Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
sonia gandhi

দিল্লি ডায়েরি

‘‘জানেন তো আমার প্রিয় ফুটবল টিম কী? জুভেন্তাস!’’

সনিয়া গাঁধী

সনিয়া গাঁধী

অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী,  অনমিত্র সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:২১
Share: Save:

সব খেলার সেরা, সনিয়ারও প্রিয় ফুটবল

‘জাল’ নৈশভোজ

প্রতি বছরই বাজেটের পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু গত জুলাইতে বাজেটের পর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অর্থ মন্ত্রকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তাতে খবর আটকায়নি। কিন্তু সিংহভাগ সাংবাদিক গত বছর তাঁর নৈশভোজ বয়কট করেছিলেন। এ বার বাজেটের পর নাকি বেছে বেছে সেই সাংবাদিকদের কাছেই নৈশভোজের নিমন্ত্রণ যাচ্ছে, যাঁরা বয়কট করবেন না। নিমন্ত্রণ জানিয়ে পাঠানো ইমেল প্রকাশ্যে আসতে অর্থ মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, ও সব ‘ফেক’!

কল্যাণ হোক

ক্ষণে রুষ্ট ক্ষণে তুষ্ট, রুষ্ট তুষ্ট ক্ষণে ক্ষণে! সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটল সংসদের সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে। সেন্ট্রাল হল-এ রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শেষ। তৃণমূলের নীরব প্রতিবাদ দেখানোও শেষ। এমন সময় বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানের কাছে গিয়ে বলে বসলেন, ‘কল্যাণ হায় হায়’! অমনি চটে গিয়ে কল্যাণ নালিশ ঠুকলেন সোজা স্পিকারের অফিসে। কল্যাণকে বসিয়ে স্পিকার বিজেপি নেতাকে ডেকে পাঠানোয় কিছুটা হতবুদ্ধি দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিছকই মজা করতে চেয়েছিলেন!

তবে, ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখিত। এই ঘটনার দু’দিন পর সেন্ট্রাল হলেই জল খাচ্ছিলেন দিলীপ। পিছন থেকে কল্যাণ হইহই করে সম্ভাষণ করলেন তাঁকে! দিলীপ পরে সহাস্যে জানালেন, ‘রাগ তা হলে পড়ে গিয়েছে কল্যাণের’!

দাদাগিরি চলছে?

বাঙালি হলেই অবাঙালিদের কাছে ‘দাদা’। খেলার মাঠেই হোক, বা রাজনীতির ময়দানে। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে তাই অন্য দলের নেতারা ‘দাদা’ ডাকেন। আয়ুষ মন্ত্রকের মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েকও অধীরকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু লোকসভার মধ্যে এই দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক পাতানো নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। তাঁর নিদান, হয় ‘রেসপেক্টেড মেম্বার’, নয়তো ‘মাননীয় সদস্য’ বলুন। অনেকে বলছেন, স্পিকার নিজেও নাকি অধীরকে শান্ত করতে অনেক সময় দাদা বলে ডাকেন। এ বার থেকে কান খাড়া রাখতে হবে।

নুসরতের প্রতীক্ষা

পথ ভুলে, সংসদ চত্বরে বি আর অম্বেডকরের মূর্তির তলায় তৃণমূল-সহ বিরোধীদের ধর্নায় না গিয়ে, খোদ সরকারেরই সেন্ট্রাল হলের অনুষ্ঠানে চলে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নতুন সাংসদ নুসরত জাহান! ঘোর বিতর্ক তৈরি হল। জিতে আসার পর দলের সংসদীয় রাজনীতিতে তাঁর যে খুব সক্রিয় অংশগ্রহণ এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, তা-ও নয়। কিন্তু সেই তিনি, এক নয়, দুই নয়, ন’খানা সংশোধনীর নোটিস স্পিকারকে জমা দিয়ে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা সংক্রান্ত বিতর্কে। কিন্তু একটিও সংশোধনী পেশ করার সুযোগ জুটল না। স্পিকার সমস্ত সংশোধনী একসঙ্গে নিয়ে ধ্বনি ভোটে পাশ করালেন রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন সংক্রান্ত ওই প্রস্তাব। বোঝা যাচ্ছে, কিছু করে দেখাতে আরও অপেক্ষা করতে হবে নুসরতকে।

ইডি-র সিংহাসনে

সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের হেনস্থায় জেরবার দশা— মোদী সরকারের কাছে শিল্পমহল অনেক দিন ধরেই এই অভিযোগ করছে। হেনস্থা কমাতে মোদী সরকার সচেষ্টও। কিন্তু এত দিন যিনি আয়কর দফতরের যাবতীয় তদন্ত চালাচ্ছিলেন, তিনিই নাকি ইডি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন! জল্পনা তেমনই। আয়কর দফতরের ডিজি (ইনভেস্টিগেশন) হরিশ কুমার ইডি-র ডিরেক্টর হচ্ছেন বলে গুজব। রেভেনিউ সার্ভিসের অফিসার হরিশের ৩১ মার্চ অবসর। তার আগেই তাঁকে ইডি-র ডিরেক্টর করা হলে, আগামী দু’বছর তিনিই ওই পদে থাকবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Sonia Gandhi Juventas Rajendramohan Football
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy