দীর্ঘ দিন লকডাউন থাকায় সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ছিল। আনলক পর্যায়ে সেগুলি খুলেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রগুলি হল— দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর ইত্যাদি। ভ্রমণপিপাসু মানুষ ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছেন। বালিসাইয়ের পর তাজপুর যেতে গেলে মেন রাস্তা থেকে প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকতে হয়। ওই রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে, দু’চাকা, চার চাকা তো দূর, হেঁটে যাতায়াত করাই দুরূহ। পুরো রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যাচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছে। তাজপুর বিচটি সাজানো-গোছানো হলেও রাস্তার এই বেহাল দশার জন্য পর্যটকদের মধ্যে অনীহা দেখা যাচ্ছে। গাড়ি নিয়ে যেতে চাইছেন না কেউ। রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণ— এখান দিয়ে দশ চাকা-ষোলো চাকার গাড়িতে করে জিনিসপত্র, বিশেষ করে পাথরের চাঁই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাজপুরের পাশে চাঁদপুর সমুদ্রসৈকত বাঁধাই করার জন্য। আমপানের ফলে ওই সৈকতে ভাঙন দেখা দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ— বহু বার রাস্তাটি সারানোর আবেদন জানিয়েও কাজ হয়নি। তাজপুরের উপর অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। করোনা ও আমপানের কারণে অনেকেই কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছেন। এঁদের এবং পর্যটকদের কথা ভেবে রাস্তাটি দ্রুত সারানো হোক।
লক্ষ্মীকান্ত মান্না
কর্নেলগোলা, পশ্চিম মেদিনীপুর
স্ট্যাম্পের আকাল
দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে বিভিন্ন প্রকার স্বল্প মূল্যের স্ট্যাম্পের (১০, ২০, ৫০ টাকার) কৃত্রিম সঙ্কট শুরু হয়েছে। মানুষ বেশ কিছু দিন হল এই স্ট্যাম্পগুলো পাচ্ছেন না। ফলে, বেশি দামের (যেমন ১০০ টাকার) স্ট্যাম্প কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। জমি রেজিস্ট্রি, এফিডেভিট-সহ বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে এই স্ট্যাম্প প্রয়োজন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কোর্ট ফি-র ক্ষেত্রেও বিষয়টি চোখে পড়ছে।
যদি রাজ্য প্রশাসনের তরফে স্ট্যাম্প সরবরাহে ঘাটতি থাকে, তা হলে অবিলম্বে ঘাটতি মেটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যদি জেলা স্তরে এটি মনুষ্যসৃষ্ট সঙ্কট হয়, সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের প্রয়োজনীয় নজরদারি ও কড়া পদক্ষেপ করা দরকার। জনগণের স্বার্থে এই দুর্নীতি রোধ করা হোক।
অলিন্দ চক্রবর্তী
বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর
অ-মানবিক
যে সব আশাকর্মী অতিমারি সংক্রান্ত কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘ অসুস্থতার পর কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারছেন— অসুস্থতার সময় কাজে যোগ না দেওয়ার কারণে তাঁর প্রাপ্য অর্থ থেকে কিছু অর্থ কেটে নেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কোনও আশাকর্মী তাঁর কঠিন অসুখের জন্য সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অপারেশন বা চিকিৎসা গ্রহণ করার সময় চিকিৎসকদের পরামর্শমতো এক মাস বা তার বেশি ছুটিতে থাকলে তাঁর প্রাপ্য মাসিক ফিক্সড অনারারিয়াম (৪৫০০ টাকা) এবং ফরমেটের টাকা সম্পূর্ণরূপে কেটে নেওয়া হয়। অর্থাৎ, অসুস্থতার জন্য কাজে যোগ না দেওয়ার কারণে ওই আশাকর্মী এক টাকাও ভাতা পাবেন না ওই সময়কালের জন্য।
দিনের পর দিন হাজার কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় অধিকাংশ আশাকর্মী আজ রোগীতে পরিণত। কিন্তু তাঁদের নিজেদের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নেই। নেই কোনও ছুটি। চিকিৎসার কারণে ছুটি নিলেও কেটে নেওয়া হচ্ছে প্রাপ্য অর্থ। এই অমানবিক আচরণের মধ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হয়। মা ও শিশুর মৃত্যু হ্রাস এবং বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে সরকারি তরফ থেকে বহু প্রশংসা এবং সম্মান প্রদর্শনের কথা আপনারা শুনে থাকবেন। তার সঙ্গে এই করুণ চিত্রটিও জেনে রাখুন।
কাজল চক্রবর্তী অধিকারী
আশাকর্মী, পশ্চিম মেদিনীপুর
অপরিবর্তিত থাক
২০২১-এর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রায় প্রতিটি বিষয়ে সিলেবাসের বোঝা একটু কমানো হয়েছে। এই বিষয়ে আমার দু’-একটা কথা। লকডাউন পিরিয়ডে রাজ্যের অনেক শিক্ষক স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সিলেবাস (বিশেষত, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির) প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। অর্থাৎ, দ্বাদশ শ্রেণির অনেক ছাত্রছাত্রী সিলেবাস থেকে বাতিল হওয়া অংশও শিখে ফেলেছে। এটা সমস্যা নয়। কারণ, বেশি শিখলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হবে না। কিন্তু, প্রজেক্ট-এর বিষয় পরিবর্তন করলে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ, অনেক ছাত্রছাত্রী প্রজেক্টের খাতা তৈরি করে ফেলেছে। বিষয় পরিবর্তন হলে তাদের আবার নতুন করে প্রজেক্ট তৈরি করতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে সময়েরও ক্ষতি হবে। যেমন, দ্বাদশ শ্রেণির দর্শনের যে চারটি অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দু’টি অধ্যায় (কজ় এবং ইন্ডাকটিভ আর্গুমেন্ট) প্রজেক্ট-এর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের মতো আরও অনেক স্কুলে নিশ্চয়ই ছাত্রছাত্রীরা এই বিষয়ে প্রজেক্ট শেষ করে ফেলেছে, শুধু জমা নেওয়ার অপেক্ষা।
শেষে দর্শনের শিক্ষক হিসেবে বলতে চাই, দর্শনের যে চারটি অধ্যায়কে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কারণ এবং যুক্তি অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র এই বছরের জন্য বাতিল হলে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু ‘যুক্তি’ অধ্যায়কে বাদ দিয়ে ‘যুক্তিবিজ্ঞান’ পড়ানো শুরু করা আমার কাছে অস্বস্তিকর।
নিখিল কবিরাজ
চাঁদমারী দেশপ্রিয় শিক্ষায়তন, নদিয়া
বাতিল কেন?
লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু ২৩ নভেম্বর স্টেশনে এসে শুনলাম, সকালে পর পর দু’টি ক্যানিং লোকাল বাতিল করা হয়েছে। জানতে পারলাম, এখন থেকে অফিস টাইমে এই দু’টি ট্রেন বন্ধই থাকবে। যেখানে ভিড় কমানোর জন্য ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন, সেখানে উল্টে কমানো হল। স্টেশনে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর যে ট্রেনটিতে উঠে সোনারপুর থেকে ক্যানিং এলাম, তাতে স্বভাবতই পা রাখার জায়গা ছিল না। বিনীত অনুরোধ, এই দ্বিচারিতা না করে স্বাভাবিক নিয়মে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করুন।
অমরনাথ কর্মকার
কলকাতা-১৫০
ঋণ পান না
আদিবাসীদের জন্য নানা ধরনের ঋণ দেওয়া হয় সরকার থেকে। কিন্তু অধিকাংশ আদিবাসী সেই ঋণ পান না। আবেদন করতে গেলেই এক জন সরকারি গ্যারান্টার চাওয়া হচ্ছে, যা জোটাতে আমরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। আমাদের ঋণের জন্য গ্যারান্টার কেউ হতে চান না। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, যাঁরা ঋণ পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের গ্যারান্টার ছাড়াই ঋণ দেওয়া হোক।
পরগনা বেশরা
মহম্মদবাজার, বীরভূম
আপত্তি কেন?
‘সংস্কার এবং বিজ্ঞানী’ (এষণা, ১৮-১১) শীর্ষক প্রবন্ধ সম্বন্ধে কয়েক জনের মন্তব্য পড়ে (‘বিজ্ঞানের অনুবর্তী’, ‘বিজ্ঞানই পারে’, সম্পাদক সমীপেষু, ২৪-১১) এ কথা পরিষ্কার, আমার মূল বক্তব্যটাই তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। বহির্জগতে যে বিজ্ঞান অপরিহার্য, তা নিয়ে দ্বিমতের কোনও অবকাশই নেই। আর এই বহির্জগতের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্কও পড়ে। কিন্তু মানুষের অন্তর্জগতে? সেখানে তো বহির্জগতের নিয়মকানুন খাটে না। মনস্তত্ত্ব আজও রহস্যপূর্ণ। এই সত্য মেনে নিতে আপত্তি কোথায়?
পার্থ ঘোষ
কলকাতা-২৬
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy