পঞ্জাবের কন্যা হয়েও তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম সিনেমার পর্দায় ঝড় তুলেছিলেন নবনীত কউর। রুপোলি পর্দার নায়িকার অবশ্য প্রায়ই দেখা মিলত যোগগুরু রামদেবের যোগ শিবিরে। সেখানেই আলাপ হয় মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর রাজনীতিক রবি রানার সঙ্গে। তার পর প্রণয় ও পরিণয়। বিদর্ভের যে চাষিরা আত্মহত্যা করেছিলেন, তাঁদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের গণবিবাহের অনুষ্ঠানে দু’জনের বিয়ে হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী, বলিউডের তারকারা। সেই বিয়ের বৈদিক মন্ত্র পাঠ করেছিলেন খোদ যোগগুরু রামদেব। অধুনা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়ির সামনে হনুমান চালিসা পাঠ করতে চেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন রানা দম্পতি। তবে রাজনীতিতে তাঁরা বিখ্যাত ডিগবাজির জন্য। রবি রানা বিধায়ক হয়েছেন। স্ত্রী নবনীত কউর হয়েছেন সাংসদ। কিন্তু বিধায়ক, সাংসদ হওয়ার সময় রবি ও নবনীত শরদ পওয়ারের এনসিপির মদত নিলেও পরে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছেন।
সংসারের শান্তিভঙ্গ
সমাজমাধ্যমে পুত্রের কৃতিত্ব পোস্ট করে বেজায় ফ্যাসাদে পড়েছেন কেন্দ্রীয় আইন প্রতিমন্ত্রী এস পি বঘেল! পুত্র পার্থ সিংহ বঘেল এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর মন্ত্রী সে বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাও সেটা ছেলেরই আবদারে। পার্থর বক্তব্য ছিল, বাবা গোটা দিন কত ‘হাবিজাবি’ পোস্ট করে যান, অথচ ছেলের এই গৌরবের কথা ফলাও করে বলেন না। এ-হেন অনুরোধ তো আর ফেলতে পারেন না মন্ত্রী। কিন্তু পোস্ট করলেই বা গৃহযুদ্ধ কমছে কোথায়! তাঁর কন্যা সালোনি সিংহ বঘেলও এমবিবিএস এবং এমএস ডিগ্রিধারী। ভাইকে নিয়ে ওই পোস্টের পর চিকিৎসক দিদির অভিমান— কই, বাবা তো কখনও মেয়ের গর্বে আত্মহারা হয়ে এমন কোনও পোস্ট করেননি! বিপন্ন বঘেল এর পর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর সংসারের শান্তি নষ্ট করছে।
ছবির সঙ্গে সেলফি!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরাট কাট আউট। তার সঙ্গে দিনভর নিজস্বী তুললেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। স্থান— উত্তরপ্রদেশের সাহিবাবাদ বিধানসভা নির্বাচনী ক্ষেত্রের ৩২৭ নম্বর বুথ। গত রবিবার। এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৭ এবং ২০২২— দু’বারই বিজেপি জিতেছে সর্বোচ্চ ব্যবধানে। তারই উদ্যাপন করতে রবিবার ওই বুথে পৌঁছে গেলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। সঙ্গে যান দিল্লি থেকে দলীয় কর্মীরা। সেখানে মোদীর রেডিয়ো অনুষ্ঠান, ‘মন কি বাত’ শোনা হয় ঘটা করে। তোলা হয় মোদীর ছবির সঙ্গে সেলফি। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় নড্ডা ব্যাখ্যা করলেন, কী ভাবে রেডিয়োর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মানুষের সঙ্গে সংযোগ রচনা করেছেন!
অ্যান্টনির অবসর
এ কে অ্যান্টনির তখন মাত্র ৩৩ বছর বয়স। কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। কেরল হাউস থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সি ধরলেন। ট্যাক্সি তাঁকে নামাল এক নম্বর সফদরজং রোডে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উঠোনে। তখন এত নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি নেই। ইন্দিরা নিজেই কেরলের তরুণ নেতাকে অভ্যর্থনা জানাতে বেরিয়ে এলেন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে কেরলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার অ্যান্টনির সেই রেকর্ড গত ৫০ বছরেও কেউ ভাঙতে পারেনি। তার পরে অ্যান্টনি এক বার কংগ্রেস ছেড়েও, আবার পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন হয়ে থেকেই ৩৮ বছর পাঁচ দফায় রাজ্যসভায় কাটিয়ে দিয়েছেন। মনমোহন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও হয়েছেন। এ বার ৮১ বছর বয়সে অ্যান্টনি সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসর নিলেন। সেই সঙ্গে যন্তর মন্তর রোডে তাঁর বহু দিনের সরকারি বাসভবন ছেড়ে, তিরুঅনন্তপুরমের ঠিকানায় রওনা হয়ে গেলেন তিনি।
রাজনীতির গরম
রাজধানীতে গত এক মাস ধরেই চলছে তাপপ্রবাহ। তার মধ্যেই ভরদুপুরে মাথার উপর জ্বলন্ত আকাশকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া রিপুন বরা, সুস্মিতা দেব এবং জহর সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের অস্থায়ী দলীয় অফিস সাউথ অ্যাভিনিউয়ের পিছনের লনে। এখানে ত্রিপলের ছাউনি দেওয়া হয় অন্য সময়। সে দিন তা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। সাংবাদিক এবং নেতা সকলেই গরমে নাজেহাল। সঙ্গে বইছে লু। সম্মেলনের শেষ পর্বে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার সাংবাদিকদের ঠাট্টা করে বলে গেলেন, “গরমে তো সবার রং বদলে গিয়েছে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy