দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।
উত্তর মুম্বই লোকসভা কেন্দ্র মানেই বলিউডের যোগাযোগ। ইউপিএ সরকারের আমলে এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন গোবিন্দ। গত বার কংগ্রেস এই কেন্দ্রে ঊর্মিলা মাতণ্ডকরকে প্রার্থী করে। ঊর্মিলা হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। টিকিট না পেয়ে অভিমানে তিনি শিবসেনায় যোগ দেন। এখন দিল্লিতে জোর জল্পনা, বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনে মাধুরী দীক্ষিতকে উত্তর মুম্বইয়ে প্রার্থী করতে পারে। মাধুরীকে নিয়ে এমন জল্পনা অবশ্য নতুন নয়। এ বার সত্যিই তিনি রাজনীতিতে আসবেন কি না— উত্তর মেলেনি। তবে চিন্তা বেড়েছে উত্তর মুম্বইয়ের বর্তমান বিজেপি সাংসদ গোপাল শেট্টির। এমনিতেই কৃষকদের আত্মহত্যা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে বিতর্কিত মন্তব্য করে চাপে তিনি। এখন টিকিট কাটা যাওয়ার আশঙ্কায় মাধুরী তাঁর ঘুম কেড়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বিচারপতির আসনে
ওকালতির আগে কলকাতায় ক্রীড়া সাংবাদিকতা করতেন। পরে আইনজীবী থেকে বিচারপতির আসনে বসেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে অবসর নিয়েছেন তিনি। এ বার বিচারপতির তালিকায় জুড়লেন আর এক প্রাক্তন সাংবাদিক, বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে সদ্য নিযুক্ত আইনজীবী সোমশেখর সুন্দরেশন। ভাল করে সাংবাদিকতা করতেই আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পরে ওকালতিই তাঁকে টানে। এ বার ওকালতি ছেড়ে হাই কোর্টের বিচারপতি পদে উত্থান হল তাঁর।
প্রধান আকর্ষণ
পাহাড়ের মানুষের বিশ্বাস, লঙ্কা বিজয় করে রামচন্দ্রের অযোধ্যায় ফেরার খবর পাহাড়ে পৌঁছতে ১১ দিন দেরি হয়েছিল। তাই উত্তরাখণ্ডের মানুষ দীপাবলির ১১ দিন পরে ‘ইগাস’ উৎসব পালন করেন। বিজেপির উত্তরাখণ্ডের নেতা অনিল বালুনি দিল্লির বাড়িতে ইগাস উপলক্ষে বিজেপি নেতা, মন্ত্রী, সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। চমক হিসাবে হাজির ছিলেন সদ্য বিশ্বকাপ খেলে আসা ভারতীয় দলের প্রধান অস্ত্র মহম্মদ শামি। অমিত শাহের মতো শীর্ষ বিজেপি নেতারা হাজির থাকলেও শামিই সে দিন সব ‘লাইমলাইট’ কেড়ে নিলেন। হাসিমুখে অজস্র নিজস্বীর অনুরোধ সামলাতে হল শামিকে।
উঠতি তারকা
তেলঙ্গানায় প্রচারে গিয়ে হায়দরাবাদের নাম বদলে ভাগ্যনগর করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। রাজস্থানে গিয়ে সরকারি মদতে চলা মাদ্রাসা বন্ধ করার কথা বলছেন। রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদীকে অপয়া বললে তিনি গোটা গান্ধী পরিবারকেই অপয়া বলছেন। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম তারকা প্রচারক হিসাবে উঠে এসেছেন হিমন্তবিশ্ব শর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী মিজ়োরাম, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা মিলিয়ে অন্তত ৬০টি জনসভা করেছেন। বিজেপির অন্দরমহলের খবর, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, আদিত্যনাথের পরেই হিমন্তবিশ্ব শর্মার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
রাজধানীতে মা দুর্গা
‘বলো দুর্গা মাঈ কি’ নয়, তবে বারে বারেই ‘জয় মাতা দি’ শোনা গেল দিল্লির প্রগতি ময়দানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গের প্যাভিলিয়নে। দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ বা আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে তকমা দিয়েছে। তা তুলে ধরতে এ বার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গের প্যাভিলিয়নের বাইরের দিকে একটি ছোট্ট দুর্গাপুজোর মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল। সপরিবারে দেবীর মূর্তিও বসানো হয়েছিল। দিল্লির মানুষ বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে ঘুরতে আচমকা দেবী দুর্গার মূর্তি দেখতে পেয়ে জয়ধ্বনি দিলেন। অনেকে মূর্তির সামনে প্রণামীও জমা করলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গের প্যাভিলিয়নে বাঙালি মিষ্টির দোকানে সন্দেশ, মিষ্টি দই খেয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরলেন।
নারীশক্তি
মন্ত্রী এবং আমলা মিলিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মঞ্চে চার জনই মহিলা। দিল্লির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসে এমনই বিরল দৃশ্যের দেখা মিলল। পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে দিল্লির প্রগতি ময়দানে সাংবাদিক সম্মেলন করতে কলকাতা থেকে এসেছিলেন রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিল্প-বাণিজ্য দফতরের দুই মহিলা অফিসার— বিশেষ সচিব সুমিতা বাগচী ও অতিরিক্ত সচিব সোনালী দত্তরায়। ছিলেন দিল্লিতে নিযুক্ত রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনার উজ্জয়িনী দত্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy