Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: অন্ধকার ক্লাসরুম

আমরা যারা শিক্ষক-শিক্ষিকা, ভাল করেই জানি, একটি শ্রেণিকক্ষ ‘বালা (BALA) টাইপ’ হওয়া উচিত। বালা অর্থে বিল্ডিং অ্যাজ় লার্নিং এড।

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৫
Share: Save:

শ্রেণিকক্ষ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার, যেখানে প্রতিনিয়ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি নজর দেন। কিন্তু দেখা যায় অনেক শ্রেণিকক্ষই অবৈজ্ঞানিক ভাবে তৈরি হয়। হয়তো সেগুলি অন্ধকার, ছোট পায়রাখোপের মতো। অথবা জানালাগুলি এত ছোট যে আলো-বাতাস খেলার কোনও সুযোগ নেই। আমরা যারা শিক্ষক-শিক্ষিকা, ভাল করেই জানি, একটি শ্রেণিকক্ষ ‘বালা (BALA) টাইপ’ হওয়া উচিত। বালা অর্থে বিল্ডিং অ্যাজ় লার্নিং এড। অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই নানা ছবি থাকবে, সঙ্গে লেখাও। যেমন মহাপুরুষদের জীবনী, নানা বিষয়ের জ্ঞাতব্য চিত্র, মহাপুরুষের বাণী ইত্যাদি। কিন্তু বেশির ভাগ শ্রেণিকক্ষই যদি হয় অন্ধকার, তা হলে কী করে ছেলেমেয়েদের যথাযথ শিক্ষা দেওয়া যাবে?

সুজিত কুমার ভৌমিক

নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর

বাস কই
আমাদের গ্রাম ধলতিথার জেলেপাড়ার মোড়ে জাঁকজমক করে একটি নতুন বাসস্টপ বানানো হয়েছে: শহিদ ক্ষুদিরাম বসু বাসস্টপ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই বাসস্টপে কখনও বাস থামে না। থামবে কী করে? সম্পূর্ণ বাস পরিষেবাটাই যে বন্ধ। এই বাসস্টপটি ইটিন্ডা রোডে; যে রাস্তাটি ধলতিথার পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে ইছামতী নদীর ধার পর্যন্ত। রাস্তার শেষের দিকে একটি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, ‘ইটিন্ডাঘাট বাসস্ট্যান্ড’। এক সময় এখান থেকে কলকাতার শ্যামবাজার পর্যন্ত ৭৯ নম্বর বাস চলত। কিছু দিন ডিএন ১৮ নামে বাস চলেছিল। কিন্তু বর্তমানে স্ট্যান্ডটি পরিত্যক্ত। চারিদিকে জঞ্জাল। বর্ষায় জল জমে কাদা হয়। মদের আড্ডা বসে আকছার, বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে। বাস পরিষেবা না থাকায় গ্রামবাসীদের যাতায়াতের অসুবিধা তো হচ্ছেই, উপরন্তু স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা নিত্যনৈমিত্তিক। এরা সময় মতো গাড়ি পায় না। ফলে টোটোয় আর অটোতে বেশি ভাড়া দিয়ে স্কুলে যেতে বাধ্য হয়।
সাধন মণ্ডল
বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগনা

রেলপথ
বর্তমানে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ নির্মাণের কাজ দীর্ঘ দিন বন্ধ হয়ে আছে। কামারপুকুর যেতে গেলে তারকেশ্বরে অথবা আরামবাগে নেমে বাসে করে যেতে হয়। এখন আবার গোঘাটে নেমে ট্রেকারে গিয়ে আবার বাসে উঠতে হয়। আমরা যারা বয়স্ক, তাদের পক্ষে ভিড়বাসে যাওয়া খুব কষ্টকর। শুনেছি এই রেলপথ নির্মাণের ক্ষেত্রে মাঝে ভাবাদিঘি বলে একটা দিঘি আছে। ৫২ বিঘে এলাকা নিয়ে এই দিঘির উপর দিয়ে রেল লাইন নির্মাণ করতে দিতে চান না স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারের কাছে আবেদন, ওঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে যদি বিষ্ণুপুর লাইন নির্মাণ করা যায়, সকলেরই কামারপুকুর যেতে সুবিধা হয়।
সমর বিশ্বাস
ব্যান্ডেল, হুগলি

জল আটকে
ধাড়সা মনসাতলা থেকে রামরাজাতলা স্টেশন আসার পথে বিবেকভিল-এ প্রবেশপথে বালিভর্তি বস্তা ও সিমেন্টের স্ল্যাব সহযোগে জল যাওয়ার নর্দমাটিকে বন্ধ করা হয়েছে। উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার, ধাড়সার দিক থেকে আগত জল যাতে বিবেকভিলের মধ্যে দিয়ে না প্রবাহিত হয়ে হাটপুকুরের দিকে প্রবাহিত হয়। কোনও এলাকা কি পারে এই ভাবে জলের নিজস্ব প্রবাহ বন্ধ করিয়ে দিয়ে অন্য এলাকাকে প্লাবিত করতে?
নারায়ণ চন্দ্র দাস
ধাড়সা, হাওড়া

অভাব, অপচয়
নদিয়া জেলার চাপড়া থানার বাঙ্গালঝি গ্রামের পূর্ব দিকে কৃষ্ণনগর করিমপুর বাস রুটের পাশে পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএইচই)-এর একটি পানীয় জল সরবরাহ ইউনিট আছে। চাপড়া ১নং ও ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা উক্ত ইউনিটের গভীর নলকূপ থেকে তোলা ও সরবরাহ করা পানীয় জলে উপকৃত হন। বর্তমানে এই অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার সাধনে প্রভূত উন্নতি হওয়ায়, কিছু জায়গার মাটির নীচের জল সরবরাহকারী পাইপলাইনগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এর ফলে চাপড়া বাজার, শ্রীবাসপল্লি, ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিস, চাপড়া স্কুল রোড, থানা ও পোস্ট অফিস সংলগ্ন বহু জায়গার অধিবাসীরা বিগত কয়েক বছর যাবৎ জল সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার, চাপড়া রানাবন্ধ রোডের পাশে অবস্থিত মালুমগাছা, নবীননগর, প্রভৃতি গ্রামের সরবরাহ করা পানীয় জলের আউটলেট/ট্যাপ পয়েন্টগুলোর উপযুক্ত চাবি না থাকায়, সরবরাহ করা পানীয় জলের বেশ কিছু অপচয় হচ্ছে।
বিশ্বনাথ হালদার
চাপড়া, নদিয়া

পাইপলাইন
আমরা পুরুলিয়া পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের কাটিনপাড়ার বাসিন্দা। আমাদের এলাকায় পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ ৮ বছরে পাইপলাইন বসানোর জন্য দু’বার মাপজোক হলেও, তা বসেনি।
অর্চনা মুখোপাধ্যায়
কাটিনপাড়া, পুরুলিয়া

দমদম স্টেশন
ইদানীং দমদম স্টেশনের উত্তরাংশ ব্যস্ত সময়ে যাতায়াতের অনুপযুক্ত হয়ে উঠেছে। একে মেট্রোর যাত্রীদের নামা-ওঠা ও টিকিট কাটার লাইন; স্টেশন চত্বরটিকে বাইরের সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধার্থে এক লেভেলে এনে দেওয়ার ফলে অজস্র হকারদের উৎপাত। এখানকার টিকিট কাউন্টার অনন্ত কাল ধরে সারানো চলছে। পূর্ব রেল এখানকার ঘড়িও তুলে দিয়েছে, ২ ও ৩ নং প্ল্যাটফর্মের পথে এসকালেটর কবে চলে, তা ইতিহাস পড়ে বলতে হবে। অন্যান্য প্রান্তিক মেট্রো স্টেশনের সাজগোজ আর দমদমের অবস্থা দেখে সুয়োরানির সঙ্গে দুয়োরানির তুলনা মনে পড়ে।
দোলা ভট্টাচার্য
ইমেল মারফত

কচুরিপানা
চারিদিকে প্রাণঘাতী ডেঙ্গি নিয়ে সরকারি স্তরে এত প্রচার, অথচ রামগঙ্গা বিডিও অফিসের মাত্র কয়েকশো ফুট দূরের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত খালটি প্রবল ভাবে কচুরিপানা-পূর্ণ। রাতের কথা ছেড়েই দিলাম, দিনের সারা ক্ষণ মশারি ছাড়া গতি নেই।
মৃণাল কান্তি মিত্র
ইমেল মারফত

ডাকবাক্স
চুঁচুড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ডাকঘর হল ষাণ্ডেশ্বরতলা উপডাকঘর। কিন্তু এর ডাকবাক্সটি ছোট মাপের হওয়ায় বড় আকারের চিঠি ফেলা যায় না। এ ছাড়া চুঁচুড়ার ফুলপুকুর, ধরমপুর গঙ্গাতলা, হুগলিঘাট স্টেশন, হুগলি গার্লস স্কুলের কাছে যে ডাকবাক্সগুলি, তাদের বদলে বড় ডাকবাক্স বসানো দরকার। আর চুঁচুড়া স্টেশন রোডের টালিখোলা, রামমন্দির, সিমলাপুল অঞ্চলে ডাকবাক্সগুলির রং চটে গিয়েছে। নতুন করে রং করলে ওগুলির অবস্থান বুঝতে সুবিধা হবে।
সমর দাস
চুঁচুড়া, হুগলি

বাসে রড
কলকাতা শহরে যে বেসরকারি বাস চলে, তার বেশির ভাগেরই ভিতরে যাত্রীদের ধরে দাঁড়ানোর জন্য ভরসা কেবলমাত্র ওপরের রড। বেঁটে মানুষদের পক্ষে যা খুবই অসুবিধের।

সুচেতনা গুপ্ত
কলকাতা-৯৫

অন্য বিষয়গুলি:

School Classroom Students
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy