ধুর…। মুড অফ করেই লিখতে বসলাম। বাড়ির বা খুব ক্লোজ কারও জন্মদিন বা স্পেশাল কোনও অকেশনে আমি কোনও শুটিং রাখি না। কিন্তু এ বার সেই নিয়ম আর ফলো করতে পারলাম না। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ২৫ ডিসেম্বর আমার কাছে খুব ইম্পর্ট্যান্ট। ওই দিনই ‘চ্যাম্প’ দেবেরও বার্থ-ডে। সব মিলিয়ে পুরো সেলিব্রেশন মুড। কিন্তু এ বার ‘চ্যাম্প’-এর শুট আছে। তবে তাড়াতাড়ি প্যাক আপ হলে ফ্যামিলি পার্টি মাস্ট।
ক্রিসমাসের সঙ্গে আমার ছোটবেলাটা খুব রিলেটেড। আসলে আমার পড়াশোনাটা পুরোটাই কনভেন্টে। প্রথমে কারমেল, তারপর লোরেটো। রোজ সকালে স্কুলে বাইবেল পড়া হত। তার পর স্টেজে গিয়ে আবার বলতেও হত আমাদের। তাই ক্রিসমাস সেলিব্রেশন আমার কাছে নতুন নয়। কনভেন্ট এডুকেটেড যাঁরা তাঁরা জানেন, যে এ সব স্কুলে পুজোর থেকে ক্রিসমাসকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ সময় স্কুলে নাটক হত। মাদার মেরি কে হবে, যিশু কে হবে, সেই নিয়ে জোর আলোচনা হত। ক্রিসমাস ক্যারল কম্পিটিশন হত। সব মিলিয়ে জমজমাট থাকত বড়দিন।
‘চ্যাম্প’-এর শুটিংয়ে দেব-রুক্মিণী। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
সে সময় আমাদের সল্টলেকের বাড়িতে বন্ধুরা আসত। ক্রিসমাস ট্রি আনা হত। গিফট প্ল্যান করতাম। সাত-আট বছর বয়স পর্যন্ত তো সান্তাকে চিঠিও লিখতাম। জুতো ঝোলাতাম। পরের দিন সকালে তার মধ্যে আবার গিফটও থাকত। যদিও আর একটু বড় হওয়ার পরেই বুঝতে পেরেছি আসলে সান্তাক্লজ বলে কেউ নেই। কিন্তু বাবা-মার থেকে গিফট পাওয়ার জন্য অ্যাক্টিং করে যেতাম…।
মা বরাবরই বাড়িতে কেক বানায়। ক্রিসমাস স্পেশ্যাল কেক। সেই দেখে দেখে আমিও শিখেছি। এ ছাড়াও ক্রিসমাস পার্টিতে চিকেন রোস্ট, কর্ন থাকতই। আর দেবের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর থেকে তো ওর বার্থডে পার্টিও একসঙ্গেই সেলিব্রেট হয়। আমরা একে অপরের প্রতিবেশীও। ফলে টানা দু’দিনের হইচই। তবে এ বার সেলিব্রেট না করে সারা দিন শুটিং করব এটাই আমার দিক থেকে দেওয়া বড় গিফট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy