দল-কোঁদল ছেড়ে নাতির জন্মদিনে
রাজনীতিতে যা হচ্ছে হোক। চার বছরের নাতির জন্মদিনে ঠাকুর্দার না থাকলে চলে! সোমবার রাতে যখন মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে, পর দিন সকালেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করবেন, তখন কংগ্রেস শিবিরের বিবাদের অন্যতম চরিত্র দিগ্বিজয় সিংহ ছিলেন ছেলে জয়বর্ধনের বাড়িতে। চার বছরের নাতির জন্মদিন উদ্যাপন চলছে। দিগ্বিজয় তাঁর প্রায় অর্ধেক বয়সি সাংবাদিক অমৃতা রাইকে বিয়ে করার পরে পিতা-পুত্রের বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। অমৃতা দিগ্বিজয়ের যাবতীয় সম্পত্তির উপরে অধিকার ছেড়ে দেওয়ার পরে পিতা-পুত্রের সম্পর্কেও শান্তি ফিরেছে। জয়বর্ধন বিধায়ক হয়ে কমল নাথ সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। বিহারের পশ্চিম চম্পারণের দুমারিয়া রাজপরিবারের শ্রীজম্যা শাহির সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেন দিগ্বিজয়। দলে ভাঙন ধরলেও, তরুণী ভার্যা, পুত্র, পুত্রবধূ, নাতিকে নিয়ে তাঁর সাজানো সংসার।
মিলন: আগে পরিবার, পরে রাজনীতি। নাতির জন্মদিনে ছেলের বাড়িতে দিগ্বিজয় সিংহ।
দৌলত কি চাট
পুরনো দিল্লির প্রাচীন প্রবাদ হল, হিমেল রাতে চাঁদনি আলোয় তৈরি হবে ‘দৌলত কি চাট’। এক কড়াই কাঁচা দুধ চাঁদনি আলোয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে নেড়ে সারা রাত ধরে ফেনায়িত হয়ে উঠবে। তার পর তাকে লালচে ঘন করে, মেশাতে হবে পেস্তা, বাদাম, এলাচের গুঁড়ো, কেশর ও চিনির গুঁড়ো। এই চাট মেলে শুধু শীতকালেই। চাঁদনি চকের ক্ষেমচাঁদের পরিবার বংশপরম্পরায় দৌলত কি চাট তৈরির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু পুরনো দিল্লির গণ্ডির বাইরে তার দেখা মেলা ভার। এ বছর অবশ্য পুরনো দিল্লির কুরেমল মোহনলাল কুলফিওয়ালারাও দৌলত কি চাটকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু শীতের শেষবেলায় হিংসাদীর্ণ দিল্লিতে, দৌলত কি চাটের স্বাদও ঠিক জমল না।
‘নমস্তে’ রফতানি
করমর্দনের দিন দূরে। আলিঙ্গনের দিন সুদূরতম। করোনাভাইরাসের জেরে রাজধানীতে সৌজন্য বিনিময়ের ভাষা এখন ‘নমস্তে’! সংসদে কেউ ভুল করে হাত বাড়িয়ে দিলে, অন্য জন এমন ভাবে হাত ফিরিয়ে নিচ্ছেন, যেন ছেঁকা লেগে যেত! সেন্ট্রাল হল থেকে সংসদীয় করিডর— সর্বত্রই এই দৃশ্য। চাণক্যপুরীতে বিভিন্ন দূতাবাসের ভিন্দেশি আবাসিকরাও শিখে নিয়েছেন নমস্কার বিনিময়ের সৌজন্য। ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে করমর্দনের কূটনীতি ভুলে এখন উভয় পক্ষই বুকের কাছে জোড়হাত। সর্বশেষ খবর, ‘নমস্তে’ পাচার হয়েছে ইউরোপেও। সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ প্যারিসে স্পেনের রাজা-রানিকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন নমস্তে করেই!
শীর্ষ পদে তিনি?
জল্পনা: রাকেশ আস্থানা কোন পদে?
নাম তাঁর আস্থানা। তবু তাঁর উপরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আস্থা অটুট। গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার রাকেশ আস্থানাকে গুজরাত পুলিশের ডিজি পদে নিয়োগ করা হবে বলে জল্পনা চলছিল। কারণ গুজরাত পুলিশের বর্তমান ডিজি শিবানন্দ ঝা এপ্রিলে অবসর নিচ্ছেন। মোদী জমানায় গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস আস্থানাকে সিবিআইতে স্পেশাল ডিরেক্টর পদে এনে ডিরেক্টর পদে বসানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তখন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার সঙ্গে আস্থানার বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। আস্থানার বিরুদ্ধে সিবিআই-ই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। আস্থানা এখন বুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিয়োরিটি-র ডিজি-র সঙ্গে নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর ডিজি-রও অতিরিক্ত দায়িত্বে। তাঁর মেয়াদ আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো। বর্তমান সিবিআই ডিরেক্টর ঋষি কুমার শুক্ল ৪ ফেব্রুয়ারি অবসর নিচ্ছেন। ফলে আস্থানাকে সিবিআইয়ের শীর্ষ পদে বসানোর মোদী-শাহের লক্ষ্য আগামী বছরই পূরণ হচ্ছে বলেই আমলা মহলের মত।
কথা বলার ইচ্ছে
‘‘আপনার সঙ্গে অনেক দিন ধরেই কথা বলার ইচ্ছা ছিল।’’ রাজ্যসভায় ঢোকার মুখে এমন কথা শুনে থমকে যান বিজেপি মনোনীত সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের শান্তা ছেত্রী। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ। শান্তা নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘‘আমি পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ। দার্জিলিঙে বাড়ি। অনেক দিন ধরেই কথা বলার ইচ্ছা ছিল, তাই আজকে বলেই ফেললাম। আপনি হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি যে কোনও ভাষাতেই কথা বলতে পারেন।’’ হেসে ফেলেন স্বপনবাবু। বলেন, ‘‘ভাষা কোনও ব্যবধানই নয়। যখন ইচ্ছা আমার সঙ্গে কথা বলবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy