রাজনৈতিক বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত (ছবিতে)। অনেকেই তাঁর মধ্যে পূর্বসূরি সেনাপ্রধান ভি কে সিংহের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন, যিনি ইউপিএ সরকারের সময় বিজেপিকে খুশি করে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন এবং অবসরের পর মোদীর মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। ইতিপূর্বে বিপিন রাওয়ত মেয়েদের সেনাবাহিনীর কমব্যাট ফোর্সে আসা উচিত নয় বলে এক প্রস্ত বিতর্ক তৈরি করেছিলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করে নিন্দিত হয়েছিলেন।
ভারতীয় গণতন্ত্রে সেনার আসন নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত আছে। সে কারণে প্রতিবেশী দুই দেশে সেনা অভ্যুত্থান মাঝে মাঝেই গণতান্ত্রিক পরিবেশের কণ্ঠরোধ করলেও, এই দেশে দাঁত ফোটাতে পারেনি।
সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় নাক গলাচ্ছিলেন প্রথম ভারতীয় কম্যান্ডার-ইন-চিফ ফিল্ড মার্শাল কে এম কারিয়াপ্পা। বরদাস্ত করতে পারেননি নেহরু। তাঁকে সাবধান করে বলেছিলেন, “নট টু প্লে দ্য রোল অব সেমি পলিটিক্যাল লিডার।” কথায় কথায় নেহরুকে দোষারোপ করা মোদী কি এক বার নেহরুর কাছে গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার পাঠ নেবেন?
সরিৎশেখর দাস
নোনাচন্দনপুকুর, ব্যারাকপুর
গাছের বিরুদ্ধে
যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা বহুতল বাড়ি বা ফ্ল্যাটগুলির বাসিন্দারা সম্ভবত পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা তাত্ত্বিক ভাবে অবগত হলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভাবে উপেক্ষা করে চলেছেন। আমাদের পাড়ায় এক মহিলা বন দফতর থেকে গাছ এনে তাঁর বাড়ির সামনে ও রাস্তার ও-পারে এক ফ্ল্যাটবাড়ির সীমানার পাশে দু’টি গাছ লাগিয়েছিলেন। নিজের পয়সায় দু’টি ঝুড়ি কিনে গাছ দু’টিকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। গাছ লাগানোর দিনে এক প্রতিপত্তিশালী ফ্ল্যাটবাসী, যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ কর্মচারী, সপরিবার প্রতিবাদ করেন। মহিলাটি সে প্রতিবাদে পিছু হটেননি। কিন্তু দিন দুই পরে দেখা গেল, ঝুড়ি থাকলেও, গাছ উধাও।
কয়েক দিন পরে আবার সেই মহিলা সেখানে আর একটি চারাগাছ লাগানোর উদ্যোগ করতেই নেমে এলেন পদস্থ সেই অফিসার, প্রায় খণ্ডযুদ্ধ শুরু করলেন। ব্যাপারটা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়াল। প্রথমে আমরা শুনেছিলাম ভদ্রলোকের আপত্তির কারণ, গাছটি বড় হয়ে ডালপালা বিস্তার করলে তাঁদের গাড়ি বার করতে অসুবিধে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় বার তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেন, গাছ লাগানোর নাম করে রাস্তা খুঁড়ে পুরসভার সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। সাদা পোশাকের পুলিশ এসে সেই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাছ লাগানোর জন্য পুলিশ যে সবুজশ্রী প্রকল্পে শামিল হয়ে চারাগাছ বিলি করেছিল, সে কথা তাদের স্মরণে ছিল কি না, জানি না।
এটি কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। শুনেছি গাছ কেটে ফ্ল্যাট তৈরি হলে সম-পরিমাণ গাছ লাগানোর নিয়ম। কিন্তু সে নিয়ম গ্রাহ্য করা হয় না। ‘দ্য কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বিল্ডিং রুলস (২০০৯)’-এর ২০টি অধ্যায়ে, ছাদে বা চার পাশের ছাড় জায়গায় বাধ্যতামূলক ভাবে গাছ লাগাবার কোনও নির্দেশ নেই । তাই সুসভ্য ফ্ল্যাটবাসীরা ‘ছি ছি এত্তা জঞ্জাল’ বলে গাছের বিরোধী হতে পারেন। পরিবেশরক্ষার আইন কঠোর না হলে, এই সব সভ্যতাগর্বীরা দেশের ক্ষতি করার সঙ্গে নিজের ক্ষতি করে যাবেন অবলীলাক্রমে।
দিলীপ মজুমদার
কলকাতা-৬০
সৌর আলো
খিলপাড়া ও পশ্চিম খিলপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায় স্থাপন করা সোলার লাইটগুলো প্রায় সবগুলি অকেজো। রাতে পথচারীদের চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়। এমনিতেই এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে।
কাজী সংগ্রামুন উদ্দিন
খিলপাড়া, উদয়পুর
বাজারের বিপদ
আমি দমদমের যে অঞ্চলে বাস করি সেখানে রাস্তার দু’পাশে বাজার বসে প্রতি দিন সকালে। কুমোর পাড়া বাজার। আগে ছোট ছিল, এখন বাড়তে বাড়তে অনেকের বাড়ির সদর দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে এই বাজার। ছোট গাড়ি তো বটেই, বড় গাড়িও বেড়ে চলেছে প্রতি দিন। স্কুলবাস থেকে দশ চাকার ট্রাক। মোটরচালিত ভ্যান, রিকশা, অটো, টোটো, বাইক থেকে প্রাইভেট কার। এই অঞ্চলে বাজার করাটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তিন বার ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়েছি। প্রত্যেকেই কমবেশি ভুক্তভোগী তবু অসীম সহনশীল মানুষ। আমার পুরনো অফিসের সহকর্মীরা বলেন, এই বুড়ো বয়সে পা ভেঙে পড়ে থাকলে কী হত বলুন তো? ভিতরের রাস্তা দিয়ে যে হেঁটে যাবেন, সেখানেও জট। ট্রাক থেকে ভ্যান, শীতের সকালে সকলেই রোদ পোহাতে ব্যস্ত।
মলয় কুমার নন্দী
কলকাতা-২৮
উঠতে অসুবিধে
নিমতা সাব-পোস্ট অফিসটি আগে একতলায় অবস্থিত ছিল। স্থানান্তরিত হয়ে আলিপুর মোড়ে একটি বাড়িতে তিনতলায় উঠে এসেছে। এর ফলে সিনিয়র সিটিজ়েন, বিশেষ করে হার্টের রোগে বা হাঁটুর ব্যথায় বা পারকিনসন’স রোগে, বা অন্যান্য গুরুতর রোগে যাঁরা ভোগেন, তাঁদের পক্ষে ভীষণ কষ্টদায়ক সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করা। প্রশাসনের কাছে সবিনয় নিবেদন, এলাকায় অনেক মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং গড়ে উঠছে, কোনও একটির একতলায় অফিসটি স্থানান্তরিত হলে ভাল হয়।
দুলাল কর্মকার
নিমতা
দুরবস্থা
ভিআইপি রোডের দিক দিয়ে আসা বাসের যাত্রীদের বিধাননগর স্টেশন স্টপে রাস্তার মাঝখানে নামতে বাধ্য করা হয়। অতি সাবধানে চলন্ত অটোর সিরিজ ও দুরন্ত বাইকের ফাঁক-ফোঁকর গলে ফুটপাতের দিকে এগিয়ে রেলিংয়ের মুখোমুখি হতে হয়, বাঁয়ে বা ডানে আগুপিছু করে রেলিংহীন পথ ধরে ফুটপাতের নাগাল পেতে হয়। এক পাশ ধরে সারিবদ্ধ অস্থায়ী দোকানের দৌলতে, সরু আলের মতো রাস্তা বণ্টন করা আছে পথচারীদের জন্য। গোধূলি লগ্ন থেকে শুরু হয় অফিস-ফেরত যাত্রীদের ট্রেন ধরার জন্য ওই পথে একমুখী গ্যালপিং হাঁটা। চলন্ত পা মাটিতে, দৃষ্টি ঊর্ধ্বমুখী— ট্রেনের দিকে। ফলে উল্টোমুখী যাত্রীদের সঙ্গে অনিবার্য কারণে অল্পবিস্তর ধাক্কাধাক্কি। ওই ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অটো গুঁতো মেরে লাইন বরাবর এগোয়। উল্টো দিক দিয়ে চার-চাকার মেন রোড ধরার তাগিদ। এর পরই স্টেশন প্রবেশপথ। পুরো জায়গাটা, ফুটব্রিজের উপর থেকে দেখলে অটোয় অটোয় ছয়লাপ। বাস বা অন্য গাড়ি ডাইনে-বাঁয়ে অটোর মাঝখান দিয়ে সিঁথি কেটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বেরিয়ে যায়। এখানে অবিলম্বে দরকার স্কাইওয়াক বা সাবওয়ে।
অঞ্জন কুমার শেঠ
কলকাতা-১৩৬
ব্যাঙ্ক চাই
গাইঘাটা ব্লকের অন্তর্গত একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ইছাপুর। গ্রামটির উপর আশেপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের (বায়সা, গরিবপুর, কেমিয়া, শ্রীপুর, নাইগাছি, মল্লিকপুর ইত্যাদি) প্রায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার অধিবাসীর ব্যাঙ্কিং বিষয়ে ভরসা— ইছাপুর নেতাজি বাজারে অবস্থিত একটি সমবায় ব্যঙ্ক। যেখানে আবার বড় অঙ্কের টাকা তুলতে হলে দু’দিন মতো আগে গিয়ে, অগ্রিম জানিয়ে আসতে হয়। যদিও সম্প্রতি ইছাপুর বাজারেই দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা খুলেছে, কিন্তু তা এখনও পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা দিতে পারে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পূর্ণাঙ্গ শাখা খোলা হোক।
বিপ্লব ঘোষ
ইছাপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy