আবার ফিরবে লকডাউনের স্মৃতি? ফাইল চিত্র।
বাঘ না বাঘরোল, শুশুক না হাঙর, সেটা এখনই ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু ভাঙাঘর, স্বজনহারা ভিটেতে শীতের অমাবস্যায় নতুন জাতের পুরনো প্রাণীর জ্বলজ্বলে চোখ দেখতে পেয়ে আশঙ্কা আর আতঙ্কের ঢেউ বইছে বেশ!
বছর তিনেক আগে ঠিক এই সময়ে তার আবির্ভাব ঘোষিত হয়েছিল ড্রাগনের দেশে। নখের আঁচড় থেকে ঘাড় মটকানো, নানা লীলাখেলার ফেলে আসা বিগত হাজার দিনে সারা পৃথিবী একসঙ্গে ভেন্টিলেটর-সভ্যতায় কোনও রকমে আত্মরক্ষা করে নতুন বসত গড়তে শুরু করেছিল। টেলিভিশনের পর্দায় সংক্রমণ, মৃত্যুর সংখ্যা গোনা এবং প্রতিনিয়ত জ্বলন্ত চিতা-দেখা আমাদের চোখ আবার দেখতে শুরু করেছিল নানা রঙের আলো। অবিন্যস্ত কবরগুলিতে দূর্বাঘাসগুলি এর মধ্যে লম্বা হয়েছে বেশ কিছুটা। চলে যাওয়া মানুষগুলোর কথা নিতান্ত মানবিক দক্ষতায় আমরা ভুলেই গিয়েছি। খুলতেও ইচ্ছা করে না সেই কালো দরজার কপাটগুলো, যার ও পারে পলিথিনের প্যাকেটে মোড়া আত্মজনেরা অক্সিজেনের ঢেঁকি থেকে বেরিয়ে সমাহিত হয়ে শেষ বারের মতো এগিয়ে যাওয়া সভ্যতাকে কুর্নিশ করেছিলেন।
গুটিগুটি পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে ইতিউতি চেয়ে বার কয়েক স্যানিটাইজ়ারে় হাত ঘষে কখন বাজারে যেতে পারি, আমরা তখন সেই হিসেব কষা সবে শুরু করেছি। এক টুকরো ন্যাকড়া দিয়ে মুখ ঢেকে কোনও রকমে চোখ বার করে ঢেউ গুনে গিয়েছি সাগরের। প্রথম ঢেউ, দ্বিতীয় ঢেউ, তৃতীয় ঢেউ। ভবিষ্যৎ প্রবক্তাদের গণৎক্রিয়ায় বিমুগ্ধ করোনার সামাজিক মানসপট মাঝেমধ্যেই শিউরে উঠেছে জীবনের বালুচরে না পৌঁছনো চতুর্থ ঢেউয়ের আগমনবার্তায়।
এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন বসত। আমরা আবার জীবনের ফুলবনে পূর্ণ উদ্যমে মধু খেতে শুরু করেছি। কাজ, আনন্দ, আহ্লাদ এবং প্রশস্ত সামাজিক রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রথাসিদ্ধ গালাগালির ‘ফ্রি স্টাইল’ সমারোহ মন জুড়িয়ে দিচ্ছে আবার আমাদের। হাড়হিম করা আতঙ্ক আর সমস্ত পিছুটান ছিঁড়ে ফেলে দেশের অর্থনীতি আবার ঘি ঢালতে শুরু করেছে জাতীয় প্রগতির প্রদীপে। জাতীয় সুস্থিতি এবং শ্রীবৃদ্ধির এই চলমান চালচিত্রে যখন প্রায় কোনও খুঁতই যখন চোখে পড়ছে না, গালওয়ান-তাওয়াংয়ে লাঠির মাথায় উদ্যত পেরেক উপড়ে ফেলে আমরা যখন নতুন ভারতীয় দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি এবং দেখাচ্ছি, তখনই এ দেশের মানুষের চিন্তার ঈশান কোণে নতুন মেঘ এবং বিদ্যুতের ঝলক। শোনা যাচ্ছে, নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টায় শাসকের হুইসলের আওয়াজ। মক ড্রিলের ভারী বুটের রুদ্রভেদী আওয়াজ করোনার ফিকে হয়ে যাওয়া সামাজিক চেতনায় আবার ভীতির নখের আঁচড় টানছে।
ঘর পোড়া গরু তো! সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পাই। উনিশ-কুড়ি সালের আঁধার রাতে ঠিক এ ভাবেই চিন দেশের প্যাঁচা কু-ডাক ডেকেছিল। জীবাণুর সঙ্গে মানুষের বোঝাপড়ার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক গন্ধ শোঁকাশুঁকি। চিনে এত দিনের আবদ্ধ জীবনে জীবাণুর সঙ্গে মানুষের সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। ফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। বছর তিনেক আগে যেখান থেকে করোনার সজারুসদৃশ কাঁটা বিশ্বভ্রমণ শুরু করেছিল, সেই হুবেই, সাংহাই, বেইজিংয়ের হাসপাতালগুলিই এখন জীবনের একমাত্র ভরকেন্দ্র। আমরা চিনের যে খবরগুলো পাই, তা কিন্তু খণ্ডিত। কারণ, দেশের মর্যাদা এবং সুস্থিতি রক্ষার প্রয়োজনে চিনে যে নির্মম ভাবে খবরের সূত্র এবং বিস্তার রুদ্ধ করা হয়, তাতে জন্ম নেয় আরও বেশি সন্দেহ। শোনা যায়, খেলনা তৈরির মতো দ্রুততায় ২০২০ সালে চিন বানিয়েছিল উহান ভাইরাসের উপর নির্ভর-করা ভ্যাকসিন। পরের দু’বছরে ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ত্রাস সৃষ্টির সময় নিজের আকার এবং ব্যবহার পাল্টেছে অনেক। ফলে এ সম্ভাবনাও প্রবল যে, অতি দ্রুততায় তৈরি করা সেই চিনা ভ্যাকসিন মানুষকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে সফল হচ্ছে না।
করোনার বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াইটাও ছিল নিতান্তই রাজনৈতিক। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক দিকে চিনের প্রাথমিক দুরবস্থার সময় একমুখী আক্রমণে চিন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কে দোষী বলে ক্রমাগত ঢিল ছুড়েছেন। অন্য দিকে, চিনও তার মজ্জাগত দরজা বন্ধ করা প্রবৃত্তিকে বজায় রেখে বিশ্ব বিজ্ঞানের সঙ্গে কোনও রকম তথ্য বিনিময়ের মধ্যে না গিয়ে নিজের ভ্যাকসিনেই ভরসা করে এক আত্মপ্রতারণার যজ্ঞে মেতে উঠেছে। সেই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে সে দেশের মানুষের উপরেই। এর মধ্যে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়িয়ে নানা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ভাইরাস নতুন বসতি খুঁজতে গিয়ে নরম মাটি খুঁজে পেয়েছে হোয়াংহো নদীর পাড়ে। অসুরক্ষিত বিশাল জনসমষ্টি এবং প্রায় নতুন আকারের ভাইরাস— এই দুয়ের সামনে মানুষের নতজানু হওয়ার দৃশ্যই চোখে পড়ছে।
আত্মতুষ্টি নয়, ভাইরাস আমাদের প্রতিনিয়ত বোকা বানিয়েছে— এটা মাথায় রেখে বলতে হয় যে, আমাদের দেশের প্রেক্ষিত অনেকটাই আলাদা। আমরা অতীতে উদ্বাহু হয়ে করোনাকে গ্রহণ করেছি। আমরা ভোট করেছি, মেলা করেছি। সবই দুঃখের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে। এখন তাই নতুন শঙ্কার ডঙ্কা শুনে বুক যে দুরুদুরু করছে না, তা নয়। দেশের শাসকেরা অবশ্যই তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন প্রথাগত সাবধান এবং সতর্কতার বাণী শুনিয়ে। তাঁদের সেই তীক্ষ্ণ ঘ্রাণশক্তি সঞ্জাত সতর্কতার পাঁচালি শুনে আমরা শিহরিত হচ্ছি। কিন্তু শাসকের সতর্কতার উপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখতে কেউই এখন এ দেশে প্রস্তুত নয়। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা।
সারা পৃথিবীতেই শাসকের ভাষা এক। শাসকের মূল ক্ষমতা হল স্থিতাবস্থার ক্ষেত্রে কোনও রকম পট পরিবর্তনের শঙ্কা দেখলেই মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালনে তারা কতটা সপ্রতিভ ও উদ্গ্রীব তা প্রমাণে সচেষ্ট হওয়া। রাজন্যের যে কোনও পদক্ষেপেই অগ্রাধিকার পায় রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং প্রশাসনিক গ্রহণযোগ্যতা। মানুষের স্বার্থরক্ষা যত বার উচ্চারিত হয়, কোনও কালেই তা শাসকের হৃদয়ে তত প্রভাবসিক্ত হয়ে ওঠে না। করোনাকালেও তার অজস্র প্রমাণ পেয়েছি। জীবাণুর হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালনে কে কতটা সফল কিংবা ব্যর্থ— তার শূন্যগর্ভ আস্ফালনের প্রতিযোগিতা সব সময় ছাপিয়ে গিয়েছে জীবনরক্ষার বাস্তবতাকে। মৃতের স্তূপ দেখে মানুষ যতটা সন্ত্রস্ত হয়েছে, শাসক ভয় পেয়েছে তার থেকে শত গুণ বেশি। তাই চিতার আগুন নাগরিক চোখের দৃশ্যমানতার বাইরে যেই চলে গিয়েছে, অমনি রাজনীতির প্রথামাফিক কে কত সফল কিংবা কার ব্যর্থতা কত ছিল করোনার রণাঙ্গনে, সেই লড়াইয়ে তারা ব্যস্ত হয়েছে।
এ দেশের মানুষের সামনে এখন তাই অনেক শঙ্কা। আবার সেই লকডাউন? ইতিউতি চেয়ে পথচলা? বাচ্চাগুলোকে আবারও তাদের একমাত্র গোষ্ঠগৃহ থেকে বঞ্চিত করা? ট্যাক্সিচালক, রেলওয়ে হকার, সব্জি বিক্রি করে দিন গুজরান করা মানুষগুলো এবং সবার উপরে সেই ক্রমাগত পথহাঁটা পরিযায়ী শ্রমিকের সংসার— সব জায়গাতেই একই অনুরণন। পরিস্থিতি এখনও ততটা স্বচ্ছ নয়। তবে কতগুলি সিদ্ধান্ত এই মূহূর্তে এ দেশের মানুষের সুস্থিতি এবং নিরাপত্তার খাতিরে ভেবে নেওয়া দরকার।
প্রথমত, লকডাউনের মতো সার্বিক ভাবে ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ আদৌ ভাবনায় আনার কোনও সমীচীন কারণ নেই। অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত যে, এতে জীবাণুর বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে কোনও লাভ হয় না। বরং ‘জার্ম ফ্রি অ্যানিম্যাল’ তৈরি করার মতো পদক্ষেপের ফল হয় জৈবিক বিশ্বের ভারসাম্য নষ্ট করা। ভারতের মতো মুক্তচেতা দেশে তা ব্যবহারিক দিক দিয়েও গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের শাসক এ রকম আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে না বলেই মনে হয়।
দ্বিতীয়ত এবং ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, যা-ই ঘটুক না কেন, স্কুলগুলি সচল রাখা দরকার। দরজা হাট করে খুলে রেখে। অতিমারির লড়াইয়ে ওই বছর দুয়েক আমরা স্নেহ এবং অতিসতর্ক সক্রিয়তায় যে ভাবে তাদের সুস্থতা এবং বৃদ্ধির অঙ্গনগুলিকে অচল করে রেখেছি, তার প্রভাব যে সুদুরপ্রসারী, তা যথেষ্ট বোঝা গিয়েছে। তথ্যপ্রমাণের শক্তিতে এ পদক্ষেপ অবৈজ্ঞানিক এবং অবান্তর বলে বার বার আলোচিত হওয়া সত্ত্বেও স্কুলের দরজা খুলতে সরকার এবং অভিভাবক, দু’পক্ষই যেমন আতঙ্কতাড়িত দ্বিধা দেখিয়েছিলেন, তাতে অপরিসীম ক্ষতি হয়েছে শিশুদের। জলের উপরের ঢেউ চোখে পড়ে আমাদের। কিন্তু সমুদ্রের গভীরতায় দৈনিক দৃশ্যমানতার বাইরে যে প্রলয় চলে, তা বুঝে নিতে লাগে অনেক দূরে দেখার ক্ষমতা। আশা করি ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ‘রেনি ডে’র মতো আবার স্কুল বন্ধের দিকে কারও নজর পড়ছে না।
তৃতীয়ত, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাকুলতা ছিল ভীতির সঙ্গে মধুচন্দ্রিমার সময় অমৃতভাণ্ড স্পর্শ করার মতো। করোনা ভীতি যতই কমেছে, টিকার লাইনও কমেছে তত। ধুর, ফালতু— এ সব বলতে বলতে বহু মানুষ উবে গিয়েছেন টিকা শৃঙ্খলার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে। এই ফাঁকফোকরগুলো এ বার বুজিয়ে নেওয়া দরকার। সরকারি উদ্যোগ প্রায়ই মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হয়। নাগরিকদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার ইচ্ছা ও প্রবণতা বাড়ানোও তার মধ্যে পড়ে। এখন তাই টিকা গ্রহণের মানসিকতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া দরকার।
আরও একটা জিনিস মনে রাখা দরকার। বিজ্ঞানের তাওয়া সব সময় গরম থাকে। তাতে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয় নানা উত্তেজক জিনিসপত্র। সেগুলি পরিণত হয়ে বহু বিশ্লেষণের ধাপ পেরিয়ে যখন পোক্ত হয়, তখনই তা মানুষের সামনে আসা উচিত। হঠাৎ উদ্ভূত ‘তথ্য’ মানুষের মননে মায়াজাল বিস্তার করে। কুহকের বেড়াজালে রাখলে বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের শ্রদ্ধার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয় না। আগের বার বেনোজলের মতো প্রাথমিক এবং আজগুবি এত তথ্য সামনে এসেছিল যে, মানুষ চরম সংশয়ে ডুবে গিয়েছিল। বিজ্ঞানের এগোনোর পথের সব চড়াই-উতরাই সাধারণ মানুষের মাথায় আছড়ে মারলে তাকে আঁধিতে নিয়ে ফেলা হয়।
বি-সেভেন না বি-এইট প্রজাতির ভাইরাস ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা জেনে সাধারণ মানুষের কোনও লাভ নেই। প্রজাপতির ডানার মতো ভাইরাসও রং বদলায় প্রতি মুহূর্তে। নতুনরঙা প্রজাপতি দেখলেই যদি আতঙ্কিত হতে হয়, তা হলে পৃথিবীতে আমোদ-আহ্লাদ সব উঠে যাবে। হাজারের মধ্যে সেই একটি পতঙ্গের খোঁজ জানা দরকার যা বিষাক্ত। এটাও বোঝা দরকার, মানুষও ক্রমাগত প্রতিরোধী ক্ষমতায় বলশালী হয়ে উঠছে। সাতরঙা প্রজাপতি আর নীলকণ্ঠ মানুষের লড়াইয়ের ফল জীববিশ্বে কখনও একমুখী হয় না। দুর্ঘটনা না ঘটলে তাই আমাদের আর নতজানু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সেই সব মুহূর্তগুলো এখনও মনে আছে? ডক্সিসাইক্লিন, রেমডেসিভির, টোসিলিজ্যুমার প্রভৃতির খড়কুটো ধরে আমরা বাঁচার চেষ্টা করেছিলাম। অক্সিজেন দেওয়ার নানা কৌশল, ভেন্টিলেটর, একমো হয়েছিল আমাদের আত্মিক সুরক্ষার ধারাপাতের নানান অক্ষর। আচ্ছা, কিছু শিক্ষা নিয়েছি কি আমরা? হয়েছি কি আরও বিজ্ঞানভাবনায় বলশালী, স্বাস্থ্যচিন্তায় অগ্রসর? হয়েছি কি লোকস্বাস্থ্যের প্রলয় মোকাবিলায় আগের থেকে বেশি সংগঠিত এবং সামাজিক সংবেদনশীলতায় পরিশীলিত?
শঙ্কা এখানেই। করোনা হয়তো এ দেশে এ বার প্রলয় না-ও ঘটাতে পারে। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রাখা দরকার। জীবাণু আমাদের অতীতে বার বার বোকা বানিয়েছে। প্রস্তুতি বজায় রেখেই তাই এখন জীবন সার্বিক ভাবে সচল রাখা দরকার। অতিমারি তো আসবেই। আবারও আসবে। শিখে নিই না আমরা একটু পুরনো ছবিটার দিকে তাকিয়ে। এই শঙ্কার দুন্দুভির আওয়াজে কান পাততে পাততে।
(লেখক চিকিৎসক, লিভার ফাউন্ডেশনের সচিব। মতামত নিজস্ব।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy