ঠোক্কর: শশী তারুরের ইংরেজির ভুল ধরে মুশকিলে রামদাস আঠাওয়ালে (ডান দিকে)
শশী তারুরের ইংরেজির ভুল ধরলেন রামদাস আঠাওয়ালে! তার রসপূর্ণ জবাব দিলেন তারুর। বিষয়টি নিয়ে অট্টহাস্য রাজনৈতিক অলিন্দে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাসকে নিয়ে মজার টুইট করেছিলেন তারুর। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট বক্তৃতা চলাকালীন রামদাসের বিস্ফারিত চোখের ‘ফ্রিজ়শট’ পোস্ট করে শশী লেখেন, “দু’ঘণ্টার বাজেট বক্তৃতা শুনে ট্রেজ়ারি বেঞ্চও বিস্মিত।” সেই টুইটে ‘টাইপো’ ছিল। সুযোগ ছাড়তে চাননি আঠাওয়ালে। তাঁর টুইট, “তারুরজি, অপ্রয়োজনীয় বিবৃতি দিলে ভুল হয়েই থাকে!” শ্লেষ হজম করেননি তারুর। তাঁর প্রত্যাঘাত, “বাজে ইংরেজি বলার চেয়েও বেশি পাপ অসতর্ক টাইপিংয়ে!... আপনার টিউশনি জেএনইউ-এর এক জনের কাজে লাগতে পারে।” কিছু দিন আগে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাকরণের ভুল নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। শেষ মন্তব্যে শশী এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন, মনে করছেন নেট নাগরিকরা।
হারানো ভোজ
বেঙ্কাইয়া নায়ডুর ভোজসভা বরাবরই জিভে জল আনা। বিশেষত, আমিশাষীদের কাছে তো স্বর্গ। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ রেসিপির ঝাল চিংড়ি তালিকার সুপারহিট! এ বছর বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যসভার সর্বদলীয় নেতাদের সঙ্গে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়ার বৈঠকটি ভিডিয়ো মাধ্যমে হওয়ায়, হারিয়ে গেল সেই স্বাদ-ঘ্রাণ! আফসোস করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বেঙ্কাইয়ার দীর্ঘ দিনের সতীর্থ মুখতার আব্বাস নকভি। বললেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে বেঙ্কাইয়া বৈঠকটি সেরে ফেললেন ঠিকই, কিন্তু এই উপলক্ষে যে মুখরোচক দক্ষিণ ভারতীয় খাদ্যের ব্যবস্থা থাকত, তা এ বারে জুটল না। খাদ্যরসিক বেঙ্কাইয়া জানালেন, চিন্তা নেই। সুযোগ পেলেই এ বারেরটা পুষিয়ে দেওয়া যাবে!
আক্রমণাত্মক প্রহ্লাদ
সংসদে সরকারের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রীর কাজটা সবচেয়ে কঠিন। কারণ তাঁর কাজ হল বিরোধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলা। লোকসভা বা রাজ্যসভায় যতই হট্টগোল হোক, তাঁর বিবাদে জড়ালে চলে না। মোদী জমানায় অনেক কিছুর সঙ্গে সংসদীয় মন্ত্রীর ভূমিকাও বদলেছে। বর্তমান মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর কাজ হয়ে উঠেছে বিরোধীদের আক্রমণ করা। নব্বইয়ের দশকে কর্নাটকের হুবলিতে ইদগা ময়দানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি নিয়ে প্রথম নজরে এসেছিলেন প্রহ্লাদ। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ইয়েদুরাপ্পার উত্তরসূরি হিসাবেও এই ব্রাহ্মণ নেতার নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু শিকে ছেঁড়েনি। অগত্যা সংসদে বসেই প্রহ্লাদ নিজের প্রিয় কাজটি করে চলেছেন।
এই ছিল তব মনে?
উত্তরপ্রদেশের তরুণ প্রজন্মের নেতা রতনজিৎ প্রতাপ নারায়ণ সিংহ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। যে দিন তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন, ঠিক তার আগের রাতেই কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেই তালিকায় স্বমহিমায় অবস্থান করছিলেন আরপিএন। দলে প্রশ্ন, আরপিএন যে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন— বিন্দুমাত্র আঁচ করা যায়নি? সংগঠনের কোনও খবরই কি কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে পৌঁছয় না? শোনা যাচ্ছে, এআইসিসিতে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপাল আরপিএন-কে গল্পচ্ছলে প্রশ্ন করেছিলেন, “শুনছি, তুমি নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে যাচ্ছ?” আরপিএন হাসতে হাসতে কেরলের নেতা বেণুগোপালকে বলেন, “সে তো আমি শুনছি আপনিও সিপিএমে যোগ দিতে যাচ্ছেন!” আরও শোনা যাচ্ছে, দলের এক প্রবীণ নেতা কংগ্রেস নেতৃত্বকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আরপিএন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাবেন না! তাঁর ভেটো-তেই আরপিএন’কে তারকা প্রচারকের তালিকায় ঢোকানো হয়! কে সেই নেতা? কংগ্রেসের সকলের মনে সেটাই প্রশ্ন।
চাই পাপী জুতো
দল বদলেছেন আরপিএন সিংহ
জুতো নিয়ে বিশেষ শৌখিন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জুতো বেশ পছন্দ তৃণমূলের আর এক শীর্ষ নেতার। নাড়িনক্ষত্র সুদীপের কাছে জেনে, হাজির হলেন জুতোর দোকানে। হুকুম পাপী জুতো দেখানোর। শুনে তো মাথায় হাত দোকানির। চামড়ার জুতো, রাবারের জুতো, কাপড়ের জুতো হয়। কিন্তু পাপী জুতো কেমন জুতো? ফের সুদীপের শরণাপন্ন হন সেই নেতা। শুনে সুদীপবাবু জানান, পাপী নয়, তাপীও নয়, ওটা হবে ‘পাপি’। মানে বিশেষ একটি সংস্থার জুতো, যার বাক্সের উপর কুকুরছানার ছবি থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy