ছট
ছট পুজোয় ভক্তদের আরাধনা গঙ্গাবক্ষে যেমন হয়, রবীন্দ্র সরোবর ইত্যাদি স্থানেও হয়। বারাণসীতে গিয়ে দেখেছি, সন্ধ্যারতির সময় প্রতি দিন ধূমায়িত পরিবেশ ও গঙ্গাবক্ষে ভাসমান অসংখ্য প্রদীপের দৃশ্য দর্শন করতে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর আবেগাপ্লুত সমাবেশ। তখন তো পরিবেশ দূষণের প্রশ্ন ওঠে না। ছট পুজোর বেলায় ওঠে কেন?
মিহির ভট্টাচার্য
কলকাতা-৩১
ভিত্তিহীন
‘কাজ ফেলে এলাহি ভোজ আরামবাগের ভূমি দফতরে’ (১-৮) শীর্ষক ভিত্তিহীন সংবাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদপত্র। প্রতিটি অফিসেই নির্ধারিত টিফিন-সময় থাকে, যখন কর্মীরা টিফিন করেন। প্রতিবেদক টিফিন টাইমে অফিসে ঢুকে, ফাঁকা চেয়ারটেবিল ও কর্মীদের খাওয়ার চিত্র সংগ্রহ করে, অফিসের নামে অপপ্রচার করলেন। টিফিন টাইমে যে অফিসে খাওয়াদাওয়া হবে তা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আরামবাগের ভূমি দফতরকে কেন্দ্র করে বহু দিন যাবৎ সক্রিয় দালাল ও জমি মাফিয়া চক্রের মেরুদণ্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে, অফিসে প্রকৃত জনসংযোগ সাধনে সক্ষম হন রাজস্ব আধিকারিকরা। এর ফলে, দালালঘটিত প্রতারণার হাত থেকে নিষ্কৃতি পান সাধারণ মানুষ। রাজস্ব আধিকারিকদের এই সৎ উদ্যোগের ফলে, দালাল ও জমি মাফিয়াদের স্বার্থে আঘাত লাগে এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিসে অস্থিরতা তৈরি করে, অফিসের বদনাম করতে তৎপর হয়ে ওঠে এই ধরনের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এমতাবস্থায়, এই প্রতিবেদন পরোক্ষ ভাবে উপরোক্ত স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর হাত শক্ত করে, আধিকারিকদের সৎ প্রচেষ্টার মূলে কুঠারাঘাত করল।
আরও উল্লেখ্য, রাজস্ব আধিকারিক ও কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে, প্রয়োজনে শনি-রবিবারও অফিসে কাজ করে, প্রত্যন্ত এই ব্লকটির ভূমি দফতরকে সার্বিক কাজকর্ম ও জনপরিষেবা প্রদানের নিরিখে, গোটা জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উন্নীত করেন এবং এ মর্মে গত ২৭ জুন ২০১৮ তারিখে হুগলির জেলাশাসক জগদীশ মিনা ও অতিরিক্ত জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, দফতরের কর্মী ও রাজস্ব আধিকারিকদের পুরস্কৃত করেন। এমতাবস্থায় কর্মীরা অফিসের সমস্ত কাজ দক্ষতার সঙ্গে সামলে টিফিন টাইমে বদলি হয়ে যাওয়া আধিকারিককে সংবর্ধনা দিয়ে সম্মানিত করলে, তা অফিসে সহকর্মীদের মধ্যে থাকা ‘গুড উইল’কেই প্রতিফলিত করে।
ঘটনার দিন কুন্তল মাইতি নামক এক ব্যক্তি জমির মিউটেশনের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত নথিপত্র অফিসে দাখিল করতে পারেন না, ফলে তাঁর জমির মিউটেশন হয় না। প্রতিবেদক এই ঘটনাকে তুলে ধরে, সে দিন কাজ না হওয়ার গল্প ফাঁদলেন। পক্ষান্তরে, অফিসে সে দিনকার কাজের খতিয়ান বলছে, সে দিন ১২১ জন মানুষ অফিসে এসে তাঁদের মিউটেশন কেস জমা করেন, ১৩১ জন মানুষকে জমির দাগ সম্বন্ধীয় তথ্য সরবরাহ করা হয় এবং ৭০ জন সাধারণ মানুষকে পর্চা দেওয়া হয় অফিস থেকে, যা অফিসের অন্যান্য দিনে হওয়া কাজের গড় পরিসংখ্যানেরই সমান। এ ছাড়াও অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে পরিষ্কার যে, প্রতি দিনকার মতো সে দিনও কর্মীরা যথা সময়ে অফিসে উপস্থিত হন ও অফিসে মিউটেশন কেস, মিস কেস ও কোর্ট কেসের হিয়ারিং চলতে থাকে নিয়মমাফিক।
সে দিন কর্তৃপক্ষের কোনও রকম অনুমতি ছাড়াই এই কাগজের প্রতিবেদক দফতরের অফিসে সংরক্ষিত গোপন সরকারি নথিপত্র ও জমির রেকর্ডের ফটো ক্যামেরাবন্দি করেন, যা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। এ নিয়ে আধিকারিকরা প্রতিবেদককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে আধিকারিকদের কটূক্তি করেন। অফিসের মহিলা আধিকারিকদেরও যথেচ্ছ ভাবে হেনস্থা করে অসম্মান করেন। পরন্তু, প্রতিবেদনে আধিকারিকদের মুখে মিথ্যা ও বিকৃত বিবৃতি বসিয়ে জনসমক্ষে তাঁদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেন। এ মর্মে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের হলে, প্রতিবেদক কর্তৃপক্ষকে শাসানি দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
অনিন্দিতা চৌধুরী
কলকাতা-২৭
প্রতিবেদকের উত্তর: তৎকালীন রাজস্ব আধিকারিক অনিন্দিতা চৌধুরীর বদলির কারণে বিদায়-সংবর্ধনা হিসেবে সে দিন খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হয়েছিল, এর বিরুদ্ধে আমার প্রতিবেদন নয়। প্রতিবেদনের বিষয় ছিল— সাধারণ মানুষের হয়রানি। সে দিন যে অফিসের ছাদে ম্যারাপ বেঁধে ওই ভোজের আয়োজন হয়েছিল এবং কর্মীদের অনেকেই সকাল থেকে তাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, সে কথা কি অসত্য? বহু সাধারণ মানুষ সে দিন পরিষেবা না-পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সেই ক্ষোভের কথা তুলে ধরা কি অন্যায়?
জনৈক কুন্তল মাইতির জমির মিউটেশনের জন্য যথাযথ কাগজপত্র না-থাকলে তাঁকে ভূমি দফতর ফিরিয়ে দিতেই পারে। কুন্তলের সঙ্গে আমিও কথা বলেছিলাম। ধরে নিলাম, আপনার দাবিই সত্য। কিন্তু ওই ব্যক্তি বাদ দিলেও আরও অনেকে সে দিন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন। সকলেরই কি নথিপত্র ঠিক ছিল না?
সে দিন আপনি এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ‘‘এমন খাওয়া-দাওয়া সব অফিসেই হয়, হওয়া উচিত। আর কাজের সময় না হলে কখন হবে? এক সঙ্গে সবাইকে পাব কখন?’’— এ কথাও কি অস্বীকার করতে চান? সে দিনের বক্তব্যের ভিডিয়ো-রেকর্ডিং আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসে কাজের দিনে সকাল থেকে যদি সে ভাবে কাজ না-হয়, যদি পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠে, যদি কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি তা নিজের চোখে দেখেন, তা লেখা আইনবিরুদ্ধ? বিশেষ করে যে অফিসে কাজের ক্ষেত্রে সুনাম রয়েছে! আর সে দিন দুর্ব্যবহার কার ছিল, সে উত্তরও আপনার ভাল জানা।
পেনশন প্রাপক
প্রবীণদের ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ব্যাঙ্কে জমা দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। অনেক প্রবীণ পেনশন প্রাপকদের আঙুলের ছাপ নিতে বারে বারে চেষ্টা করতে হয় এবং তার জন্য অপেক্ষার সময় আরও বাড়তে থাকে। এই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ঘরে বসে বা সাইবার কাফেতে গিয়ে জমা কি দেওয়া সম্ভব? দিলেও কী ভাবে ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক হবে?
স্বপন মুখোপাধ্যায়
কলকাতা-১১৮
নাথ
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নাম যোগী আদিত্য নাথ লিখতে হবে। কবি রবীন্দ্রনাথের নাম আর যোগী আদিত্য নাথের নামের বানানবিধি এক নয়। পূর্বাশ্রমের নাম ত্যাগ করে, নাথ যোগী ধর্মে দীক্ষিত হয়ে, সন্ন্যাসী হওয়ায় তাঁর নাম হয়েছে যোগী আদিত্য নাথ। নাথ যোগীদের পূর্বসূরিরা হলেন যোগী গোরক্ষ নাথ, চর্যাপদের যোগী মৎস্যেন্দ্র নাথ প্রমুখ। এই ধর্মের সন্ন্যাসীরা নামের অন্তপদ হিসাবে ‘নাথ’ ব্যবহার করেন। অবশ্য বঙ্গে গৃহী নাথ যোগীরা রুদ্রজ ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত। তাঁরা ভট্টাচার্য, নাথ, দেবনাথ প্রভৃতি পদবি ব্যবহার করেন।
আশা দেবী
যুগ্ম সম্পাদিকা
বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সংসদ
কলকাতা-৩০
পত্রিকা নয়
‘মেঘনাথ থেকে মেঘনাদ’ (পত্রিকা, ৩-১১) প্রবন্ধে ‘শিশুভারতী’কে যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্তের পত্রিকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘পত্রিকা’ নয়, শিশুভারতী একটি কোষগ্রন্থ। তার সম্পাদনা করেছেন প্রখ্যাত সাহিত্যসেবী যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত (১৮৮৩-১৯৬৫)।
বিমলেন্দু ঘোষ
কলকাতা-৬০
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy