কেরলে সাক্ষরতার হার ৯৩ শতাংশ। অতিবামেরা ১০০ শতাংশ বলতে ভালবাসেন। সাক্ষরতা দিয়ে শিক্ষার মূল্য বিচার্য নয়, তার বড় উদাহরণ, ভারতের ওই ‘উন্নত’ রাজ্যে প্রাণীদের ওপর নৃশংসতা ও প্রাণিহত্যা নিয়মমাফিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালে দুটো হাতির সারা গায়ে কেরোসিন স্প্রে করে আগুন জ্বালিয়ে মারা হয়েছিল। হাতি দুটি গ্রামে কোনও ফসল খায়নি, মানুষকে বিরক্তও করেনি। গ্রামে ঘুরে বেড়াত, এই তাদের অপরাধ!
২০১৩ সাল। খাবারে বিষ মিশিয়ে ৫৬টি পথ-কুকুরকে হত্যা করা হয়েছিল ওই কেরলেই। সংবাদপত্রে এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়ও উঠেছিল। তার পরেও প্রায় নিয়ম করে কুকুর হত্যার ঘটনা ওই রাজ্যে আর নতুন কিছু নয়।
আর ২০২০-তে, করোনার আতঙ্কে স্তব্ধ মানুষ যখন প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নেবে বলে ভাবা শুরু হয়েছে, ঘটল আরও এক অবর্ণনীয় বর্বরতা, ওই রাজ্যেই। এক অন্তঃসত্ত্বা হাতি অরণ্যে খাবার না পেয়ে ঢুকে পড়ে মনুষ্যজঙ্গলে। আনারসের মধ্যে বাজি ঢুকিয়ে রাখা ছিল, সরল বিশ্বাসে সেই ফলটি খেয়ে, অসহ্য যন্ত্রণায় সে মারা গেল।
আমরা অনেকে বহু কিছুতে ‘কেরল মডেল’ প্রয়োগের দাবি জানাই। এই ব্যাপারটায় নিশ্চয় সেটা থেকে বেরিয়ে আসারই প্রয়াস করব।
শক্তিশঙ্কর সামন্ত
ধাড়সা, হাওড়া
কিছু প্রশ্ন
নেহরু চিলড্রেনস মিউজ়িয়াম দর্শনীয় স্থান। তা ছাড়া আমরা ৬-১৬ বছর বয়স্ক ১৪০০ শিশু-কিশোরের অঙ্কন, ধ্রুপদী নৃত্য, বাংলা আবৃত্তি ও বাংলা নাটকের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি সপ্তাহে দু’দিন দু’ঘণ্টা করে। লকডাউনের পর থেকে মিউজ়িয়াম দেখতে আসাও বন্ধ, সব কর্মকাণ্ডই বন্ধ। কবে প্রতিষ্ঠানটিকে চালু করতে পারব, তা অজানা। যদি চালু হয়ও, এখন যে বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব মানার আদেশ সমগ্র ভারতে বলবৎ, তা মেনে আমরা ১৪০০-র বদলে সর্বমোট ৫০০ জন ছাত্রছাত্রী (এক বারে ২৫০ জন) নিয়ে এই প্রশিক্ষণ চালাতে পারব। বাকি ছাত্রছাত্রীদের কী হবে? আর এই প্রশিক্ষণও কি এখন চালু করতে পারব? অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে অংশগ্রহণ করার পরেও যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়, তার দায় প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তাবে কি?
সুদীপ শ্রীমল
অধিকর্তা, নেহরু চিলড্রেনস মিউজ়িয়াম
ডিজ়েলের কর
গণপরিবহণ ব্যবস্থায় ভাড়া কম এবং একই সঙ্গে যাত্রী কম রাখতে হলে, সবার আগে প্রয়োজন জ্বালানির দাম কমানো। তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েরই উচিত, যত দিন না সামাজিক দূরত্বের বিধিনিয়ম উঠছে, তত দিন অন্তত ডিজ়েলের উপর থেকে পুরোপুরি কর তুলে নেওয়া। এতে যেমন যাত্রীভাড়া কমবে, তেমনই চাহিদা মেটাতে অনেক নতুন গাড়িও নামবে। ফলে গাড়ি শিল্পে জোয়ার আসবে। এখন যেমন লোকের সাইকেল, স্কুটি, বাইক কেনার ঢল নেমেছে। পরিবহণে প্রচুর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। ডিজ়েলের দরুন সরকারের যে ক্ষতি হবে, তা মেটাতে সরকার পেট্রোল, প্রসাধনী, নেশাদ্রব্য ইত্যাদিতে কিছুটা কর বাড়িয়ে ক্ষতি পূরণ করতে পারে।
কৌশিক সরকার
রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া
সরকার, ভগবান
‘দূরত্ববিধি মানতে হলে অফিসেই যেতে পারব না’ (২-৬) প্রতিবেদনটি জানায়, কী অবস্থায় মানুষ রয়েছে। যে ভাবে লকডাউন তুলে নেওয়ার উৎসব চলেছে, আর মানুষের জীবন তাদের নিজেদের হাতে ছেড়ে সরকার ঝাড়া হাত-পা হয়ে বসে আছে, তাতে এটাই হওয়ার কথা ছিল। গাড়ি চালু হল না, এ দিকে সরকার বলল, সব শুরু করে দিতে। সরকার পরিকল্পনা করল না, কী ভাবে লোকের কাছে কাজে যাওয়ার বাহনটা পৌঁছে দেওয়া যায়। ফলে, অনেকে বাদুড়ঝোলা হয়ে অফিস যাবে, কিছু লোক বেশি টাকা দিয়ে আলাদা গাড়ি করে যাবে। সরকারের ভূমিকাটা ভগবানের মতো, মানুষের অসুবিধেকে বাড়িয়ে, দূর থেকে দেখা, কে কতটা লড়াই করতে পারে।
অভিজিৎ চক্রবর্তী
বলুহাটি, হাওড়া
কত বাস
সরকার যে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না, তার বড় দৃষ্টান্ত হল আনলক-১’এর নির্দেশিকা, যেখানে বলা হচ্ছে বেশির ভাগ কলকারখানায় ১০০% হাজিরা, সরকারি অফিসে ৭০% হাজিরা চালু হবে; আর বাসে যাত্রী চাপবেন যতগুলো সিট ঠিক তত জন। এটা বাস্তবায়িত করতে হলে ‘করোনা-পূর্ব’ কালের তুলনায় তিন গুণ বাস বাড়াতে হবে।
সাবির চাঁদ
রেজিনগর, মুর্শিদাবাদ
শুধু প্রশাসন?
‘প্রশাসনই ত্রাণ বিলি করবে: মুখ্যমন্ত্রী’ (৪-৬) প্রতিবেদনে জানা গেল, আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিলি একমাত্র প্রশাসনের মাধ্যমেই করা হবে। বিদ্যাসাগরের সময় থেকে দুর্যোগক্লিষ্ট মানুষদের পাশে সাধারণের এগিয়ে আসা, বাংলার সুমহান ঐতিহ্য। এ বারও বিশাল সংখ্যায় ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণকার্যে নেমে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কি এই ত্রাণকার্য, যা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়, তা বন্ধ করে দিতে হবে? সরকার বরং অরাজনৈতিক ত্রাণকার্যের সহায়ক হয়ে উঠুক।
তাপস দাসগুপ্ত
কলকাতা-২৮
আমাদের চাষি
‘নন্দ ঘোষ?’ (৪-৬) শীর্ষক সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘‘চাষি শুধু দুর্যোগের কারণেই বিপন্ন নহেন, মন্দ নীতির জন্যও বটে।’’ একশো ভাগ সত্যি। বিভিন্ন সরকারি নীতির ফলে এ দেশের কৃষকের ‘ইনপুট কস্ট’ চরম বেড়েছে। উল্টো দিকে, কৃষিপণ্যের দাম সে তুলনায় বাড়েনি। ফলে চাষিদের প্রায় সব চাষেই লোকসান, তার পর ঋণ, খেলাপ, আত্মহত্যা।
সার-বীজ-সরঞ্জাম তৈরির সংস্থাগুলি উৎপাদিত পণ্যের দাম নিজেরাই ঠিক করে বা সরকারের সাহায্যে করে। কিন্তু চাষির উৎপাদিত ফসলের দামও সেই ফড়ে/ ব্যবসায়ীরা ঠিক করে দেয়। হ্যাঁ, দেশের মাত্র ২০-২৫টি ফসলের ‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য’ সরকার নির্ধারণ করে দেয়। আর অজস্র ফসল অবহেলায়, অবিক্রীত হয়ে পচে। এম এস স্বামীনাথনের সুপারিশ সেই ২০০৮ সাল থেকে পড়ে থাকে। মাঝেমধ্যে আলোচনায় ওঠে, কিন্তু চাপা পড়ে যায়।
তাই এ দেশের চাষিদের দু’ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হয়, প্রাকৃতিক এবং বাজারগত।
তপোময় ঘোষ
শিবলুন, পুর্ব বর্ধমান
বজ্রপাত
ভারতে প্রায় প্রতি বছর ২০০০-২৫০০ মানুষ বজ্রপাতে মারা যান। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল মেট্রলজি-র (আইআইআইটি পুণে) তৈরি করা যন্ত্র ২০০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বজ্রপাত ঘটার পূর্বাভাস দিতে পারে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এবং বীরভূমের রামপুরহাটে এই যন্ত্র লাগানো হয়েছে। বিহার এবং অন্ধপ্রদেশ যথাক্রমে ‘দামিনী’ এবং ‘বজ্রপাত’ নামক মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে বজ্রপাতের পূর্বাভাস মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। কালবৈশাখী, ঘূর্ণিঝড় তথা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পশ্চিমবঙ্গে বরাবরই বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি। এখানে এই যন্ত্র (এবং অ্যাপ) আরও দরকার।
সায়ন্তন টাট
জাঙ্গিপাড়া, হুগলি
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy