Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Driving License

অবৈধ যানবাহন

কিছু কিছু ইঞ্জিন ভ্যানে জ্বালানি রূপে ডিজ়েল ব্যবহৃত হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় কাটা তেল বা কেরোসিন।

—ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ০৪:২৯
Share: Save:

কলকাতা সংলগ্ন শহরতলি কিংবা গ্রামাঞ্চলের প্রায় সর্বত্র আজকাল চোখে পড়ছে তিন চাকার ইঞ্জিনচালিত ভ্যান বা ‘ভ্যানো’। এই যানবাহনের সংখ্যা গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। বর্তমানে শহরতলি বা গ্রামাঞ্চলে এই ভ্যানগুলি প্রধান মালবাহী গাড়ি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আনাজ থেকে শুরু করে ইমারতি দ্রব্য— সব ধরনের পণ্যই নিয়ে যাওয়া হয় এতে। জনবহুল রাস্তায় যথেচ্ছ গতিতে যে ভাবে লোহার রড কিংবা বাঁশ নিয়ে ভ্যানগুলি যাতায়াত করে, দেখে আঁতকে উঠতে হয়। বলা বাহুল্য, ওই বেপরোয়া গতির জন্য প্রায়শই ঘটে দুর্ঘটনা। এই ত্রি-চক্র যানের মধ্যে যেগুলি অপেক্ষাকৃত বৃহদাকার, সেগুলি স্টিয়ারিং-হুইল চালিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সের কোনও বালাই নেই।

কিছু কিছু ইঞ্জিন ভ্যানে জ্বালানি রূপে ডিজ়েল ব্যবহৃত হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় কাটা তেল বা কেরোসিন। কাটা তেলে সাধারণত পঞ্চাশ শতাংশ পেট্রল, ত্রিশ শতাংশ কেরোসিন এবং কুড়ি শতাংশ ন্যাপথা থাকে। কাজেই, এই জ্বালানির দাম পেট্রলের থেকে অনেকটাই কম। কিন্তু এর ফলে যে ধোঁয়া উৎপন্ন হয়, তাতে কার্বন কণার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ফলে পরিবেশ দূষণ ঘটে মাত্রাতিরিক্ত। এই ধরনের দূষণের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ফুসফুসের ক্যানসার এবং অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা। ইঞ্জিনচালিত ভ্যানগুলি এলাকায় শুধু যে বায়ুদূষণ ঘটাচ্ছে তা-ই নয়, সাইলেন্সর পাইপবিহীন এই যান শব্দদূষণও ঘটাচ্ছে মারাত্মক ভাবে। প্রশ্ন ওঠে, যানগুলির জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের শংসাপত্র বণ্টনের কি আদৌ কোনও ব্যবস্থা আছে? যদি থেকে থাকে, তা হলে ভ্যানচালক সেই শংসাপত্র ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে দাখিল করেন কি?

পরিবেশ রক্ষার জন্য বারংবার জোর দেওয়া হচ্ছে পরিবেশবান্ধব শক্তির উপর। সেই কারণে, শহরাঞ্চলে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাটারিচালিত গাড়ি, গ্রিন অটো ইত্যাদি। কিন্তু, শহর পার হলেই চোখে পড়ছে উলট পুরাণ। প্রায় সমগ্র উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইঞ্জিন ভ্যান। রুটি-রুজির দোহাই দিয়ে এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে চলেছেন পরিবেশ। এর প্রতিকার কী?

রাজীব রায় গোস্বামী, সোনারপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

মানবিক

নভেম্বর মাস চলছে। যাঁরা অবসরকালীন পেনশন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে পেয়ে থাকেন, তাঁদের ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কগুলোর কাছে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয় সশরীরে। যদি ওই লাইফ সার্টিফিকেট উক্ত সময়ের মধ্যে জমা না দেওয়া হয়, তবে পরবর্তী মাসে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হবে না। দেখা যায়, এমন অনেক পেনশনভোগী আছেন কিংবা তাঁদের বিধবা স্ত্রী আছেন, যাঁরা দীর্ঘ দিন খুবই অসুস্থ। সশরীরে ব্যাঙ্কের দোতলায় কিংবা তিনতলায় গিয়ে তাঁদের পক্ষে নথিপত্র জমা করা অসম্ভব। এই অবস্থায় তাঁদের সাহায্য করতে যদি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদেরই কোনও কর্মীকে উক্ত পেনশনভোগীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের জীবিত থাকার সার্টিফিকেট নেওয়ার ব্যবস্থা করেন, তবে সেটা মানবিক পদক্ষেপ হয়। যদিও এখন অনলাইনে উক্ত নথি জমা করা চালু হয়েছে, তবুও অনেকের পক্ষেই অনলাইনে ওই সার্টিফিকেট জমা করা সম্ভবপর নয় বিবিধ কারণে। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি, মানবিকতার দৃষ্টি থেকে এই সমস্যার সমাধান করুন।

স্বপন কুমার আঢ্য, ভান্ডারহাটি, হুগলি

বন্ধ বাস

২ নম্বর রুটের বাস, যা চলত চুঁচুড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত, বেশ কয়েক মাস হল তা বন্ধ আছে। এই রুটের বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চুঁচুড়া, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর ও বৈদ্যবাটির জিটি রোড সংলগ্ন এলাকার মানুষদের একটু দূরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। একটু দূরে যেতে গেলেই টোটো বা অটো করে দুই বা তিন বার ভেঙে যেতে হয়। এতে যাতায়াতের ভাড়া এবং সময়— দুই-ই বেশি লেগে যায়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, ২ নম্বর রুটের বাসপুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।

কালী শঙ্কর মিত্র, ভদ্রেশ্বর, হুগলি

যাত্রী সুবিধার্থে

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার স্টেশনগুলির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত স্টেশন যাদবপুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমস্ত ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে যায়। কিন্তু স্টেশনে কোন ট্রেন আসছে যাচ্ছে, তার কোনও ডিসপ্লে বোর্ড নেই। এখানে প্ল্যাটফর্মে দু’টি মাইক লাগানো আছে,কিন্তু ট্রেন আসার আগে কোনও রকম ঘোষণা করা হয় না। আমরা যারা নিত্যযাত্রী নই, তাদের পক্ষে কোন ট্রেন আসছে বোঝা মুশকিল। লোকাল ট্রেন যখন শিয়ালদহ থেকে যাচ্ছে তখন তাতে লোকালের নাম লেখা থাকে। কিন্তু যখন শিয়ালদহ ফিরছে তখন তাতে লোকালের কোনও নাম লেখা থাকে না। এতে যাত্রীদের আরও অসুবিধা বাড়ে।রেল সিনিয়র সিটিজ়েনদের সুবিধা তুলে দিয়েছে, অন্য অনেক সুবিধাতেও কাটছাঁট করেছে। কিন্তু এই ছোটখাটো বিষয়গুলি যাত্রীদের সুবিধার্থে নজর রাখা জরুরি নয় কি?

রূপম মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-৪৭

চাঁদার জুলুম

‘চাঁদা তোলার প্রতিবাদ, আক্রান্ত পুলিশকর্তা’ (১৬-১১) শীর্ষক সংবাদ সূত্রে খবর, হাইওয়েতে গাড়ি আটকে চাঁদা তুলতে বাধা দেওয়ার কারণে ধূপগুড়িতে জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তাঁর দেহরক্ষী চাঁদা আদায়কারীদের দ্বারা আক্রান্ত হন। কালীপুজোর রাতেও খাস কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকায় একই কারণে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। শুধু পুজো উপলক্ষেই নয়, নানা অজুহাতে রাস্তায় গাড়ি আটকে চাঁদা তোলাটা এক শ্রেণির যুবকের কাছে রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। মোড়ের মাথার শনি পুজো, জলসা, কবি গান, বাউল গান, কীর্তন, দরিদ্র নারায়ণ সেবা, বস্ত্র বিতরণ, গরিব পরিবারের রোগীর চিকিৎসা— নানা অজুহাতে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে বছরভর বলপূর্বক চাঁদা আদায় করা হয়। এক শ্রেণির কাছে এটা সাময়িক আয়ের একটি ভিন্ন পন্থা ছাড়া কিছুই নয়। বেশ কিছু দিন আগে ডিসেম্বরের রাতে এক অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরছিলাম। জাগুলিয়া থেকে অশোকনগর কচুয়া মোড় আসার রাস্তায় কোনও একটি জায়গায় (পঞ্চায়েত এলাকা), হাতে টর্চ ও বাঁশের লাঠি নিয়ে এক দল যুবক আমাদের গাড়ি আটকায়। গ্রামে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে পঞ্চাশ টাকা চাঁদা দিতে হয়েছিল।

রাজনৈতিক প্রশ্রয় ছাড়া এই ধরনের কর্মকাণ্ড সম্ভব বলে মনে হয় না। এ ধরনের ঘটনার দায় পুলিশ প্রশাসনের কাঁধে চাপিয়ে লাভ নেই। কারণ, তারা নিজেরাই আজ আক্রান্ত। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর মনোভাব ও হস্তক্ষেপ ছাড়া এই ব্যাধি দূর করা সম্ভবপর নয়।

অরিন্দম দাস, হরিপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

কপট প্রোমোটার

চার বছর আগে সোনারপুরে শিমুলতলায় ঋণ নিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনি। অথচ, আজ পর্যন্ত প্রোমোটার কমপ্লিশন সার্টিফিকেট (সিসি) দিল না। আমরা থানা, কনজ়িউমার ফোরাম ইত্যাদি অনেক কিছুই করেছি। কিন্তু কোথাও কোনও কাজ হয়নি। অনেক কষ্ট করে একটি বাসস্থান করতে চেয়েছিলাম। এই সমস্যার কি কোনও সুরাহা নেই?

সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-১৫০

অন্য বিষয়গুলি:

Driving License Van
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy