ফাইল চিত্র।
দক্ষিণেশ্বরের কাছে আলমবাজারে থাকি। কর্মস্থল নিউ টাউন। কাজ শেষে অফিস থেকে বার হতে রাত ন’টা-সওয়া ন’টা হয়ে যায়। প্রতি দিন রাতে বাড়ি ফেরাটা এক আতঙ্ক আমার কাছে। শুধু আমি নই, আমার মতো এই রুটের অন্যান্য নিত্যযাত্রী, বিশেষত কর্মরতা মহিলাদের কাছে। কারণ, বেশির ভাগ দিন, রাত পৌনে ন’টার পর থেকে এই রুটে কোনও বাস থাকে না। সাড়ে আটটার মধ্যেই শেষ বাস ছাড়ে। একমাত্র ধুলাগড়গামী এনডিআরটিসি রুটের একটি বাস রাত আটটা চল্লিশে চিংড়িঘাটা থেকে শেষ বার ছাড়ে। কদাচিৎ সেই বাসের দেখা মিললেও অত্যধিক ভিড়ের কারণে ওঠা যায় না। ফলে, দু’বার বাস বদল করে বা শেয়ারের গাড়িতে অনেক বেশি খরচ করে বাড়ি ফিরতে হয়। বহু মানুষ নিউ টাউন থেকে বালি স্টেশনে এসে বিভিন্ন গন্তব্যের লোকাল ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরেন। ফলে এই রুটে যাত্রীর চাপ প্রচণ্ড থাকে। অথচ, পরিবহণ অপ্রতুল।
তাই কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, অন্যান্য রুটের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ রুটেও রাতের দিকে আরও বাস পরিষেবার ব্যবস্থা করলে বহু নিত্যযাত্রী উপকৃত হবেন।
রজতকান্তি সরকার, কলকাতা-৩৫
কুসংস্কার বৃদ্ধি
একটি বাংলা ধারাবাহিকে দেখলাম গরম কয়লার উপর দিয়ে হেঁটে গেলে স্বামীর মঙ্গল হবে দেখানো হচ্ছে। গল্পে নায়কের দু’জন স্ত্রী। এক জন মৃতা বলে আগে ঘোষিত হলেও আবার ফিরে এসেছেন। দুই স্ত্রীর মধ্যে কলহ, কে কয়লার বিছানার উপর দিয়ে হাঁটবে। এবং এক স্ত্রী কয়লার মধ্যে আগুন দিয়ে রেখেছেন, যাতে অন্য জনের পা পুড়ে যায়। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও এ কোন সমাজে বাস করছি আমরা, যেখানে টেলিভিশনের ধারাবাহিকে এই রকম কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? কোনও প্রতিবাদও হয় না এ সবের বিরুদ্ধে। এগুলো অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত নয় কি?
সোহিনী দত্ত, কলকাতা-৭৪
নতুন প্রতারণা
হাওড়ার আমতায় সরকারি গ্যাসের অনুদানের প্রলোভন দেখিয়ে নতুন প্রতারকের আবির্ভাব ঘটেছে। বৃহত্তর আমতায় একটি সরকারি গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটার আছে। তাদের অধীন আছে ছত্রিশ হাজারের কাছাকাছি গ্ৰাহকবৃন্দ। এই প্রতারকরা নিজেদের ওই গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ফোন নম্বর থেকে গ্ৰাহকদের ফোন করছে। এবং বলা হচ্ছে, করোনাকাল থেকে বন্ধ থাকা গ্যাসের ভর্তুকির টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে দিতে চায় তারা। বিশ্বাস অর্জনের জন্য ভর্তুকির টাকার অঙ্ক হিসাবে কাউকে ছ’হাজার, কাউকে সাত বা আট হাজার টাকা বলা হচ্ছে। বিনিময়ে গ্ৰাহকদের থেকে চাওয়া হচ্ছে কোনও গ্ৰামীণ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বা অন্য কোনও ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড নম্বর। ইতিমধ্যে এদের ফাঁদে পা দিয়ে আমতার অনেকে ঠকেছেন।
এখন গ্রাহকরা ভয়ে ভিড় জমাচ্ছেন গ্যাস অফিসে। গ্যাস অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা এই বিষয়ে গ্ৰাহকদের কোনও দিনও ফোন করেন না। গ্ৰাহকদের সচেতন করতে গ্ৰামে গ্ৰামে মাইকের মাধ্যমে সতর্কও করা হচ্ছে। এই ধরনের ফোন পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস অফিস, থানা বা সাইবার ক্রাইম শাখায় যোগাযোগ করা উচিত। তবে, একটা রহস্য থেকেই যায়— প্রতারকরা কী ভাবে গ্ৰাহকদের নির্দিষ্ট নাম ও ফোন নম্বর পেয়ে যাচ্ছে?
দীপংকর মান্না, চাকপোতা, হাওড়া
রেলের সমস্যা
বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করি। বাড়ি তমলুক সংলগ্ন এলাকায়। হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে যাতায়াত করে থাকি। ট্রেনটিই নম্বর বদলে রবিবার দিন আসানসোল থেকে ছেড়ে তমলুক হয়ে দিঘা যায়। অনলাইন টিকিট কেটে যাতায়াত করতাম। প্রায় এক বছর ধরে দেখছি ওই ট্রেনটিতে রিজ়ার্ভেশন বন্ধ এবং ই-টিকিটও কাটা যাচ্ছে না। প্ল্যাটফর্মে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় ট্রেনে আসন পাওয়ার জন্য উদ্বেগ, সেই সঙ্গে গুঁতোগুঁতি, ধাক্কাধাক্কি ফিরে এসেছে। কী কারণে সব ক’টি কামরা অসংরক্ষিত করে দেওয়া হল, বুঝলাম না। নির্দেশ জারি করার আগে রেল কর্তৃপক্ষ প্রবীণ বা মহিলাদের অসুবিধার কথা ভাবলেন না? রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, অন্তত চার-পাঁচটি বগি সংরক্ষিত রাখা হোক, আগে যেমন ছিল। সেই সঙ্গে ই-টিকিট চালু হোক।
দ্বিতীয় সমস্যাটি হল তমলুক রেল স্টেশনের। স্টেশন থেকে যাতায়াত করতে হলে ২ অথবা ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে উঠতে ও নামতে হয়। দু’টি প্ল্যাটফর্ম থেকে স্টেশনের বাইরে যাওয়ার পথটি ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে টিকিট কাউন্টারের সামনে দিয়ে। স্টেশনটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার। এখানে চেন্নাই এক্সপ্রেসের মতো বড় বড় এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ায়। স্টেশনের ওভারব্রিজটি রয়েছে প্ল্যাটফর্মের একেবারে পশ্চিমের শেষ প্রান্তে। ফলে ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ধরতে বা স্টেশনের বাইরে বেরোতে গেলে ওভারব্রিজ অতিক্রম করতে হয়। যদি কোনও যাত্রী ওভারব্রিজের সাপেক্ষে ট্রেনের শেষের দিকে নামেন, তাঁকে স্টেশনের বাইরে বেরোতে গেলে কমপক্ষে প্রায় ৩০০ মিটার পথ হাঁটতে হয়। অনেক যাত্রীই ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে রেল লাইন টপকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উঠে শর্ট-কাট পথে বেরিয়ে যান বা ঢোকেন। এমনকি ট্রেন ধরার জন্য বড় বড় মালপত্র নিয়ে মহিলারা রেল লাইন টপকে ট্রেন ধরেন, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। কয়েকটি প্রস্তাব রইল। এক, অবিলম্বে ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্যে চলন্ত সিঁড়িযুক্ত ওভারব্রিজ তৈরি করা হোক। দুই, প্রবীণ ও অসুস্থ যাত্রীদের ট্রেনে ওঠার সুবিধার্থে লিফট-এর ব্যবস্থা করা হোক। তিন, স্টেশনে কোনও অনুসন্ধান অফিস নেই। যাত্রী সুবিধার্থে এখানে ফোন যোগাযোগ-সহ অনুসন্ধান অফিস চালু করতে হবে। চার, টিকিট কাটার ক্ষেত্রে মহিলা যাত্রীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হোক।
মৃণাল মাইতি, ডিভিসি, বাঁকুড়া
কেন ভিন্ন চুক্তি
‘ব্যাঙ্কের লকারের নয়া নিয়ম কাল থেকে’ (৩১-১২) পড়ে দু’-একটা কথা না বললেই নয়। ব্যাঙ্কের লকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লকার গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাঙ্কের নতুন করে চুক্তি করতে হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কত টাকার স্ট্যাম্প পেপারের উপর এই চুক্তি করতে হবে, তা পরিষ্কার নয়। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিভিন্ন টাকার স্ট্যাম্প পেপার চাইছে। যেমন, হালিশহর পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপার চেয়েছিল। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক মুড়াগাছা শাখাতেও ৫০ টাকা। অন্য দিকে, আমার দাদার অ্যাকাউন্ট আছে স্টেট ব্যাঙ্কে। সেখানে দশ টাকার স্ট্যাম্প পেপারের উপর চুক্তি করা হয়েছে। একই রাজ্যে একই চুক্তির জন্যে বিভিন্ন দামের স্ট্যাম্প পেপার লাগবে কেন?
শ্যামলী রায় (মুখোপাধ্যায়), হালিশহর, উত্তর ২৪ পরগনা
সার্টিফিকেট কই
বহু বিপত্তির পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষার নমুনা উত্তরপত্র দেওয়া হয়েছে এবং অচিরেই সম্পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ হবে। এই পরীক্ষার জন্য বি এড উত্তীর্ণরাও উপযুক্ত, তাই টেটে সফল প্রার্থীদের বি এড সার্টিফিকেট প্রদান অত্যন্ত জরুরি। আশ্চর্য যে, দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টিচারস’ ট্রেনিং, এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর অধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যারা ২০১৭-২০১৯ সেশন থেকে অদ্যাবধি বি এড পাশ করেছে, তারা এখনও সার্টিফিকেট পায়নি।
সৈয়দ আনসার উল আলাম, ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy