মোদী জমানায় দিল্লিতে যে নাগপুরের দাপট বাড়বে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নাগপুরের আরএসএস সদর দফতরের স্নেহধন্য বহু নেতাই এখন মোদী সরকারের মন্ত্রী। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তার পরেই মিঠুন ব্রিগেড ময়দানে বিজেপিতে যোগ দিলেন। কিন্তু দিল্লি চিড়িয়াখানাতেও যে নাগপুরের প্রভাব বাড়বে, তা কে জানত! করোনার জেরে এক বছর বন্ধ থাকার পরে ১ এপ্রিল থেকে দিল্লি চিড়িয়াখানার দরজা খুলেছে। দিল্লি চিড়িয়াখানায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের থেকে সাদা বাঘের সংখ্যা বেশি। তাই রয়্যাল বেঙ্গলের বংশবৃদ্ধির জন্য নাগপুরের চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া রয়্যাল বেঙ্গল আনা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
উর্দুতে মোহন ভাগবত
সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের গ্রন্থ এ বার পড়বেন উর্দু ভাষাভাষীরা! বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছুটা অভিনব উদ্যোগটি করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অন্তর্ভুক্ত ‘দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর প্রোমোশন অব উর্দু ল্যাঙ্গোয়েজ’। ভবিষ্য কে ভারত শীর্ষক এই ভাগবত প্রণীত গ্রন্থটির উর্দু নাম মুস্তাকবিল কা ভারত। অনুবাদ করেছেন সংস্থার অধিকর্তা আকিল আহমেদ। সোমবার বইটির উদ্বোধনে থাকবেন আরএসএস-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
আ মরি বাংলা ভাষা
বাংলাদেশে থেকে বাংলা না বললে কি চলে? সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, চলে না। বাংলাদেশে ভারতের বিগত হাইকমিশনার পঙ্কজ শারন বাংলা বলতে পারতেন না। সেই খামতি পুষিয়ে দিতেন তাঁর ডেপুটি সন্দীপ চক্রবর্তী। পরবর্তী হাইকমিশনার অধুনা
বিদেশ সচিব, দার্জিলিঙের মানুষ হর্ষবর্ধন শ্রিংলা স্পষ্ট বাংলায় আলাপ আলোচনা করতেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। শ্রিংলা খুবই জনপ্রিয় ছিলেন ঢাকায়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে দেখা গেল নতুন হাইকমিশনার, বিক্রম দোরাইস্বামী কম সময়েই কিছুটা রপ্ত করেছেন বাংলা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে সে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা করেছেন তিনি। সেখানে নতুন শেখা কিছু বাংলা বাক্য ব্যবহার করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে!
বিট্টুর ভাগ্যোদয়
পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংহ যখন আততায়ীদের হামলায় খুন হন, তখন তাঁর নাতি বিট্টুর বয়স মাত্র ২০। রাহুল গাঁধীই তাঁকে রাজনীতিতে টেনে আনেন। রভনীত সিংহ বিট্টু যুব কংগ্রেসের ভোটে লড়ে পঞ্জাবের প্রথম নির্বাচিত যুব কংগ্রেস সভাপতি হন। রাহুলের কথাতেই আনন্দপুর সাহিব থেকে লড়ে সাংসদ। লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী, উপদলনেতা গৌরব গগৈ, মুখ্য সচেতক কে সুরেশ নিজরাজ্যে ভোটপ্রচারে ব্যস্ত। তাই বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে বিট্টুর উপরে নেতৃত্বের ভার পড়ছিল। গুঞ্জন, পঞ্জাবের ভোট আসছে। বিট্টুকে রাহুল যে আরও বড় দায়িত্ব দিতে চান তারই ইঙ্গিত মিলছে।
ভোটের মাঠে
পূর্ব দিল্লির সাংসদ গৌতম গম্ভীরের কাছে নাকি দূষণ নিয়ে বৈঠকের চেয়েও ক্রিকেট ধারাভাষ্য করা বেশি জরুরি। কারণ তাতে মোটা টাকা রোজগার হয়। আম আদমি পার্টির এমনটাই অভিযোগ। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক ভেবেছিলেন, তাঁকে প্রথম থেকেই বাংলায় বিজেপির প্রচারে যেতে হবে। কারণ, ট্রফি জেতার সুবাদে কলকাতা-সহ বঙ্গে তিনি জনপ্রিয়। কিন্তু দলের নির্দেশে তাঁকে কলকাতা নয়, কেরলে প্রচারে যেতে হয়। ডাক পড়েছে পরে। গম্ভীর দাঁতনে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন। নিজের কেন্দ্রে খুলেছেন জনরসুই। সেখানে গরিবদের এক টাকায় মধ্যাহ্নভোজন করানো হচ্ছে। গম্ভীরের দাবি, সবই চলছে তাঁর নিজের টাকায়, ক্রিকেট ধারাভাষ্যের রোজগারে।
অনুরাগের ঝঞ্ঝাট
দিল্লির ভোটের আগে ‘দেশকে গদ্দারোঁ কো গোলি মারো’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের তোপের মুখেও পড়েছিলেন। অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর টেরিটোরিয়াল আর্মির ক্যাপ্টেন হলেন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে টেরিটোরিয়াল আর্মির স্বেচ্ছাসেবকদের ডাক পড়ে। পদোন্নতির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে অবশ্য শখের দাড়িটি কামিয়ে ফেলতে হয়েছে তাঁকে। সংসদে বক্তৃতা করতে উঠলে, এখনও বিরোধীরা ‘গোলি মারো’ কটাক্ষও ছুড়ছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy