পোস্টার হোক অথবা দলীয় বৈঠকের গোল টেবিল। সাম্প্রতিক অতীতে নরেন্দ্র মোদীর পাশের ‘হট সিট’-টিতে বরাবরই দেখা গিয়েছে অমিত শাহকে। রাজনৈতিক আলাপচারিতায় বিজেপির শীর্ষ এই দু’টি নাম একই বন্ধনীতে জুড়েছে ক্রমশ, দলের শীর্ষ অনুষ্ঠানেও দু’জনে পাশাপাশি। কিন্তু এ বার কী হবে, আলোচনায় মশগুল দিল্লির রাজনৈতিক করিডর। নতুন বিজেপি সভাপতি হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন জে পি নড্ডা। বসার ব্যবস্থা কি তা হলে এ বার বদলে যাবে? পোস্টারেও কি দেখা যাবে মোদী-নড্ডাকে? দলীয় নেতাদের একাংশের মতে, যাওয়া উচিত। কারণ, যখন বেঙ্কাইয়া নায়ডু এই পদে নির্বাচিত হন, তখন দলের পোস্টারে বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর ছবি-ই থাকত। দলের অবিসংবাদী ‘দু’নম্বর’ অমিত শাহ এই নিয়ে কী ভাবছেন, তা জানা যায়নি!
রিডিং রুমের আড়ালে
সাংসদেরা সময় পেলে সেন্ট্রাল হলের পাশে রিডিং রুমে বসেন। কিন্তু অনেকেই ঘরটির ইতিহাস জানেন না। ব্রিটিশ জমানায় সংসদ ভবনে তিনটি সভা বসত। সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি ও কাউন্সিল অব স্টেটস এখন লোকসভা ও রাজ্যসভা। সঙ্গে ছিল চেম্বার অব প্রিন্সেস। রাজারাজড়াদের প্রতিনিধি সভা। ২৮ জানুয়ারি ১৯৫০, সংসদ ভবনের এই চেম্বারেই কাজ শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমান ভবনে সরে যাওয়ার আগে ১২ বছর এই কক্ষই ছিল সুপ্রিম কোর্টের ঠিকানা!
দিল্লিতে ‘বাংলা বাঁচাও’
রাজধানীতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে হইচই হল। আন্দামান থেকে মুম্বই, আমদাবাদ থেকে অসম— অল ইন্ডিয়া বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রতিনিধি সংবলিত বার্ষিক সম্মেলন সরগরম প্রবাসে বাংলা ভাষা বাঁচিয়ে রাখার আলোচনায়। মূল উদ্যোক্তা ও আয়োজক দিল্লির বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন। বিভিন্ন রাজ্যে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমন্বয় বাড়ানো, ভাষা চর্চার সাধারণ মঞ্চ তৈরি নিয়ে আলোচনা হল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পদস্থ আমলা অনুরাধা মিত্র।
নোনতা সমাচার
পশ্চিমবঙ্গে ভাল নোনতা খাবারের খোঁজে উৎসুক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিন লোকসভার স্পিকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকের পর বসেছিল সৌজন্য নৈশাহার। এক টেবিলে প্রধানমন্ত্রী, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে সুদীপবাবুর কাছে খোঁজ নেন মোদী। সুদীপের চটজলদি উত্তর, ‘সামোসা!’ অধীরবাবু বোঝান সামোসাকে বাংলায় ‘শিঙাড়া’ বলা হয়। সুদীপবাবু মোদীকে বলেন, আরও অনেক ভাল নোনতা খাবার আছে, কিন্তু কলকাতা বিখ্যাত রসগোল্লা সন্দেশের মতো মিষ্টির জন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে বিষয়ে তিনি যথেষ্টই ওয়াকিবহাল! শুধু নোনতা আইটেমটিই তাঁর জানা ছিল না। এর পর মমতার রাজ্যে গিয়ে তিনি শিঙাড়া খাবেন কি না তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মোদী।
আডবাণীর শখ
যৌবনে তিনি আরএসএস-এর মুখপত্র ‘পাঞ্চজন্য’-এর সিনেমা সমালোচক ছিলেন। শুধু পেশাই নয়, অল্প বয়স থেকেই চলচ্চিত্রই লালকৃষ্ণ আডবাণীর অন্যতম প্রধান প্যাশন। পরে পেশা বদলালেও সিনেমার প্রতি পুরনো টান এই বিরানব্বইয়েও একই রকম সতেজ। বাড়িতে দেখার চেয়েও, সুযোগ পেলেই ছেলে মেয়েকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখাই বেশি পসন্দ প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রীর। সম্প্রতি মেয়ে প্রতিভার সঙ্গে হলে গিয়ে দেখে এলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ‘দ্য স্কাই ইজ় পিঙ্ক’। ঘনিষ্ঠ শিবিরে ছবিটির প্রশংসা করেছেন আডবাণী। তার আগে গিয়েছিলেন ‘উরি’ দেখতে। আপাতত খোঁজ নিচ্ছেন, পরবর্তী কোন ছবির জন্য হল-এ যাওয়া যায়!
দরগায় বসন্ত পঞ্চমী
হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগা জুড়ে বসন্তের রং। পোশাকে, পাগড়িতে সূর্যমুখী, গাঁদার সোনালি হলুদে চোখ ঝলসে যাওয়ার উপক্রম। বুধবার দরগায় বসন্ত পঞ্চমী পালন হল। ভোটের দিল্লিতে হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণ। সিএএ-এনআরসি ঘিরে প্রতিবাদে রাজনীতি ও ধর্মকে লড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু নিজামুদ্দিনের দরগায় দুই ধর্ম মিলেমিশে এক। কথিত, ভাইপোর মৃত্যুতে শোকাহত নিজামুদ্দিনের মুখে হাসি ফোটাতে আমির খসরু বাসন্তী রঙের পোশাক পরে গান ধরেছিলেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের স্রষ্টার পোশাক দেখে সুফি সন্তের মুখে হাসি ফুটেছিল। সেই থেকে দরগায় বসন্ত পঞ্চমীতে সুফি বসন্তের পালন। রাজনীতিও তাতে ফাটল ধরাতে ব্যর্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy