Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
library

সম্পাদক সমীপেষু: বইয়ের দেশে

গ্রন্থাগার তো বিলুপ্তপ্রায় বস্তু বটেই, কিন্তু এমন পাঠকও কি আছেন, যিনি অপ্রয়োজনেও কোনও লাইব্রেরিতে বসে সময় কাটাতে ভালবাসেন?

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২১ ০৪:১৭
Share: Save:

গত ৩১ জুলাইয়ের দু’টি প্রবন্ধ (‘গ্রন্থাগার, এক বিলুপ্তপ্রায় বস্তু’ এবং ‘সবুজ পাঠাগার’) আশ্চর্য এক সমাপতনে যেন জটিল সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে পাঠককে আশ্বাস জুগিয়েছে। প্রথম প্রবন্ধটিতে তৃষ্ণা বসাক যে সমস্যাটির উপর আলো ফেলেছেন, তা কেবল প্রচুর শূন্যপদে কর্মসংস্থান না হওয়ার সমস্যা নয়, এটি একটি জাতির পাঠাভ্যাসের ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ারও প্রশ্ন। মানুষের বই পড়ার অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাওয়া ও এই ধরনের গ্রন্থাগারগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়া— গত কয়েক বছরে এই দু’টি বিষয় যেন একে অপরকে গ্রাস করে ফেলল বড় দ্রুততায়। এই সূত্রে অন্য একটি প্রশ্নও মনে জাগে— গ্রন্থাগার তো বিলুপ্তপ্রায় বস্তু বটেই, কিন্তু এমন পাঠকও কি আছেন, যিনি অপ্রয়োজনেও কোনও লাইব্রেরিতে বসে সময় কাটাতে ভালবাসেন?

আর কী আশ্চর্য, পত্রিকায় প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রবন্ধে নবনীতা দত্ত লিখেছেন তেমনই এক মানুষের কথা। অন্ধকারে যেন নরম এক সবুজাভ আলো জ্বেলে দেয় প্রবন্ধটি। মুর্শিদাবাদের লালবাগে তৃষিত সেনগুপ্তের বইতীর্থের বৈভব বৈচিত্রের বইকি। বৈচিত্রময়, কারণ তৃষিতবাবুর পাঠাগারটি শুধুমাত্র বই দিয়ে সাজানো নয়। প্রকৃতির মধ্যে গাছপালা, বাদ্যযন্ত্র, বইয়ের একত্রবাস এক শান্তির আশ্রয়, ক্লান্তি দূর করার অপূর্ব অক্সিজেন। যদি এমন গ্রন্থোদ্যান গড়ে তোলা যায় বিভিন্ন জায়গায়, পাড়ায় হারিয়ে যাওয়া পাঠাগারগুলির স্থানে? সেখানে মানুষ পাবেন বইয়ের, সুরের, প্রকৃতির শুশ্রূষা। তা হলে তো কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়। কোনও পোড়ো, ড্যাম্প ধরা লাইব্রেরি নয়, আজকের পাঠকের বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে তাকে দিতে হবে বইয়ের এমনই কোনও আশ্রয়।

উৎস মিত্র

কলকাতা-১৯

রেশন কার্ড

জনসাধারণের অভিযোগের অন্ত নেই। রেশন গ্রাহকরা তাঁদের পরিবারের নতুন সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে গ্রামাঞ্চলে আর-৪ আর শহরাঞ্চলে ইউ-৪ ফর্ম পূরণ করছেন। তার পর ব্লক স্তরের খাদ্য ও সরবরাহ দফতর থেকে ফর্মের জ়েরক্স কপিতে বারকোড নম্বর সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক পরিবারই ছ’মাস, এমনকি এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড পাচ্ছেন না। বারকোড নম্বর থাকায় গ্রহীতারা সাইবার কাফেতে নিজেদের ‘স্টেটাস’ সম্পর্কে জানতে গিয়ে দেখছেন, কারও ‘আন্ডার প্রসেসিং’, আবার কারও ‘নট ফাউন্ড’ দেখাচ্ছে। যাঁদের ‘আন্ডার প্রসেসিং’ স্টেটাস দেখাচ্ছে, তাঁদের নতুন রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর যাঁদের ‘নট ফাউন্ড’ স্টেটাস আসছে, তাঁদের আবার নতুন করে ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। বর্তমানে ব্লক খাদ্য দফতরে সমস্যাটা বেশ প্রকট হয়েছে বলেই মনে হয়। আবার দেখা যাচ্ছে নতুন দরখাস্ত জমা দেওয়া ফর্মগুলি কম্পিউটারে এন্ট্রি পর্যন্ত করা হয়নি। ফলে, বারকোড নম্বর দেওয়ার এক মাস থেকে হয়রানি শুরু হয়। বহু রেশন গ্রাহক ব্লক স্তরে খাদ্য দফতরে যোগাযোগ করেও কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না।

অন্য দিকে, যে সব পরিবারের আরকেএসওয়াই-২ ডিজিটাল রেশন কার্ড রয়েছে, সেই সব পরিবারের কয়েক জন সদস্য আর-৮ ফর্ম পূরণ করে আরকেএসওয়াই-২ থেকে আরকেএসওয়াই-১ করতে চাইছেন। কিন্তু সেখানেও অভিযোগের শেষ নেই। কার্ডটি আসলে হবে, কি হবে না— সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে সংশ্লিষ্ট দফতরের কেউ বলতে পারছেন না।

এ ছাড়াও বৈবাহিক সূত্রে এবং বাসস্থান পরিবর্তনের জন্য আর-২ এবং আর-৪ ফর্ম পূরণ করতে হয়। সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলার এবং কেরোসিন তেল ডিলার পূরণ করা ফর্মের নীচে হয়তো লিখে দিলেন যে, তিনি তাঁর রেশন গ্রাহক নিবদ্ধীকরণ তালিকা থেকে ১ ইউনিট বাদ দিলেন। ফর্মে নাম বাদ দেওয়া হলেও কিন্তু নিবদ্ধীকরণ খাতায় তাঁর নামটি থেকে গেল। রেশন ডিলার সেই গ্রাহকের কোটা থেকে তাঁর ভাগের খাদ্যসামগ্রী তুলে নিলেন। এ ব্যবস্থা দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে। দেখা যাবে হয়তো জনসংখ্যার থেকে রেশন কার্ডের সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে। বিষয়গুলি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।

মুস্তাক আলি মণ্ডল

আমতা, হাওড়া

কেমন মন্ত্রিসভা

মোদী মন্ত্রিসভার ৭৮ জন সদস্যের ৭০ জনই, অর্থাৎ শতকরা ৯০ শতাংশই কোটিপতি। এই ৭০ জনের মধ্যে চার জনের সম্পত্তি আবার ৫০ কোটিরও বেশি! এমন বিত্তবান মন্ত্রিসভার থেকে কি আশা করা যায় যে, তাঁরা গরিব ও সাধারণ মানুষের কথা ভাববেন? এঁরা তো স্বাভাবিক ভাবেই ধনীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বেশি সচেষ্ট হবেন। তাতে নিজেদের আখের গোছাতে সুবিধে হবে, যা গরিবদের স্বার্থ দেখলে পাওয়া যাবে না।

এখানে আরও উল্লেখযোগ্য যে, মন্ত্রিসভার ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যাঁদের মধ্যে অনেকেই তা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন। কেউ খুনের, কেউ খুনের চেষ্টার আবার কেউ কেউ জালিয়াতি বা প্রতারণার মামলায়ও জড়িত। এঁদের সাংসদ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়াই উচিত হয়নি। অন্য দিকে, মন্ত্রীদের মধ্যে একাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি!

দেশে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কয়েকটা নিয়ম থাকা উচিত। যেমন, এক, ৫ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির মালিককে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। মন্ত্রিসভায় ১০ শতাংশের বেশি কোটিপতি থাকতে পারবেন না। ১০ লক্ষের কম সম্পত্তির মালিকের সংখ্যা ৩০ শতাংশ হতেই হবে। তবেই না মন্ত্রিসভায় ভারসাম্য থাকবে। দুই, কোনও রকম ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বা জড়িত ব্যক্তিকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। যদি কেউ এই তথ্য চেপে রেখে মনোনয়ন পত্র জমা দেন, তবে পরে তা জানা গেলে বা প্রকাশিত হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ৭ বছরের জেল ও ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। তিন, দশম শ্রেণির কম যোগ্যতা মানের ব্যক্তিকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। মন্ত্রিসভার মোট সদস্যের ৯০ শতাংশকে স্নাতক হতেই হবে, যার মধ্যে কম করে ২০ শতাংশকে হতে হবে উচ্চ ডিগ্রিধারী। বাকি ৭০ শতাংশের ৫০ শতাংশকে উচ্চশিক্ষিত হতে হবে।

‌এ ছাড়াও, অর্থমন্ত্রীকে অর্থনীতিবিদ, আইনমন্ত্রীকে আইনজীবী, শিল্প তথা বিদ্যুৎমন্ত্রীকে ইঞ্জিনিয়ার এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ন্যূনতম মাস্টার ডিগ্রিধারী হতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীকেও কিন্তু উচ্চশিক্ষিত, তথা মাস্টার ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবেই দেশ প্রকৃত অর্থে উপযুক্ত ও কার্যকর মন্ত্রিসভা পাবে, যার থেকে ভাল কিছু আশা করা যায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে জার্মান মন্ত্রিসভার ৩০ শতাংশই ছিলেন ডক্টরেট ডিগ্রিধারী বা বৈজ্ঞানিক। বাকি সব উচ্চশিক্ষিত। তখন জার্মানির সাক্ষরতার হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় শূন্য শতাংশ। সুতরাং, সে দেশ যে ক্রমশ উন্নতি করবে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সত্তরের দশকে ভারতে সাক্ষরতার হার ছিল সম্ভবত ৩০ শতাংশ আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২ শতাংশের একটু বেশি। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশের কিছুটা উপরে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম করে ১ শতাংশ। এ থেকেই বোঝা যায়, ভারত কেন পিছিয়ে অন্যান্য দেশের তুলনায়।

পঙ্কজ সেনগুপ্ত

কোন্নগর, হুগলি

পরিবর্ত ওষুধ

অনেকে সময়ই চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে লেখা নির্দিষ্ট ওষুধ দোকানে ঠিকমতো পাওয়া যায় না। তখন দোকানের কর্মচারীরা পরিবর্ত ওষুধ কেনার পরামর্শ দেন। এ ভাবে পরিবর্ত ওষুধ খাওয়া কি নিরাপদ? এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের পরামর্শ পেলে ভাল হয়।

অমিতাভ সরকার

কলকাতা-৩৬

গত ৩১ জুলাইয়ের দু’টি প্রবন্ধ (‘গ্রন্থাগার, এক বিলুপ্তপ্রায় বস্তু’ এবং ‘সবুজ পাঠাগার’) আশ্চর্য এক সমাপতনে যেন জটিল সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে পাঠককে আশ্বাস জুগিয়েছে। প্রথম প্রবন্ধটিতে তৃষ্ণা বসাক যে সমস্যাটির উপর আলো ফেলেছেন, তা কেবল প্রচুর শূন্যপদে কর্মসংস্থান না হওয়ার সমস্যা নয়, এটি একটি জাতির পাঠাভ্যাসের ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ারও প্রশ্ন। মানুষের বই পড়ার অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাওয়া ও এই ধরনের গ্রন্থাগারগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়া— গত কয়েক বছরে এই দু’টি বিষয় যেন একে অপরকে গ্রাস করে ফেলল বড় দ্রুততায়। এই সূত্রে অন্য একটি প্রশ্নও মনে জাগে— গ্রন্থাগার তো বিলুপ্তপ্রায় বস্তু বটেই, কিন্তু এমন পাঠকও কি আছেন, যিনি অপ্রয়োজনেও কোনও লাইব্রেরিতে বসে সময় কাটাতে ভালবাসেন?

আর কী আশ্চর্য, পত্রিকায় প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রবন্ধে নবনীতা দত্ত লিখেছেন তেমনই এক মানুষের কথা। অন্ধকারে যেন নরম এক সবুজাভ আলো জ্বেলে দেয় প্রবন্ধটি। মুর্শিদাবাদের লালবাগে তৃষিত সেনগুপ্তের বইতীর্থের বৈভব বৈচিত্রের বইকি। বৈচিত্রময়, কারণ তৃষিতবাবুর পাঠাগারটি শুধুমাত্র বই দিয়ে সাজানো নয়। প্রকৃতির মধ্যে গাছপালা, বাদ্যযন্ত্র, বইয়ের একত্রবাস এক শান্তির আশ্রয়, ক্লান্তি দূর করার অপূর্ব অক্সিজেন। যদি এমন গ্রন্থোদ্যান গড়ে তোলা যায় বিভিন্ন জায়গায়, পাড়ায় হারিয়ে যাওয়া পাঠাগারগুলির স্থানে? সেখানে মানুষ পাবেন বইয়ের, সুরের, প্রকৃতির শুশ্রূষা। তা হলে তো কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়। কোনও পোড়ো, ড্যাম্প ধরা লাইব্রেরি নয়, আজকের পাঠকের বই পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে তাকে দিতে হবে বইয়ের এমনই কোনও আশ্রয়।

উৎস মিত্র

কলকাতা-১৯

রেশন কার্ড

জনসাধারণের অভিযোগের অন্ত নেই। রেশন গ্রাহকরা তাঁদের পরিবারের নতুন সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে গ্রামাঞ্চলে আর-৪ আর শহরাঞ্চলে ইউ-৪ ফর্ম পূরণ করছেন। তার পর ব্লক স্তরের খাদ্য ও সরবরাহ দফতর থেকে ফর্মের জ়েরক্স কপিতে বারকোড নম্বর সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক পরিবারই ছ’মাস, এমনকি এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড পাচ্ছেন না। বারকোড নম্বর থাকায় গ্রহীতারা সাইবার কাফেতে নিজেদের ‘স্টেটাস’ সম্পর্কে জানতে গিয়ে দেখছেন, কারও ‘আন্ডার প্রসেসিং’, আবার কারও ‘নট ফাউন্ড’ দেখাচ্ছে। যাঁদের ‘আন্ডার প্রসেসিং’ স্টেটাস দেখাচ্ছে, তাঁদের নতুন রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর যাঁদের ‘নট ফাউন্ড’ স্টেটাস আসছে, তাঁদের আবার নতুন করে ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। বর্তমানে ব্লক খাদ্য দফতরে সমস্যাটা বেশ প্রকট হয়েছে বলেই মনে হয়। আবার দেখা যাচ্ছে নতুন দরখাস্ত জমা দেওয়া ফর্মগুলি কম্পিউটারে এন্ট্রি পর্যন্ত করা হয়নি। ফলে, বারকোড নম্বর দেওয়ার এক মাস থেকে হয়রানি শুরু হয়। বহু রেশন গ্রাহক ব্লক স্তরে খাদ্য দফতরে যোগাযোগ করেও কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না।

অন্য দিকে, যে সব পরিবারের আরকেএসওয়াই-২ ডিজিটাল রেশন কার্ড রয়েছে, সেই সব পরিবারের কয়েক জন সদস্য আর-৮ ফর্ম পূরণ করে আরকেএসওয়াই-২ থেকে আরকেএসওয়াই-১ করতে চাইছেন। কিন্তু সেখানেও অভিযোগের শেষ নেই। কার্ডটি আসলে হবে, কি হবে না— সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে সংশ্লিষ্ট দফতরের কেউ বলতে পারছেন না।

এ ছাড়াও বৈবাহিক সূত্রে এবং বাসস্থান পরিবর্তনের জন্য আর-২ এবং আর-৪ ফর্ম পূরণ করতে হয়। সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলার এবং কেরোসিন তেল ডিলার পূরণ করা ফর্মের নীচে হয়তো লিখে দিলেন যে, তিনি তাঁর রেশন গ্রাহক নিবদ্ধীকরণ তালিকা থেকে ১ ইউনিট বাদ দিলেন। ফর্মে নাম বাদ দেওয়া হলেও কিন্তু নিবদ্ধীকরণ খাতায় তাঁর নামটি থেকে গেল। রেশন ডিলার সেই গ্রাহকের কোটা থেকে তাঁর ভাগের খাদ্যসামগ্রী তুলে নিলেন। এ ব্যবস্থা দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে। দেখা যাবে হয়তো জনসংখ্যার থেকে রেশন কার্ডের সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে। বিষয়গুলি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।

মুস্তাক আলি মণ্ডল

আমতা, হাওড়া

কেমন মন্ত্রিসভা

মোদী মন্ত্রিসভার ৭৮ জন সদস্যের ৭০ জনই, অর্থাৎ শতকরা ৯০ শতাংশই কোটিপতি। এই ৭০ জনের মধ্যে চার জনের সম্পত্তি আবার ৫০ কোটিরও বেশি! এমন বিত্তবান মন্ত্রিসভার থেকে কি আশা করা যায় যে, তাঁরা গরিব ও সাধারণ মানুষের কথা ভাববেন? এঁরা তো স্বাভাবিক ভাবেই ধনীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বেশি সচেষ্ট হবেন। তাতে নিজেদের আখের গোছাতে সুবিধে হবে, যা গরিবদের স্বার্থ দেখলে পাওয়া যাবে না।

এখানে আরও উল্লেখযোগ্য যে, মন্ত্রিসভার ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যাঁদের মধ্যে অনেকেই তা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন। কেউ খুনের, কেউ খুনের চেষ্টার আবার কেউ কেউ জালিয়াতি বা প্রতারণার মামলায়ও জড়িত। এঁদের সাংসদ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়াই উচিত হয়নি। অন্য দিকে, মন্ত্রীদের মধ্যে একাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি!

দেশে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কয়েকটা নিয়ম থাকা উচিত। যেমন, এক, ৫ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির মালিককে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। মন্ত্রিসভায় ১০ শতাংশের বেশি কোটিপতি থাকতে পারবেন না। ১০ লক্ষের কম সম্পত্তির মালিকের সংখ্যা ৩০ শতাংশ হতেই হবে। তবেই না মন্ত্রিসভায় ভারসাম্য থাকবে। দুই, কোনও রকম ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বা জড়িত ব্যক্তিকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। যদি কেউ এই তথ্য চেপে রেখে মনোনয়ন পত্র জমা দেন, তবে পরে তা জানা গেলে বা প্রকাশিত হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ৭ বছরের জেল ও ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। তিন, দশম শ্রেণির কম যোগ্যতা মানের ব্যক্তিকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। মন্ত্রিসভার মোট সদস্যের ৯০ শতাংশকে স্নাতক হতেই হবে, যার মধ্যে কম করে ২০ শতাংশকে হতে হবে উচ্চ ডিগ্রিধারী। বাকি ৭০ শতাংশের ৫০ শতাংশকে উচ্চশিক্ষিত হতে হবে।

‌এ ছাড়াও, অর্থমন্ত্রীকে অর্থনীতিবিদ, আইনমন্ত্রীকে আইনজীবী, শিল্প তথা বিদ্যুৎমন্ত্রীকে ইঞ্জিনিয়ার এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ন্যূনতম মাস্টার ডিগ্রিধারী হতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীকেও কিন্তু উচ্চশিক্ষিত, তথা মাস্টার ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবেই দেশ প্রকৃত অর্থে উপযুক্ত ও কার্যকর মন্ত্রিসভা পাবে, যার থেকে ভাল কিছু আশা করা যায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে জার্মান মন্ত্রিসভার ৩০ শতাংশই ছিলেন ডক্টরেট ডিগ্রিধারী বা বৈজ্ঞানিক। বাকি সব উচ্চশিক্ষিত। তখন জার্মানির সাক্ষরতার হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় শূন্য শতাংশ। সুতরাং, সে দেশ যে ক্রমশ উন্নতি করবে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সত্তরের দশকে ভারতে সাক্ষরতার হার ছিল সম্ভবত ৩০ শতাংশ আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২ শতাংশের একটু বেশি। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশের কিছুটা উপরে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কম করে ১ শতাংশ। এ থেকেই বোঝা যায়, ভারত কেন পিছিয়ে অন্যান্য দেশের তুলনায়।

পঙ্কজ সেনগুপ্ত

কোন্নগর, হুগলি

পরিবর্ত ওষুধ

অনেকে সময়ই চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে লেখা নির্দিষ্ট ওষুধ দোকানে ঠিকমতো পাওয়া যায় না। তখন দোকানের কর্মচারীরা পরিবর্ত ওষুধ কেনার পরামর্শ দেন। এ ভাবে পরিবর্ত ওষুধ খাওয়া কি নিরাপদ? এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের পরামর্শ পেলে ভাল হয়।

অমিতাভ সরকার

কলকাতা-৩৬

অন্য বিষয়গুলি:

library
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy