Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Suicide in Metro

সম্পাদক সমীপেষু: উপযুক্ত সমাধান?

একটি পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৪ সালে কলকাতা মেট্রোয় বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের পর থেকে এ পর্যন্ত মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছে ৩৫০-এর বেশি বার।

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৫
Share: Save:

১৭৫ মিটার দীর্ঘ প্ল্যাটফর্মে মাত্র ৩১টি গার্ড রেল। আর দু’টি গার্ড রেলের মাঝে বেশ অনেকখানি ব্যবধান। মেট্রোর ট্র্যাকে লাফিয়ে যাত্রীদের আত্মহত্যার চেষ্টা রুখতে মেট্রো কর্তৃপক্ষের এমন প্রয়াস হাস্যকর। সম্প্রতি চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে এক মহিলা যাত্রী তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েকে প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে রেখে একটি রেকের সামনে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর পর উপর মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয় মেট্রোর ট্র্যাকে আত্মহত্যা আটকানোর সম্ভাব্য পদ্ধতি নিয়ে। সেই মতো পরীক্ষামূলক ভাবে কালীঘাট স্টেশনে চার ফুট উঁচু গার্ড রেল ব্যবহার করার পরিকল্পনা মেট্রো কর্তৃপক্ষের। আপাতত কালীঘাট স্টেশনের ডাউন প্ল্যাটফর্মে মাত্র ৭টি এমনই গার্ড রেল বসেছে বলে খবর। কিন্তু দু’টি গার্ড রেলের যা ব্যবধান, তাতে আত্মহত্যার ঘটনা রোখা কি আদৌ সম্ভব? তা ছাড়া ভিড় প্ল্যাটফর্মে এমন গার্ড রেল ট্রেনে সহজে ওঠানামার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। এ ভাবে কিছু দূর পর পর গার্ড রেল বসিয়ে কাজের কাজ কিছুই হতে পারে না।

একটি পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৪ সালে কলকাতা মেট্রোয় বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের পর থেকে এ পর্যন্ত মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছে ৩৫০-এর বেশি বার। এর মধ্যে ১৭৩ জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কেননা কলকাতা মেট্রোর নর্থ-সাউথ করিডর বা ব্লু-লাইনে আত্মহত্যা আটকানোর কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নেই। এ বার ব্লু-লাইনের প্রতি স্টেশনেই গার্ড রেল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন, এ ক্ষেত্রে অন্য কোনও উপায় কি আর ভাবতে পারা গেল না?

মঙ্গলকুমার দাস, রায়দিঘি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

অবহেলা কেন

সম্প্রতি আমি রেলের নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরিজ় (এনটিপিসি)-এর ফর্ম ফিলআপ করতে সাইবার কাফে-তে গিয়েছিলাম। ওই সময় আমার আধার কার্ডে কিছু সমস্যা থাকায় ফর্ম জমা দিতে অসুবিধা হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে সমাধানের আশায় রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড এনকোয়্যারি-র হেল্পলাইনে ফোন করি। ফোনের বক্তা হিন্দিতে যা বলছিলেন আমি তা বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু হিন্দি ভাল বলতে না পারায় আমার সমস্যার সমাধান হল না। এ দিকে সাইবার কাফে-র লোকটি আমায় প্রশ্ন করেন, যখন হিন্দি ভাল জানি না তখন রেলে চাকরি করব কী ভাবে? প্রশ্ন হল, যেখানে রেলের প্রশ্নপত্র বাংলা সমেত পনেরোটি ভাষাতে করা হয়, সেখানে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার মতো ভাষা পছন্দ করার কেন কোনও বিকল্প সুযোগ হেল্পলাইনে থাকল না? বাংলা ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে, অথচ বাংলা ভাষাকে এত অবহেলা কেন? রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য।

তন্ময় ডাক্তার, সাহেবপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

আটকে পরিষেবা

রাজ্য সরকার প্রত্যেকটি পুরসভায় মিউটেশনের জন্য একটা অনলাইন পরিষেবা চালু করেছে, যেখানে পুরসভা এবং পুরনিগমের অধিবাসীবৃন্দ অনলাইন মারফত মিউটেশনের আবেদন করতে পারেন। মিউটেশনের ওখানেই এনকোয়্যারি হয়ে সেই বাবদ কত টাকা দিতে হবে, সেটিও অনলাইন পোর্টাল থেকে জানতে পারা যায়। টাকা দিলেই মিলবে মিউটেশন সার্টিফিকেট।

সমস্যা হল, বিধাননগর পুরসভায় যাঁরা মিউটেশনের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের মিউটেশনগুলো দীর্ঘ সময় পড়ে আছে। বিভাগীয় আধিকারিকদের আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রইল।

সুদীপ্ত দে, কলকাতা-১০২

ওষুধের দাম

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অত্যাবশ্যক ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এমনিতেই মূল্যবৃদ্ধির জেরে সংসার চালাতে আমজনতার নাভিশ্বাস উঠছে। তার পর ওষুধের দাম লাফিয়ে বাড়ায় মানুষ কার্যত দিশাহারা। কেন্দ্রীয় সরকারের যেখানে উচিত ওষুধের দাম কমানো, সেখানে তারা চুপিসারে অত্যাবশ্যক ওষুধের দাম বাড়িয়েই চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাই অনুরোধ, দয়া করে এই বর্ধিত দাম ফিরিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের স্বস্তির দিকটা দেখা হোক।

তাপস বসু, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা

পার্কের দুরবস্থা

আজ থেকে বছরপাঁচেক আগেও, দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে অবস্থিত সত্যজিৎ রায় উদ্যানটি ছিল সুন্দর। প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়া যেত, বহু শিশু খেলাধুলো করতে আসত এখানে। কিন্তু এই পাঁচ বছরে এটির যা অবস্থা হয়েছে, তাতে এটিকে আর উদ্যান না বলে জঙ্গল বলাই ভাল। শিশুদের সমস্ত খেলার উপকরণ উপড়ে ফেলা হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের কোনও দায় কারও নেই। নোংরা, আবর্জনায় ভর্তি। এ ছাড়া প্রতি শীত এবং গ্রীষ্মকালে পার্কটি বিয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানের পরে কোনও কিছুই পরিষ্কার করা হয় না। খাবার পচে, গন্ধ বেরিয়ে এক নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পাটুলির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এ রকম সুন্দর একটি পার্কের এই পরিণতি মেনে নেওয়াটা সত্যিই কষ্টকর। এখানে ঢুকতে আগে লাগত জনপ্রতি পাঁচ টাকা, এখন লাগে দশ টাকা। কিন্তু পার্কের অবস্থার কোনও উন্নতি হতে দেখা যাচ্ছে না। পার্কটিকে তার পুরনো রূপে ফিরিয়ে আনার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রইল।

নীলোৎপল সেন, কলকাতা-৮৪

আবর্জনাময়

কিছু দিন আগে বেড়াতে গিয়েছিলাম বীরভূম জেলার বক্রেশ্বরে। উষ্ণ প্রস্রবণ সংলগ্ন স্নানঘাট অঞ্চলে ঢুকতে পাঁচ টাকা করে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে মাথাপিছু। সংখ্যায় কম হলেও ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের আনাগোনা ছিলই। ঢুকেই একটি বড় বটগাছের চার পাশের বাঁধানো অংশে বেশ কয়েক জন মানুষ এক সঙ্গে বসতে পারেন। তার সংলগ্ন ঘাসে ভরা জমিতে ইতিউতি ছড়ানো প্লাস্টিকের জলের বোতল, পাতলা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ইত্যাদি। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য দু’টি পৃথক উষ্ণ প্রস্রবণের স্নানঘাটের অবস্থা আরও করুণ। ঘাট দু’টিই অপরিচ্ছন্ন এবং পূতিগন্ধময়। ঘাটগুলির মাঝখানের দু’টি অংশে জমা জলে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, জলের বোতল, অন্যান্য আবর্জনা ভাসছে। অভিযোগ জানানোর লোক নেই। টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিষয়টি জানাতে, তাঁরা নীরবই রইলেন। জায়গাটা আগামী দিনেও কি এ রকমই থাকবে?

মানস কুমার সেনগুপ্ত, কলকাতা-৭৪

স্টেশনে ময়লা

শিয়ালদহ ব্যারাকপুর রেল শাখার গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত ব্যস্ত স্টেশন সোদপুর। স্টেশনের একমাত্র ভূগর্ভস্থ পথটি অপরিসর, অপরিষ্কার হয়ে থাকে। ভূগর্ভস্থ পথে নিকাশিব্যবস্থা উপযুক্ত না থাকায় নোংরা জল মাঝেমধ্যেই জমে যায়। সমস্যা আরও জটিল হয় একের অধিক ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করলে বা উৎসবের মরসুমে, যখন অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকে। তা ছাড়া হকারদের উপস্থিতি চলাফেরার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। পরিস্থিতি শুধরোতে একটি ওভারব্রিজ স্টেশনে অতি দ্রুত তৈরি হওয়া দরকার। কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা করুন।

তীর্থঙ্কর চক্রবর্তী, কলকাতা-১১০

অন্য বিষয়গুলি:

Chandni Chawk Kolkata Metro
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy