Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: পাড়ার ব্যাঙ্ক ইউনাইটেড

কলকাতার গল্ফগ্রিনে আশির দশকে স্থাপিত হল ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের শাখা, গল্ফগ্রিনে প্রথম ব্যাঙ্ক।

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৫
Share: Save:

‘লঞ্চেও তখন চালু হয়েছিল ব্যাঙ্কের শাখা’ (৮-৯) শিরোনামে ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের কথা পড়ে নানান স্মৃতি মনে এল। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে প্রদত্ত নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভাষণে জেনেছিলাম কী ভাবে ১৯৫০ সালে কুমিল্লা ব্যাঙ্কিং কর্পোরেশন, বেঙ্গল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, কুমিল্লা ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক এবং হুগলি ব্যাঙ্ক ‘ইউনাইটেড’ হয়েছিল।

কলকাতার গল্ফগ্রিনে আশির দশকে স্থাপিত হল ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের শাখা, গল্ফগ্রিনে প্রথম ব্যাঙ্ক। ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ে আমার প্রথম ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, সেও ওই শাখায়। এমনও হয়েছে, সকাল দশটা বাজার আগেই ছোটবেলার সামান্য সঞ্চয় জমা দিতে ব্যাঙ্কে গিয়েছি। ব্যাঙ্ক খুলতেই ছোট্ট গ্রাহকের সঞ্চয় হাসিমুখে জমা নিয়েছেন ক্যাশিয়ার কাকু। আবার পরে, বাবার সঙ্গে দেখা হলে স্কুলপড়ুয়া ছেলের ‘ব্যাঙ্ক হ্যাবিট’-এর প্রশংসা করেছেন শাখার ম্যানেজার। অনলাইন-পূর্ব সে-যুগে গ্রাহক আর ব্যাঙ্ককর্মীদের মধ্যে নিয়মিত দেখাশোনায় গড়ে উঠত এক আত্মিক সম্পর্ক।

ওই বয়সেই নিজের একার নামের সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং চেক-সহ। মনে পড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বন্ধুদের সঙ্গে চড়ুইভাতির চাঁদা দিয়েছিলাম চেকে। নব্বই সালে চাঁদা ছিল তেরো টাকা। সেই চেক ভাঙাতে বন্ধুরা গিয়েছিল পাড়ার ব্যাঙ্কে।

আর কী করেই বা ভুলি ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপন: ‘দ্য ব্যাঙ্ক বিগিনস উইথ ইউ’। সত্যিই তো ‘ইউ’-এর মধ্যে সেই স্কুল-পড়ুয়া ছেলেটাও ছিল, যার তিন দশক আগের অ্যাকাউন্ট আজও আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নিজের ব্যাঙ্কটাই যদি আর না থাকে!

সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা-৯৫

যন্ত্রণার যাত্রা
আমি বেহালাবাসী এক জন প্রবীণ ব্যক্তি। কর্মসূত্রে প্রতি দিন বিবাদী বাগ অঞ্চলে যাতায়াত করতে হয়। মাঝেরহাট সেতুভঙ্গের আগে আমি এবং আমার মতো আরও অনেকে যাঁরা ভিড় বাসে দাঁড়িয়ে যাতায়াতে অভ্যস্ত বা সক্ষম নন, তাঁরা মহাকরণের সামনে মিনিবাস স্ট্যান্ড থেকে বেহালা চৌরাস্তার মিনিবাসে বসে যাতায়াত করতাম। রাতে প্রায় আটটা পর্যন্তও বাস পাওয়া যেত। মেট্রো রেলের কাজের জন্য মিনিবাস স্ট্যান্ড উঠে গেল। বেহালা চৌরাস্তার মিনিবাসও আর খুব একটা চোখে পড়ে না। ওই অঞ্চলে একটি বিকল্প মিনিবাস স্ট্যান্ডের খুব প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমার মনে হয়। হাইড রোডের অবস্থাও প্রচণ্ড খারাপ। নিত্য দিন যানজট লেগে থাকে। অফিসের সময় অন্তত যদি বাসগুলো অন্য কোনও বিকল্প রাস্তা দিয়ে চালানো যায়, তা হলে হয়তো অনেকে উপকৃত হব। তিনটে শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত বাস হাওড়া থেকে বেহালা যায়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে তিনটে বাসই রাস্তার মাঝখান দিয়ে যায়। সুতরাং আমরা যাঁরা নিয়ম মেনে বাস ধরার জন্য রাস্তার বাম দিকে ফুটপাতের কাছে দাঁড়াই তাঁদের ভাগ্যে ওই তিনটে বাস থাকে না। অনেকে হয়তো দুর্ঘটনা হতে পারে জেনেও দৌড়ঝাঁপ করে রাস্তার মাঝখানে চলে যান ওই বাসে ওঠার জন্য। কখনও তাঁরা সফল হন আবার কখনও বিফল। ট্রাম কোম্পানির একটা বাস একটা নির্দিষ্ট সময়ে বিবাদী বাগ থেকে ছাড়ে কিন্তু অনেকেই ওই সময়ের মধ্যে ওখানে পৌঁছতে পারেন না। আমাদের মতো প্রবীণ ব্যক্তিরা খারাপ পরিষেবার (আতঙ্ক) জন্য মেট্রো রেল বর্জন করেছেন। চক্র রেলে হয়তো ফেরা যায়, যদি মাঝেরহাট স্টেশন থেকে বেহালা যাওয়ার কোনও অটো পরিষেবা থাকত।
তাপস কুমার নাগ
কলকাতা-৩৪

ঢালাই হয়নি
2 নির্বাচনের কিছু আগে শুরু হয়েছিল অমরাবতী থেকে পানিহাটি মহাবিদ্যালয় অবধি সোদপুর মধ্যমগ্রাম রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ। কোনও অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষ রাস্তার এক দিক ঢালাই শেষ করে ছেড়ে দিয়েছেন ফলে আর এক দিকের যে অংশ ঢালাই হয়নি তার অবস্থা ভয়াবহ, অসংখ্য খানাখন্দ জল জমে সাধারণ মানুষকে প্রাণ হাতে করে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে ও পথ দুর্ঘটনাও ঘটছে।
সুজিত কুমার ঘোষ
কলকাতা-১১০

দুর্ভোগ
প্রতি বছরের ন্যায় এই নভেম্বরে মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পেনশনারদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। অসক্ষম ব্যক্তিরা যাঁরা ব্যাঙ্কে সশরীরে উপস্থিত হতে অপারগ তাঁদের পক্ষে মহাসঙ্কট। যদিও ঘরে বসে সার্টিফিকেট পাওয়ার কিছু ব্যবস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেজ়ারি রুলস ২০০৫-এ আছে, কিন্তু সেটি অসুস্থ, অসমর্থ, সহায়সম্বলহীন পেনশনারদের পক্ষে জোগাড় করা এবং ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এই দুর্ভোগ নিবারণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ব হতে ‘জীবন প্রমাণ বায়োমেট্রিক ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ফর পেনশনার্স’ নামে একটি প্রকল্প চালু আছে, যার মাধ্যমে ওই নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী পেনশনাররা লাইফ সার্টিফিকেট অনলাইনে পেনশন ডিসবার্সিং অথরিটির নিকট জমা দেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও যদি প্রকল্পটি শুরু করে, তা হলে পেনশনারদের ঝামেলা পোহাতে হয় না।
তারাপদ মণ্ডল
কান্দি, মুর্শিদাবাদ

খোলা ড্রেন
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ শহরে পুরসভার উদ্যোগে হাই ড্রেন করা হয়েছে, যাতে নিকাশি ব্যবস্থা ভাল হয়। উদ্যোগটি মহৎ। কিন্তু তার রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত খারাপ। অনেক ড্রেন খোলা অবস্থায় রয়েছে। ফলে তার মধ্যে রাজ্যের প্লাস্টিক-সহ অন্যান্য আবর্জনা ভর্তি। একটা ড্রেন দিয়েও জল পাস হয় না। যে উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ তা-ই যদি না হয়, তবে কী লাভ হল?
সাধন বিশ্বাস
অম্বরপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

প্ল্যাটফর্মে দোকান
সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে শিয়ালদহ স্টেশনের ৬ ও ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মের একটি স্থানে দু’টি প্ল্যাটফর্মের সিংহভাগ অংশ দখল করে একটি দোকান তৈরি হচ্ছে। দোকানের বাইরে একটি বিখ্যাত মোমো বিক্রয়কারী সংস্থার নাম লেখা। দোকানটি শীঘ্রই খোলা হবে এমন বিজ্ঞাপনও দেওয়া আছে সামনে। দোকানটির দু’পাশে মাত্র ছ’ফুট করে স্থান ছাড়া আছে। ব্যস্ত সময়ে যাত্রিগণ ট্রেনে ওঠা-নামা ও ভিড়ের মধ্যে হাঁটার সময়ে প্রভূত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
সুকান্ত বিশ্বাস
কলকাতা-৩০

প্লেটে বিপদ
আগরপাড়া স্টেশনের উপর বালি, সিমেন্ট ও স্টোনচিপ দ্বারা নির্মিত ছোট ছোট প্লেট রয়েছে। ফলস্বরূপ, নিত্য যাত্রিসাধারণের ট্রেনে ওঠানামা খুবই কষ্টকর হয়। যে কোনও সময় হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু দিন আগে আগরপাড়া স্টেশনে বসে আছি, হঠাৎ এক বৃদ্ধা ট্রেন থেকে নেমে প্লেটের উপর হোঁচট খেয়ে পড়লেন। প্লেটগুলি এমন ভাবে স্টেশনের উপর রাখা হয়েছে যে কোনও সময় ভয়ঙ্কর বিপদ
হতে পারে।
শিব প্রসাদ জানা
কলকাতা-১১৮

ভয়াবহ যাতায়াত
রোজ সকাল ৬:৩০ থেকে ৭:৩০-এর সময় কামারহাটি রথতলা থেকে বেলঘরিয়া ব্রিজ হয়ে বড় বড় বালি, পাথর বোঝাই লরি, তেলের বড় বড় ট্যাঙ্কার ট্রাক যাতায়াতের কারণে স্কুল টাইমে সাইকেল, মোটরবাইক ও অটোতে যাতায়াত ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
মানব দেবনাথ ভৌমিক
কলকাতা-৪৯

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy