খালের আমূল সংস্কারের প্রয়োজন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুল ইডেন ক্যানেল ওল্ড গাঙ্গুর খাল পাল্লাগ্রামে নিউ গাঙ্গুর খালে মিশেছে। এই সেচ খালের জলে ১০-১২টি গ্রামে চাষ হয়। বড়শুল থেকে পাল্লা আসার রাস্তার ডান পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লুপ্তপ্রায় ইতিহাসপ্রসিদ্ধ গাঙ্গুর খালের উল্লেখ মনসামঙ্গল কাব্যে পাওয়া যায়। বছরের অন্যান্য সময়ে জল না থাকলেও বর্ষায় বা ইডেন ক্যানেল থেকে জল ছাড়লে ভরে ওঠে এই খাল। একশো দিনের কাজে সামান্য সংস্কার হলেও খালের আমূল সংস্কারের প্রয়োজন। এখন আবার বেআইনি নির্মাণের বাড়বাড়ন্তে ভরাট হতে বসেছে খালটি। রাস্তার একদম পাশ দিয়েই বয়ে চলায় অনেকে রাস্তার পাশে দোকান করার জন্য সিমেন্টের ঢালাই পিলার দিয়ে গাঙ্গুরের মধ্যেই গড়ে তুলছে কংক্রিটের নির্মাণ। অনেকে আবার কংক্রিটের তোয়াক্কা না করে মাটি দিয়ে ভরাট করে গড়ে তুলছে ঘর। কুমারপাড়া মোড়, শিক্ষানিকেতন মোড়, কলানবগ্রাম মোড়, পাল্লারোড মোড়— সব জায়গাতেই এই নির্মাণের রমরমা। সাধারণের মতে, কোনও অভিযোগের অপেক্ষা না করে, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রশাসনের এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ জরুরি। নতুন করে আর যাতে কোনও প্রকার নির্মাণ না হয়, তার ব্যবস্থার পাশাপাশি পুরনো বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রেও উপযুক্ত পদক্ষেপ করা দরকার। কংক্রিটের জঙ্গল ভেঙে বা বেআইনি ভাবে ভরাট করা মাটি সরিয়ে ইতিহাসসমৃদ্ধ এই খাল তার পুরনো রূপ ফিরে পাক।
সন্দীপন সরকার, পাল্লারোড, পূর্ব বর্ধমান
অধরা সভাগৃহ
কাঁচরাপাড়া পুরসভার অন্তর্গত অধিবাসীদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা, এখানে একটি সভাঘর বা টাউনহল হোক। ২০১০ সালে তৎকালীন পুরমন্ত্রী মাননীয় অশোক ভট্টাচার্য কাঁচরাপাড়া কলেজের সন্নিকটে এই সভাঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সে সময় কিছু কাজও হয়েছিল, লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে। তার পর রাজ্যের শাসক দল বদল হলে বর্তমান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গত বছর ওই শিলাখণ্ডটিকে সরিয়ে আবার শিলান্যাস করেন। দুঃখের বিষয়, মূলত রাজনীতি করতে গিয়ে আমরা এখনও কোনও সভাগৃহ পেলাম না। পুরবাজারের ঘরে কিছু অনুষ্ঠান হলেও ভাল অনুষ্ঠানের জন্য অন্যত্র বা দূরে যেতে হয়। টাউনহল বা সভাগৃহের স্বপ্ন কি আমাদের অধরাই থেকে যাবে?
শিবপদ চক্রবর্তী , কাঁচরাপাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা
ডেঙ্গির ভয়
উলুবেড়িয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড একেবারে যেন ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর। কোনও নিকাশিব্যবস্থা ছাড়াই সেখানে অপরিকল্পিত ভাবে জমি বিক্রি হয়। সেই সুবাদে প্রতি বাড়িতে জমা জল স্বাভাবিক চিত্র। পাড়ার প্রধান রাস্তায় প্রায় সারা বছর গোড়ালি পর্যম্ত জল থাকে। ভোটের আগে পাড়া পরিচ্ছন্ন রাখার আশ্বাস মেলে। মাঝেমধ্যে পুরসভা থেকে লোক এসে মশা মারার তেলও ছড়িয়ে যায়। এ ছাড়া বাকি সময়ে আর কাউকে বিশেষ দেখা যায় না। গোটা পাড়া ডেঙ্গি আর জলবাহিত রোগে উজাড় হয়ে যাওয়ার আগে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
সত্যনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উলুবেড়িয়া, হাওড়া
নমিনি না থাকলে
পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট নিয়ে একটা সমস্যা শুরু হয়েছে। অনেকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে বিভিন্ন পোস্ট অফিসে। প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এক-একটা কাস্টমার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (সিআইএন) দেওয়া হয়েছিল। এখন সেইগুলিকে একত্রিত করে একটা করতে বলা হচ্ছে। একটা পোস্ট অফিস তা করে দিলেও অন্য পোস্ট অফিসগুলি বলছে যে, তাদের সিস্টেমে তা দেখাচ্ছে না। যার ফলে গ্রাহকদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।
এ ছাড়াও এখন বলা হচ্ছে, সেভিংস অ্যাকাউন্ট-এ নমিনি দিতে হবে। যাঁদের নমিনি করার কেউই নেই, তাঁরা কী করবেন? কিন্তু অনেকের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। নমিনি করার সুযোগ না থাকলে অন্য কী উপায় হতে পারে, তার একটা ব্যবস্থা করা উচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রুপেন্দ্র মোহন মিত্র, কলকাতা-৪৭
বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার মানচিত্রে এগিয়ে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কি শেষ পর্যন্ত অধরা থাকবে? জেলার আনাচেকানাচে এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিষাদলের কাপাসএড়ার বামুনিয়া মৌজা এইচডিএ-র দেওয়া কুড়ি একর জমিতে মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করেন। সেই মতো ইউজিসি-র এক প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে ছাড়পত্র দেয়। এমনকি ২০১৯ সাল থেকে মহিষাদল রাজ কলেজের একাংশ ভাড়া নিয়ে চারটি বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, অঙ্ক) স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো শুরু হয়। যদিও এক জন উপাচার্য ছাড়া স্থায়ী কোনও অধ্যাপক বা কর্মচারী এখনও নিয়োগ করা হয়নি। নেই কোনও ল্যাব, লাইব্রেরি। এমতাবস্থায় গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিং নির্মাণ শুরু হলে জেলাবাসীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কারণ, প্রতি বছর এ জেলার হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের ১৯টি ডিগ্রি কলেজ থেকে পাশ করে পাশের জেলা বা ভিনরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হয়। সেখানে বেশি টাকাও লাগে, পরিশ্রমও হয়। মেধা থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের পড়ুয়ার পক্ষে তা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে এই সমস্যাগুলি হয়তো লাঘব হবে। সম্প্রতি সরকারের তরফে ‘টাকা নেই’ আর্তনাদের মাঝে সরকারি ভাবে দিঘায় দু’শো কোটি টাকা ব্যয়ে জগন্নাথ মন্দির হওয়ার ঘোষণার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিং নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়। এমনকি কাজের বরাত পাওয়া সংস্থাও পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গিয়েছে। ফলে, মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি ও পঠনপাঠন এখন বিশ বাঁও জলে! তা হলে যারা দু’বছরে পাশ করেছে বা বর্তমান বর্ষে পড়াশোনা করছে— সেই ছাত্রদের ডিগ্রির ভবিষ্যৎ কী?
অথচ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মালদহ, দিনাজপুরের মতো অন্যান্য জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তা হলে পূর্ব মেদিনীপুরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন? ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে জেলার কিছু অধ্যাপক, শিক্ষক, ছাত্র সংগঠন মিলিত ভাবে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত নির্মাণের দাবিতে কনভেনশন ও গণ দরখাস্ত পাঠানোর মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কি আদৌ কোনও লাভ হবে?
স্বপন জানা, মেচেদা, পূর্ব মেদিনীপুর
স্টেশনে মাইক
একটি রাজনৈতিক দলের ধর্মতলায় হতে চলা মহাসমাবেশের প্রচারের জন্য সারা রাজ্য জুড়ে পথসভা, মিছিল ইত্যাদি কর্মসূচি চলে বেশ কয়েক দিন ধরে। গত ১৯ জুলাই এমনই এক পথসভা আয়োজিত হয়েছিল নদিয়া জেলার কল্যাণী মেন রেলস্টেশনের পাশে। সেই পথসভার জন্য কল্যাণী স্টেশনের ২, ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ফুট ওভারব্রিজের উপর মাইক লাগিয়ে তারস্বরে বক্তৃতা করছিলেন একের পর এক নেতা। যার ফলে রেলের ট্রেন আসা-যাওয়ার ঘোষণা শোনা যাচ্ছিল না। যাত্রীরা চরম অসুবিধেয় পড়েন। এই ভাবে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদানকারী রেলস্টেশনে রেল ব্যতীত অন্য কোনও সংগঠন কি মাইক লাগিয়ে নিজেদের প্রচার করতে পারে? তা ছাড়া মাইক লাগানোর বিষয়টি আরপিএফ বা জিআরপি কী ভাবে অনুমোদন করে? আর অনুমোদন ছাড়া মাইক লাগালে তা বাজেয়াপ্ত করে কেন পদক্ষেপ করা যায়নি?
সুজিৎ সাহা , চাকদহ, নদিয়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy