গত ৮ অক্টোবর মধ্যরাতে বুকে চাপ এবং সামান্য শ্বাসকষ্ট নিয়ে পিজি হাসপাতালে যাই। ইমার্জেন্সি থেকে আমাকে কার্ডিয়োলজি বিভাগে রেফার করা হয়। ওখানকার ডাক্তার ইসিজি করে তিনটি ওষুধ লিখে দেন। হাসপাতালের ফেয়ার প্রাইস শপে দু’টি ওষুধ পাওয়া গেলেও, একটি ওষুধ পাওয়া যায়নি। বাইরে কিনতে গেলে জানা যায় ওষুধটি বিদেশি এবং এক পাতার দাম ১৪৯২ টাকা!
আমি ৬৭ বছরের বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। অত টাকা দিয়ে ওষুধ কেনার ক্ষমতা নেই। আমার ছেলে চিকিৎসককে সেটা জানিয়ে ওষুধটার বিকল্প কিছু প্রেসক্রাইব করতে অনুরোধ করে। তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, পর্যাপ্ত টাকা সঙ্গে না নিয়ে হাসপাতালে আসা উচিত হয়নি। আমার বুকের চাপ একটু কমলেও, শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। সে কথা ওই চিকিৎসককে জানালে জবাব আসে, শ্বাসকষ্ট হলে সবাইকে বাঁচতে হবে এমন কোনও কথা নেই। যা-ই হোক, বাকি দু’টি ওষুধ খাওয়ার জন্যেই হোক বা অন্য কোনও কারণে, আমার দুটো উপসর্গ আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে।
আমার প্রশ্ন, স্বাস্থ্য দফতরের স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশন থাকা সত্ত্বেও ওই চিকিৎসক জেনেরিক ওষুধ না লিখে দামি ব্র্যান্ডের ওষুধ লিখলেন কেন? দুই, পর্যাপ্ত টাকা নেই বলেই আমার মতো নিম্ন-মধ্যবিত্ত অথবা গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতালে যান। এই চরম সত্যটা কি ওই চিকিৎসকের জানা নেই?
আর কোনও রোগীর সঙ্গে যেন সরকারি হাসপাতালে এ রকম অমানবিক ব্যবহার না করা হয়, তার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।
কমল চৌধুরী
কলকাতা-১৪০
ডাক-দুর্ভোগ
‘কেন উদাসীন’ (৪-১০) চিঠিটি পড়লাম। এ প্রসঙ্গে আমার নিজের এক দুর্ভোগের অভিজ্ঞতার কথা জানাই। গত বছর জুন মাসে আমার একটি এলআইসি পেনশন পলিসির মেয়াদ পূর্ণ হয়। এলআইসি-র নির্দেশমতো আমি পলিসিটি এলআইসি-র সিটি ব্রাঞ্চ ৫-এ কমিউটেশনের জন্য জমা করি এজেন্ট মারফত। কমিউটেড ভ্যালু আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে, এবং আমার পেনশন নিয়মিত জমা পড়তে থাকে। দুঃখের বিষয়, আমার অরিজিনাল পলিসিটি আজ পর্যন্ত ফেরত পাইনি। এজেন্ট মারফত এলআইসি-তে আমার অভিযোগপত্র জমা করি গত ৮ মার্চে এবং নিজে এলআইসি অফিসে অফিসারের সঙ্গে দেখা করি গত ২২ এপ্রিল। উনি কম্পিউটারে দেখে আমাকে জানান, পলিসিটি স্পিডপোস্টে গত বছর ২৬ অক্টোবর আমার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছিল। আমি অবশ্য সেটা পাইনি। জানি না, পলিসিটি ডেলিভারি না করে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, না কি ভুল করে অন্য কাউকে ডেলিভারি করা হয়েছিল। এলআইসি অফিস এর কোনও সদুত্তর দেয়নি। আমি কোদালিয়া সাব-পোস্ট অফিস এবং সোনারপুর পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করেও কিছু জানতে পারিনি। ডাক বিভাগের অবহেলা, গাফিলতির দায়ভার আমাকে বহন করতে হচ্ছে। এলআইসি-কে মেল করেছি, কিন্তু এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।
নিলয় দত্ত
কলকাতা-১৪৬
ছাড় নেই
কোভিডের দ্বিতীয় প্রবাহের পর ভারতীয় রেলের অধিকাংশ দূরপাল্লার যাত্রিবাহী মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন ‘স্পেশাল’ তকমা লাগিয়ে চলাচল করছে। এই ‘স্পেশাল’ তকমা লাগানোর ফলে ক্যানসার আক্রান্ত, হার্টের রোগী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা আগে যে ধরনের ছাড় পেতেন, তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য পৃথক কামরা থাকলেও তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড় মিলছে না। করোনার এই কঠিন সময়ে বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের জীবন-জীবিকার লড়াই আরও কঠিনতর হয়েছে। অনুরোধ, যাত্রিবাহী ট্রেনে এই বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষেরা যাতে তাঁদের অর্জিত অধিকার ফিরে পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হোক।
অজয় দাস
উলুবেড়িয়া, হাওড়া
দোকান সরুক
গত বছর লকডাউন শুরুর সময় পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশন এলাকার অনেক পরিকাঠামোর পরিবর্তন করেছেন। স্টেশন চত্বর থেকে হকার উচ্ছেদ করে নতুন ঝাঁ-চকচকে দামি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও নামী কোম্পানির শোরুম করেছেন। এক কথায়, শিয়ালদহ স্টেশন একটা মিনি বাজারে পরিণত হয়েছে। এই কাজের সম্প্রসারণের সূত্রে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের গেট সংলগ্ন এলাকায় কিছু সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এলাকার একটি ধর্মস্থান কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশে তা বন্ধ করে দেন। ফলে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এক অভাবনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন বিপন্ন করে ওই একমাত্র গেট দিয়ে যাতায়াত করছেন। অথচ, কর্তৃপক্ষের কোনও রকম হেলদোল নেই।
এই মুহূর্তে এক নম্বর গেট থেকে বর্তমান গেট পর্যন্ত সমস্ত দোকানবাজার সরিয়ে জনসাধারণের সুবিধার ব্যবস্থা করা উচিত। কোনও বড় রেল স্টেশনে আসা-যাওয়ার পথে এই রকম দোকানপাটের ফলে যাতায়াতের বিঘ্ন হওয়ার নজির নেই।
আশিস ভট্টাচার্য
মদারাট, বারুইপুর পশ্চিম
গাছ লাগাব কেন
‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’— আরও বেশি করে গাছ লাগাতে এই স্লোগান দিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রচার করা হয় পরিবেশ সুন্দর ও নির্মল রাখার জন্য। আমি কলকাতা কর্পোরেশনের ১১১ নং ওয়ার্ডে থাকি। এই স্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং গাছ ভালবাসি বলে বাড়িতে কিছু গাছ লাগিয়েছি। বর্ষার সময় গাছের ডালপালা অনেক বেড়ে যায়। তাই বর্ষার পরে, দুর্গাপুজোর আগে কিছু ডালপালা ছাঁটতেই হয়। সেই ডাল ছাঁটার পর ডালপালা রাস্তার এক ধারে রেখে দিই এই আশায় যে, কর্পোরেশনের লোকেরা সেগুলো নিয়ে যাবেন। কিন্তু কর্পোরেশন থেকে ডালপালা পরিষ্কার করার জন্য আমার উপরই ৬০০ টাকা ধার্য করা হয়।
এটা কি আমার প্রাপ্য ছিল? পরিবেশ নির্মল করতে আমার মতো লোকদের গাছ লাগাতে আরও উৎসাহ দেওয়ার জন্য যেখানে কর ছাড় দেওয়া যেত, সেখানে উল্টে কর বসানো হল! এর পর আর গাছ লাগিয়ে বিপদে পড়তে চাইব কেন?
অনিন্দ্য কুমার পাল
ব্রহ্মপুর, গড়িয়া
জলমগ্ন
শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার মছলন্দপুর ও গোবরডাঙা স্টেশনের মধ্যবর্তী ৩৭ নং রেলগেটটি দীর্ঘ দিন বন্ধ করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তে রেলগেটের অদূরে যাতায়াতের জন্য একটি টানেল বা আন্ডারপাস তৈরি করে দিয়েছে। ভারী বর্ষায় সেটি জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এবং বর্ষার পরেও আগামী ছ’মাস এটা জলমগ্ন থাকবে মনে হয়। এই কয়েক মাস গোবরডাঙা, মছলন্দপুর, লক্ষ্মীপুর, ঘোষপুর, চাতরা-সহ বিস্তৃত অঞ্চলের অধিবাসীদের যাতায়াতে প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাসমোহন দত্ত
মছলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy