তরুণরা এখনও বিশ্বাস হারাননি তা হলে
লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের ভরাডুবির পর কলকাতায় গিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। দলের হার নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ সেরে ফিরছেন দিল্লিতে। বিমানেই দেখা সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেরনো স্বাগত গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সিপিএম নেতারা তরুণদের ভোট সরে যাচ্ছে বলে চিন্তায় পড়েছেন। স্বাগত কিন্তু বিমানে ইয়েচুরিকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে স্কেচ করে ফেলেছেন। আদিবাসী, শ্রমিক, মহিলার মিছিলে উড়ছে লাল ঝান্ডা, কাস্তে-হাতুড়ি প্রতীক। ছবি জুড়ে বামেদের ধর্মনিরপেক্ষতা, ফ্যাসিবাদ-বিরোধ, মানুষের দল হয়ে ওঠার মন্ত্র। ইয়েচুরি আশ্বস্ত হলেন, তরুণরা এখনও বামপন্থায় বিশ্বাস হারাননি তা হলে!
ছবি: দিল্লিতে নর্থ ব্লকে হনুমানের মূর্তি
আবির্ভাব
দিল্লির নর্থ ব্লকে অর্থ মন্ত্রকের দফতর। সেখানে অর্থের সাধনা। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই অর্থ মন্ত্রকের দোতলায় নানা ধাঁচের গণেশ ও লক্ষ্মীর মূর্তি। কোনওটি কাঠের, কোনওটি পাথরের, কোনওটি আবার ধাতুর। খোদ অর্থমন্ত্রীর ঘরেও এই সব দেবদেবীর ছবি রয়েছে। তা বলে হনুমান? ভোটের আগে হনুমানের জাতি-পরিচয় নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছিল। এ বার সেই হনুমানেরই একটি মূর্তির আবির্ভাব হয়েছে অর্থ মন্ত্রকের দোতলায়, সিঁড়ির ঠিক পাশে। নতুন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে দিন দায়িত্ব নিলেন, সে-দিন কারা যেন হনুমানের গলায় গাঁদাফুলের মালাও পরিয়ে দিয়েছিল। অবশ্য ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠেনি।
রঙিন পরামর্শ
রবিবার গোলাপি, সোমে সাদা, মঙ্গলে নীল, বুধে সবুজ, বৃহস্পতিতে হলুদ, শুক্রবারে লাল, শনি কালো। না, কোনও বসে আঁকো প্রতিযোগিতা নয়। জ্যোতিষ মেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিদান, তাঁর সাংসদদের পোশাকের রং বাছাইয়ের। তিন বারের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানাচ্ছেন, এই ‘রঙিন পরামর্শ’ মেনে চলেছেন, ফলও পেয়েছেন! সংসদে সর্বদাই শাড়িতে দেখা যায় তাঁকে। বললেন, ‘‘এ বার সাংসদ হিসেবে শপথের দিনও বার অনুযায়ী রং পরব। দিদি যা বলেন তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি আমি। শুধু সংসদে নয়, বাড়িতেও।’’ দিদি কি শাড়িও বাছাই করে দেন? কাকলি জানালেন, তা নয়। তাঁতের শাড়ি পরতেই তিনি সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। বললেন, ‘‘আমাদের দেশের হাতে বোনা তাঁতের শাড়ির সম্মান আবার ফিরে আসছে। বিশ্বের বাজারেও তা জায়গা করে নিচ্ছে। শাড়ি তো একটা শিল্প। আমরা জনপ্রতিনিধিরা যদি এই শিল্পীদের কাজকে সম্মান দিই, সংসদের অধিবেশনে পরে আসি, তা হলে তাঁরাও খুব উৎসাহিত হবেন।’’
মধ্যমণি: হরিন্দর সিধু
পেশা ও নেশা
শাহরুখ খানের ছবি দেখার জন্য তিনি পিছিয়ে দিতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক! বাবার ৭০ বছরের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বন্ধু ও স্বজনদের ডেকে অস্ট্রেলিয়ার বাড়িতে ‘চক দে ইন্ডিয়া’-র বিশেষ শোয়ের আয়োজন করেছিলেন। ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হরিন্দর সিধু সম্প্রতি সহাস্যে জানালেন, ‘‘জানেন না! আমি তো আমাদের দেশে বিখ্যাত শাহরুখ খানের ফ্যান হিসেবে! বলিউডের পোকা আমি।’’ সেই কবে দেখেছিলেন শাম্মি কপূর অভিনীত ছবি ‘ব্রহ্মচারী’। সেই শুরু। হিন্দি ছবি দেখার নেশা ছাড়তে পারেননি আর। জানালেন, ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পাচ্ছে বলিউডও। তাঁর কথায়, দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় একটি বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খোলা আকাশের তলায় হিন্দি সিনেমার গানের সঙ্গে নাচের প্রতিযোগিতা হয়েছিল। বহু মানুষ যোগ দিয়েছিলেন তাতে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের পাশাপাশি ছিলেন অস্ট্রেলীয়রাও!
প্রয়াণ
আশি-নব্বই দশকে দূরদর্শনের একটি অ্যানিমেশন ছবি ও তার সঙ্গের গান গেঁথে গিয়েছিল মানুষের মনে: ‘এক চিড়িয়া, অনেক চিড়িয়া, এক এক করতে…’ সাত মিনিটের ‘এক অনেক অউর একতা’ নামের সেই অ্যানিমেশন ছবিটি তৈরি করেছিলেন তথ্যচিত্র পরিচালক বিজয়া মুলে। গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সাধনা সরগম। অভিনেত্রী সুহাসিনী মুলের মা বিজয়া সংরক্ষণ করেছেন চলচ্চিত্রের ইতিহাসও। দিল্লি, পটনায় ফিল্ম সোসাইটি তৈরিতে তাঁর ভূমিকা ছিল। ছিলেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ়-এর সভানেত্রীও। দিল্লিতে প্রয়াত হলেন সম্প্রতি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy