চাঁদনি রাতে আমি অনেক সময় একা ফিরতাম। সাদা দেখাত দূর থেকে— মানুষের কঙ্কাল। গাঁয়ে পোড়াবার লোক ছিল না... আমি নিজের চোখে দেখেছি। গাঁয়ের-পর-গাঁ গেছি হেঁটে হেঁটে।’— সলিল চৌধুরীর কথোপকথন অনুরাধা রায়ের সঙ্গে, প্রায় তিরিশ বছর আগে। বঙ্গদেশে বাম সাংস্কৃতিক আন্দোলন
নিয়ে গবেষণার সূত্রে এই সাক্ষাৎকার নেন অনুরাধা। অনুষ্টুপ-এর (সম্পা: অনিল আচার্য) প্রাক্ শারদীয় সংগীত সংখ্যার ক্রোড়পত্রে আরও আছে কবীর সুমনের সাক্ষাৎকার সুপ্রিয় রায়-কৃত। রয়েছে ‘জিজ্ঞাসা ও মতামত’— জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ ও অনল চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যান্য ক্রোড়পত্রে ‘পুরাতন বাংলা গান’ প্রসঙ্গে রাজ্যেশ্বর মিত্রের রচনা, ‘গায়ক ও গান’ নিয়ে জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও গৌতম রায়ের সঙ্গে জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যকে নিয়ে দেবাশিস রায়চৌধুরী ও উৎপল চক্রবর্তীর রচনা। আছে অরিন্দম চক্রবর্তীর লেখাও।
পরিকথা-র (সম্পা: দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়) বিষয়: ‘বাংলা ছোটগল্পের বিস্তার’। সম্পাদক জানিয়েছেন ‘সংখ্যাটি সময় সমাজ সংস্কৃতি এবং সংলগ্ন বিভিন্ন সূত্র ধরে বাংলা ছোটগল্পের বিষয় ও আঙ্গিক বিবর্তনের ধারাবাহিকতাকে একটু অন্যভাবে ধরতে প্রয়াসী থেকেছে।’ বাংলা ছোটগল্পে সময়ের স্বর, আঙ্গিকের পরীক্ষা, বাস্তবতাবাদ, বা চিত্রকল্প নিয়ে নতুন চিন্তার রচনা তপোধীর ভট্টাচার্য সুমিতা চক্রবর্তী হীরেন চট্টোপাধ্যায় ও সুমনা দাস সুরের। সোহিনী ঘোষের আলোচনায় দেশভাগের গল্প, ইতিহাসের গল্প নিয়ে লিখেছেন অরবিন্দ সামন্ত: ‘বাংলা ছোটগল্প এক অর্থে ইতিহাস-নিরপেক্ষ নয়।’
‘কয়েক দশক ধরে ক্ষমতা সাধারণ মানুষকে চিন্তাদাসত্বে অভ্যস্ত করে তুলেছে যে ‘শিক্ষিত’ লোকেরাও নিজেদের থাকা-খাওয়া-পরা-বিনোদন-চিকিৎসা প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্যের প্রচারে চলে জীবন কাটাচ্ছেন। সেই জীবন ব্যক্তিকে এবং সামগ্রিক ভাবে সমাজ ও তার ধারক পৃথিবীকে নিয়ে এসেছে বিকট সংকটের মধ্যে।’ লিখেছেন সম্পাদক জয়া মিত্র তাঁর পরিবেশ ও সংস্কৃতি ভাবনার পত্র ভূমধ্যসাগর-এ। চিকিৎসকের সঙ্গে সমাজের মানবিক সম্পর্কের বিষয় নিয়ে একগুচ্ছ রচনা ক্রোড়পত্রে, লিখেছেন ইলা লাহিড়ী স্থবির দাশগুপ্ত কুণালকুমার দত্ত সিদ্ধার্থ গুপ্ত অনুপম পাল গীষ্পতি চক্রবর্তী সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায় শোভন পণ্ডা। একই সঙ্গে মন দিয়ে পড়তে হবে শৈবাল দত্তের ‘চরিতকথায় নদী’, এবং ‘পুরোন চাল’ বিভাগে ‘কৃষক পত্রিকা’ থেকে পুনর্মুদ্রিত রচনা রাজনারায়ণ বিশ্বাসের ‘সার-সংগ্রহ’।
স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ‘সম্পূর্ণ নব চেহারায়’ বেরিয়েছে কৃত্তিবাস, তাতে প্রথমেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পদ্মায় পুনর্বার’। ‘কবিতার সঙ্গে অন্যান্য শিল্পমাধ্যমগুলির আদান-প্রদান ও যোগাযোগকে গুরুত্ব দেবে কৃত্তিবাস।’ জানিয়েছেন সম্পাদক। শ্রীকান্ত আচার্য তাঁর প্রবন্ধ ‘বাংলা গানের লিরিকে কবিতা: কিছু ভাবনা’-য় লিখেছেন ‘খুব ভাল লিরিক কখনও কখনও খুব ভাল কবিতা হয়ে ওঠার কাছাকাছি থাকে...।’ তুমুল আড্ডা আর নির্মল তর্কের নতুন বিভাগ চৌমাথা-য় ‘প্রসঙ্গ সত্তর’ নিয়ে লিপিবদ্ধ হয়েছে রণজিৎ দাশ মৃদুল দাশগুপ্ত শ্যামলকান্তি দাশ ও সুবোধ সরকারের কথাবার্তা।
এবং অন্যকথা-য় (প্রধান সম্পাদক: বিশ্বজিৎ ঘোষ জলধি হালদার) বিশেষ দৃষ্টিপাত: তানভীর মোকাম্মেল। বাংলাদেশের এই বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকারের ‘রাবেয়া’ ছবির চিত্রনাট্যের সঙ্গে ছাপা হয়েছে তাঁর সাক্ষাৎকার ও কবিতাগুচ্ছ। লালনকে নিয়ে তাঁর তৈরি ছবি সম্পর্কে লিখেছেন সুধীর চক্রবর্তী, তাঁর সামগ্রিক সিনেমা নিয়ে ইরাবান বসুরায়, প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে সুশীল সাহা। আর উল্লেখ্য তানভীরের নিজের তিনটি প্রবন্ধ, যার একটি ‘বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্তের চেতনার বিকাশ প্রসঙ্গে’।
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর বিজ্ঞান-দর্শন ও সাহিত্যভাবনা নিয়ে, সঙ্গে অক্ষয়কুমার দত্তকে নিয়েও আশীষ লাহিড়ী আর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের রচনা এবং মুশায়েরা-য় (সম্পা: সুবল সামন্ত)। সঙ্গে ভারতচন্দ্র, স্বর্ণকুমারী দেবী, খুশবন্ত সিংহ, মার্কেজ, নবোকভ, প্রকাশ কর্মকার, শিশিরকুমার দাশ প্রমুখের সৃষ্টিশীলতা নিয়ে নানাবিধ আলোচনা।
নতুন পত্রিকা জন্ম নিল লোকসখা (সম্পা: মৃত্যুঞ্জয় সেন), বিষয়: ‘ঘুম’। রবীন্দ্রনাথ থেকে যোগীন্দ্রনাথের ছড়া লোকগাথা হয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সৃষ্টিতে কী ভাবে ঘুমের অনুষঙ্গ আসে, এমন নানান রসবোধের রচনা বৈচিত্র এনেছে। নিবন্ধের সঙ্গে প্রকাশিত গল্প-কবিতা-স্মৃতিকথা-রম্যরচনারও বিষয় ওই ঘুম, বলরাম বসাকের উপন্যাস: ‘ঘুম কাকে বলে’, শিল্পী হিরণ মিত্রের রচনা: ‘ঘুম-স্বপ্ন-ছবি’।
‘আন্দামানের দ্বীপে দ্বীপে বুঝি আমার আত্মজন আছেন।’ অমর মিত্র তাঁর আন্দামান ভ্রমণের সূত্রে পৌঁছে যান ইতিহাসে। আরশিনগর-এ (সম্পা: স্বাতী গুহ দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) তাঁর ‘খোলা কথা’: ‘দ্বীপ-দ্বীপান্তরে’। মানভূমি ঝুমুর, ঠাকুমার ঝুলি-র নারীর স্বর, অন্নদাশঙ্কর রায়ের গদ্য, শরদিন্দুর শিশুসাহিত্য নিয়ে আলোচনা।
আন্তর্জাতিক পাঠশালা-য় (প্রধান সম্পাদক: অমিত রায়) রবীন্দ্রনাথ-সংগীত-সাহিত্য-ইতিহাস চর্চার সঙ্গে ক্রোড়পত্র ‘সিনেমার পাঁচকথা’-র নিবন্ধাদিতে উদয়শঙ্করের ‘কল্পনা’ নিয়ে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের রচনা।
পরম্পরা-য় (প্রধান সম্পাদক: সত্রাজিৎ গোস্বামী) বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যায় শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছেন ‘বিজনদার (ভট্টাচার্য) কাজ দেখে আমার মনে হতো— এই মানুষটার চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে আমার নিজের চিন্তা-ভাবনা বেশি মেলে।’ স্বল্পায়ু কবি সুব্রত চক্রবর্তীকে নিয়ে ক্রোড়পত্রে এক অনবদ্য গদ্য লিখেছেন কবি ও চলচ্চিত্রকার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy