—ছবি সংগৃহীত
পূর্ব ভারতের প্রথম স্থল বন্দর দুর্গাপুর থেকে সড়ক পথে আগেই বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা ছিল। মঙ্গলবার থেকে রেলপথেও বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণ শুরু হল। এ দিন সন্ধ্যায় প্রথমবার রেলপথে ৬০টি কন্টেনার দুর্গাপুর থেকে
পাঠানো হল।
নদী বা সমুদ্র বন্দরের উপরে চাপ কমাতে স্থল বন্দর গড়া হয়। জাহাজে কনটেনার তোলা বা নামানোর আগে শুল্ক দফতরের যে ছাড়পত্র লাগে, তা সেখান থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। কন্টেনার সরাসরি জাহাজে গিয়ে তুলে দেওয়া যায়। তা ছাড়া স্থলবন্দর থেকে কার্গো পাঠানোর ব্যবস্থাও থাকে।
হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের চাপ কমাতে ২০০৬-এ দুর্গাপুরের বাঁশকোপায় পূর্ব ভারতের প্রথম স্থল বন্দর তৈরি করে ‘অ্যালায়েড আইসিডি সার্ভিসেস’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। ২০১১-য় ভারতীয় রেলের অধীন ‘কন্টেনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রেল যোগাযোগও গড়ে তোলা হয়। ২০১৪ থেকে সড়ক পথে সরাসরি বাংলাদেশে পণ্য রফতানি শুরু হয়।
বেসরকারি সংস্থাটির সূত্রে জানা গিয়েছে, সড়ক পথে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণে দীর্ঘ সময় লাগে। খরচ বেশি লাগে। এ ছাড়া, রাস্তায় আরও নানা সমস্যা রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবল যানজটে পড়তে হয়। সব মিলিয়ে গন্তব্যে পণ্য পৌঁছতে প্রায় কুড়ি দিন লাগে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রেল পথে পণ্য পরিবহণে জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ব্যবস্থায় গড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য পৌঁছে
যাবে বাংলাদেশে।
ওই বেসরকারি সংস্থাটির আধিকারিক অনুশ্রী সেন বলেন, ‘‘আপাতত কৃষিজ পণ্য রফতানি করা শুরু হয়েছে। এ দিন ৬০টি কন্টেনারে করে ১,২৪০ টন চাল বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক রফতানির ক্ষেত্রে দুর্গাপুরের স্থল বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’’ শুল্ক দফতরের কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট মনোজকুমার রাজক বলেন, ‘‘রেলপথে এই প্রথম বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণ করা হল। আশা করি, পণ্য পরিবহণ এর ফলে আরও
গতি পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy