিয়ে ট্রেন ধরার জন্য অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছেন। অনেক ক্ষণ একই জায়গায় অপেক্ষা করছেন দেখে স্বাভাবিক কৌতূহলবশত ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কোথায় যাবেন? ভদ্রলোক বললেন, “আমরা জম্মু তাওয়াই যাব।” আমি তাঁদের ট্রেনের সময় জিজ্ঞেস করে জানলাম দুপুর এগারোটা পঁয়তাল্লিশ। তাঁরা আরও জানালেন যে, তাঁদের ছেলে বলে দিয়েছে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ছাড়বে। সেই জন্যই তাঁরা সেখানে অপেক্ষা করছেন। বোধ হয় ট্রেন লেট করছে।
আমি বললাম যে, ট্রেন লেট আছে বলছেন, কোথাও ঘোষণা শুনেছেন বা বোর্ডে দেখেছেন? তিনি সঠিক উত্তর দিতে না পারায় আমি তাঁদের টিকিটটি দেখতে চাইলাম। তিনি টিকিট বার করে দিলে দেখলাম যে, দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে আমাদের ঠিক সামনেই তাঁর টিকিটের যে ট্রেনের নম্বর, সেই নম্বরের ট্রেনটি তখন ছাড়ার উপক্রম করছে। গার্ড সর্বশেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ট্রেনটিকে আমরা অনেক ক্ষণ ধরেই খেয়াল করছিলাম। আমি তাঁকে বললাম, আপনাদের ট্রেন ওই দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনও মুহূর্তে ছেড়ে দেবে। তাঁরা দু’জন সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বেডিংপত্র নিয়ে ওভারব্রিজের উদ্দেশে ছুট লাগালেন। একই সময় আমাদের ডান দিকে অপেক্ষারত আরও দু’জন ভদ্রমহিলা, যাঁদেরও অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখেছিলাম, জিজ্ঞেস করলাম যে তাঁরা কোথায় যাবেন। তাঁরাও জানালেন, জম্মু-কাশ্মীর যাবেন। দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের কথা তাঁদের বলাতে তাঁরাও মালপত্র নিয়ে ছুটতে আরম্ভ করলেন। কিন্তু কেউই ওভারব্রিজ পেরিয়ে এক নম্বর থেকে দু’নম্বরে গিয়ে ট্রেন ধরতে পারলেন না। ট্রেন তাঁদের চোখের সামনে দিয়ে বেরিয়ে চলে গেল। আমি হাত নেড়ে গার্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হল না।
হয়তো এই মানুষগুলি ঠিকমতো পড়তে পারেন না, বা বোর্ড দেখতে জানেন না। সেই কারণেই তাঁরা দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি লক্ষ করেননি। স্টেশনে যে ঘোষণা হয়, সেটিও হয়তো তাঁরা ঠিকমতো শুনতে পাননি বা সে ভাবে খেয়াল করেননি। যদি এই সমস্ত মানুষের কথা ভেবে রেল কর্তৃপক্ষ আর একটু তৎপরতার সঙ্গে স্টেশনে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা করেন বা অন্য কোনও ব্যবস্থা করেন, তা হলে এঁরা উপকৃত হবেন।
সুশীলা মালাকার সরদার , বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগনা
ডেঙ্গির সময়
প্রতি বছরই এই সময়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। তা রুখতে পুরসভার কিছু পদক্ষেপ করা উচিত। হাওড়া পুরসভার ভ্যাটগুলো উন্মুক্ত না রেখে বন্ধ রাখার আহ্বান জানাই। কারণ, ভ্যাটগুলো খোলা অবস্থায় থাকার কারণে তা থেকে আবর্জনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে বর্ষাকালে ভ্যাটের আবর্জনা ভেসে ফাঁকা নিচু জমি বা নালিমুখে জমা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জনসাধারণের একাংশের যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার প্রবণতা, যা জরিমানা ছাড়া বন্ধ করা যাবে না।
অনেক ফাঁকা বাড়ি দীর্ঘ কাল বন্ধ বা ফাঁকা জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে পুরসভা উদ্যোগী হয়ে মালিকদের নোটিস পাঠানোর ব্যবস্থা করুক।
কিশোর চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া
ময়ূর সংরক্ষণ
ব্যান্ডেলের কাছে পোলবা থানার অন্তর্গত রাজহাটে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বন দফতরের ‘ময়ূরমহল’ নামে একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল আছে। এটি ময়ূরদের সংরক্ষিত এলাকা। এই জায়গায় অনেক পাখিপ্রেমী ময়ূর দেখার জন্য বেড়াতে যান। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে ময়ূরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। চড়ুইভাতি করা, বিকট মাইক বাজানোর পাশাপাশি কিছু বহিরাগত দর্শকের লাগাতার উৎপাতকে ময়ূরের বিপন্নতার কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষ। এ ছাড়াও রয়েছে বন দফতরের কর্মীদের উদাসীনতা। এই উদাসীনতা পরিত্যাগ করে ময়ূর সংরক্ষণের বিষয়টি কঠোর ভাবে দেখা উচিত বন দফতরের কর্মীদের।
সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া, হুগলি
ডাকটিকিট নেই
বারাসত ডাক-বিভাগের অন্তর্গত মছলন্দপুর উপ-ডাকঘরে দীর্ঘ দিন যাবৎ ডাকটিকিট ও রেভেনিউ স্ট্যাম্প পাওয়া যায় না। পাঁচ বা দশ টাকার টিকিটের জন্য বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ টাকা ও মূল্যবান সময় ব্যয় করে দূরের ডাকঘর থেকে টিকিট কেনার চেষ্টা করতে হয়। মছলন্দপুর উপ-ডাকঘরের চারটি শাখাতেও এই একই সমস্যা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এর স্থায়ী সমাধান করুন।
দীপক ঘোষ, মছলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
পার্থেনিয়াম
ভারতের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে পার্থেনিয়ামের ঝোপ। এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বিস্তর। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পার্থেনিয়াম ধ্বংসের উদ্যোগ করা হলেও তাতে মূল কাজ করার থেকে ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে বেশি আগ্রহ দেখা যায়। সরকারও এ ব্যাপারে উদাসীন। পার্থেনিয়াম সহজে ধ্বংস করা যায় না। তাই অবিলম্বে ব্যবস্থা না করলে এমন একটা সময় আসবে, যখন অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পার্থেনিয়াম ধ্বংসের জন্য যদি মাত্র দশ দিন বরাদ্দ করা হয়, তা হলে পার্থেনিয়াম পুরোপুরি ধ্বংস না করা গেলেও, অনেকটাই নির্মূল করা যাবে।
দেবাশিস পাল, নানুর, বীরভূম
ছাউনি দরকার
কেষ্টপুর এবং সল্টলেক সংযোগকারী ৭ নম্বর খেয়াঘাটের শেষে একটি ছাউনির অত্যন্ত দরকার। বহু নিত্যযাত্রী এবং স্কুল-কলেজের ছোট-বড় ছেলেমেয়ে এই ঘাট পার করে সল্টলেক যাওয়ার জন্য স্কুলবাস বা রিকশা ধরে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদহে কিংবা বর্ষার অঝোর ধারায় দাঁড়িয়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় আবালবৃদ্ধবনিতাকে। সেই জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, সরেজমিনে জায়গাটি পরিদর্শন করে এখানে ছাউনির ব্যবস্থা করা হোক।
শেখ সিরাজ, কলকাতা-১০১
বেহাল রাস্তা
রাজপুর ফাঁড়ি থেকে সোনারপুর স্টেশন অভিমুখী প্রধান সড়কটির দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থা। এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষেরই যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ট্রেন। যদিও হাজার হাজার মানুষ সড়ক পথেও যাতায়াত করেন। বর্তমানে বৈকুণ্ঠপুর মোড়ের অবস্থা সব থেকে ভয়াবহ। জায়গায় জায়গায় গভীর গর্ত হয়েছে। জল জমলে কার্যত যা চোখেই পড়ে না। ফলে, যখন-তখন ঘটছে দুর্ঘটনা। মাঝে মাঝে সাময়িক ব্যবস্থা করা হলেও স্থায়ী সমাধান কিছু হয়নি। প্রতি বর্ষাতেই ‘অঘোর সরণি’ খানাখন্দ-সহ হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর। এই সড়ক এলাকার ব্যস্ততম রাস্তাগুলির একটি। রাজপুর ফাঁড়ি থেকে পাশ্চাত্য পাড়া পর্যন্ত সাম্প্রতিক কালে ঠিক করা হলেও, সেখান থেকে ‘হরিধন চক্রবর্তী সরণি’র সংযোগস্থল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা অবহেলিত থেকে গিয়েছে আগের মতোই। কেন, তার স্পষ্ট কোনও উত্তর নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি দ্রুত দৃষ্টি দেবেন, এই আশা রাখি।
রাজীব রায় গোস্বামী, রাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy