—ফাইল চিত্র।
আমি এক জন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। এ বছরের লোকসভা ভোটে আমাকে ভোটকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আমাদের প্রথম দফার প্রশিক্ষণ ছিল হিন্দু স্কুলে। সময় নির্ধারিত ছিল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। দূরদূরান্ত থেকে এই প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যেও ভোটকর্মীরা বাধ্য হয়েই জড়ো হন সেখানে। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর শুরু হয় প্রশিক্ষণ। শুরুতে এক-দু’লাইন বলেই ‘আমাদের বোঝার সুবিধা’-র জন্য দু’জন আলাদা ব্যক্তির ভিডিয়ো চালানো হয় প্রোজেক্টরের মাধ্যমে। তা-ও অর্ধেক চালিয়ে বাকিটা ইউটিউব থেকে দেখে নিতে বলা হয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার প্রশ্ন, যদি ইউটিউব থেকেই শিখতে হত, তবে মাস্টার ট্রেনার, প্রোজেক্টর, সাউন্ড-সিস্টেম, আরও লোকবল, স্কুল ভাড়া— এ সবের পিছনে এত ব্যয়ের যৌক্তিকতা কোথায়? কমিশনে এমন কি কেউ নেই, যিনি মাস্টার ট্রেনিংয়ের ভিডিয়ো আপলোড করতে পারেন? পাশাপাশি সেই সময় গোটা রাজ্য জুড়েই চলছিল তীব্র দাবদাহ। ওই সময়ে এ রকম দায়সারা ট্রেনিংয়ের জন্য ডেকে পাঠানো এক প্রকার অমানবিক বলে মনে করি। তবে, এ রকম দায়সারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে প্রথম বারের ভোটকর্মীর পক্ষে ভোট নেওয়াও মুশকিল হবে। সে ক্ষেত্রে দায় বর্তাবে কমিশনের উপরেই।
কাজি মিজানুর রহমান, কেশপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
ওঁরাও মানুষ
‘ম্যানহোলে লোক নামিয়ে চলছে সাফাইকাজ, অভিযোগ দক্ষিণ দমদমে’ (১-৫) সংবাদে শিউরে উঠলাম। স্বাধীনতার এত বছর পরেও মানুষকে নিজের জীবন বিপন্ন করে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে হচ্ছে। ওঁদের সুরক্ষার ব্যাপারে এত উদাসীন কেন সরকার? পুরসভাগুলিতে কি পরিকাঠামো নেই তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার? শুনেছি এখন প্রায় প্রত্যেক পুরসভায় নর্দমা সাফাইয়ের কাজ বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়। সেই সময় কি দেখা হয় না সংস্থার কাজ করানোর পদ্ধতিটি কেমন? সুরক্ষার যথাযথ বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কি না? শুধুমাত্র নির্দেশ দিয়েই কি পুরসভার দায়িত্ব শেষ? কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা ছাড়া আর কি পদক্ষেপ করা হয়? কিছু দিন পরে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। পুরসভার কাছে অনুরোধ, এই ঠিকা সাফাইকর্মীদের অবহেলা করবেন না। ওঁদের সুরক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা করা হোক।
তমাল মুখোপাধ্যায়, ডানকুনি, হুগলি
মহিলাদের জন্য
লালগোলা-শিয়ালদহ শাখার মধ্যে যে ট্রেনগুলি চলে, তার মধ্যে ভাগীরথী এক্সপ্রেস অন্যতম। সময় বাঁচানোর প্রয়োজনে অথবা শখের ভ্রমণের ক্ষেত্রে লোকেরা ভাগীরথী এক্সপ্রেস চড়েন। এই ট্রেনে সওয়ার হতে গেলে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়। এই এক্সপ্রেস ট্রেনে রয়েছে মহিলা কামরা। মহিলা কামরাটি ট্রেনের একেবারে সামনে। সেখানে বসার জন্য মাত্র দুটো কুঠুরি। সর্বসাকুল্যে কুড়ি জনের বসার জায়গা। সেখানে দাঁড়ানোরও ঠিকঠাক জায়গা নেই। জানি না রেল কর্তৃপক্ষের কেন মনে হয়েছে মহিলা-কামরায় যাত্রী-সংখ্যা কুড়ির বেশি হবে না। অথচ, বেশির ভাগ মহিলাই জেনারেল কামরা এড়িয়ে নিজেদের মতো করে মহিলা-কামরায় যাতায়াত করতে ভালবাসেন। মাতৃভূমি লোকালগুলোতে এবং সাধারণ ট্রেনের মহিলা-কামরার দিকে তাকালে বোঝা যায়, মহিলারা নিতান্ত কম সংখ্যায় রেলপথে যাতায়াত করেন না। তা হলে এই দীর্ঘ ট্রেন যাত্রাপথে কেন এত ছোট মহিলা কামরার ব্যবস্থা করা হল?
ভাগীরথী এক্সপ্রেসের মহিলা-কামরায় আর এক সমস্যা, এখানে কোনও শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই। এ দিকে ট্রেনটি আবার সব স্টেশনে দাঁড়ায় না। ফলে কোনও মহিলা-যাত্রীর শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে স্টেশনে নেমে পড়ার উপায়ও নেই। একটা এক্সপ্রেস ট্রেনে যখন মহিলা কামরা আলাদা করে রাখা হল, তখন কেন শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হল না?
দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে ভাগীরথী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে উপযুক্ত যাত্রী-পরিষেবা কেন থাকবে না? এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা করলে মহিলা-যাত্রীদের সুবিধা হবে।
রাজলক্ষ্মী পাল, কৃষ্ণনগর, নদিয়া
কিয়স্ক সমস্যা
কোন্নগর ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক-এর শাখায় আমি এক জন গ্রাহক। ব্যাঙ্কের ভিতর পাসবুক আপডেট করার জন্য একটি পাসবুক প্রিন্টিং কিয়স্ক রাখা আছে। গ্রাহকরা নিজেরাই সেখানে নিজেদের পাসবুক আপডেট করে নেন। ব্যাঙ্কের কোনও কর্মী সেখানে সাহায্য করেন না। কিন্তু প্রায় সময়েই ওটি খারাপ অবস্থায় থাকে। আপডেট করার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়তে দেখা যায়। এক-দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অথচ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। অবিলম্বে বর্তমান কিয়স্ক মেশিনটি সারানোর জন্য অথবা নতুন একটি সচল মেশিন বসানোর জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল, কোন্নগর, হুগলি
টোটোর দাপট
বারুইপুর নর্থ কেবিন রোড সংলগ্ন রাস্তাগুলিতে যথাযথ ভাবে স্পিডব্রেকার লাগানো খুব প্রয়োজন। পাঁচ থেকে ছ’ফুটের সঙ্কীর্ণ ফুটপাত বিহীন পাড়ার অলি-গলিতে শয়ে শয়ে টোটোর দাপটে পথচারীরা প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। গত কয়েক বছরে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে টোটোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। মেন রোডের পাশাপাশি পাড়ার অলি-গলি দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে চলে টোটোগুলি। কিছু দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন মেন রোডে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করায় সাময়িক ভাবে টোটোর উপদ্রব কমলেও কয়েক মাসের মধ্যেই আবার পুরনো পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। মেন রোডের ট্র্যাফিক পুলিশও এ ব্যাপারে উদাসীন। পূর্বে পলিব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার সাময়িক কড়াকড়ির স্মৃতি উস্কে দেয় এই প্রশাসনিক কর্মপদ্ধতির ধারাবাহিকতা। আশা করি ভবিষ্যতে প্রশাসন কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তার স্থায়িত্বের বিষয়েও দায়িত্বশীল হবে।
সৌম্যকান্তি মণ্ডল, কলকাতা-১৪৪
ন্যায্য মূল্যে
কয়েক দশক আগেও বিমানযাত্রা সাধারণ মানুষের কাছে বিলাসিতা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিমানভাড়া আগের তুলনায় কমে যাওয়ায় এবং সময়ের সাশ্রয়ের কারণে অনেকেই এখন জীবন-জীবিকার তাগিদে, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনে বা অন্য কারণে বিমানে যাতায়াত করেন। কিন্তু দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে দেখেছি এক কাপ চায়ের মূল্য কম বেশি দেড়শো-দু’শো টাকা। নিরাপত্তা এবং অন্যান্য কারণে এমনিতেই প্রায় দুই ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে হয়। কখনও কখনও বিমান ছাড়তে কয়েক ঘণ্টা দেরিও হয়। তখন চা-কফি খেতে হলে অত দাম দিয়ে কেন কিনে খেতে হবে, তার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাই না। আমার অনুরোধ বিমানবন্দরেও ন্যায্য মূল্যে চা-কফি খাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
অজয় দাস, উলুবেড়িয়া, হাওড়া
জটিল পদ্ধতি
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ভূমি রাজস্ব বিভাগ অনলাইন খাজনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বাংলার ভূমি পোর্টালের মাধ্যমে। কিন্তু এই খাজনা দেওয়ার পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, সাধারণ জনতার জন্য সহজ ভাবে অনলাইনে খাজনা দেওয়ার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে একটু সচেষ্ট হতে।
অঞ্জন মুখোপাধ্যায়, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy