বাংলা সাহিত্যে পরিবেশচেতনা/ রবীন্দ্রনাথ বিভূতিভূষণ জীবনানন্দ
লেখক: কবিতা নন্দী চক্রবর্তী
মূল্য: ২৫০.০০
প্রকাশক: আশাদীপ
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ সমস্যা একটি মস্ত সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে মানবসভ্যতা আজ গভীর সংকটের মুখোমুখি। বিদ্যাচর্চার সব শাখাতেই পরিবেশের আলোচনা গুরুত্ব পাচ্ছে। এমনকী সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এই আলোচনা এখন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সেই সূত্রে কবিতা নন্দী চক্রবর্তীর বইটি বাংলা সাহিত্যে পরিবেশচেতনার সামগ্রিক ইতিহাস না হলেও, এখানে রয়েছে এই চেতনার ভিত্তি ও স্বরূপকে চিনে নেওয়ার প্রয়াস। এখানে রবীন্দ্রনাথ, বিভূতিভূষণ এবং জীবনানন্দের পরিবেশচেতনার লেখাগুলিকে মূল সূত্র হিসেবে নির্বাচন করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পাশ্চাত্যদেশে কী ভাবে পরিবেশচিন্তার বিকাশ ঘটল এবং তৈরি হল পরিবেশভিত্তিক সাহিত্য-সমালোচনার ধারা তারই পরিচয় যেমন তুলে ধরা হয়েছে, তেমনই প্রাচ্যের জীবনাদর্শ কী রকমে পরিবেশ-সম্পৃক্ত ছিল, তা সাহিত্য নিদর্শনের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা হয়েছে। আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছে উনিশ শতকে বাংলা সাহিত্যে পরিবেশচেতনার উদ্ভাসন প্রসঙ্গ। উঠে এসেছে প্রাচীন ভারতে মানুষ এবং প্রকৃতি-পরিবেশের সুনিবিড় পরস্পর লগ্নতাও।
লতা মঙ্গেশকর/ কিছু স্মৃতি কিছু গান
লেখক: পল্লব মিত্র
মূল্য: ১৫০.০০
প্রকাশক: পারুল
একদা মরাঠি মঞ্চের সফল গায়ক এবং নায়ক দীননাথ মঙ্গেশকর মশগুল হয়ে থাকতেন নিজের গান আর নাটক নিয়ে। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে তাঁর শিশুকন্যার বয়স যখন ছ’মাস, তখন থেকেই তার গানের প্রতি টান। আর যখন তার বয়স ছ’বছর, সে তার বাবার ছাত্রছাত্রীদের গানের ভুল ধরিয়ে দেয়, সে দিন দীননাথ গান শেখাতে শেখাতে কোনও কাজে একটু উঠেছিলেন, আর তাঁর ছাত্রছাত্রীরা পুরিয়া ধানেশ্রী রাগ রেওয়াজ করছিল, খেলতে খেলতে খেয়াল করে কন্যাটি, তারা রাগ ভুল গাইছে, খেলা ফেলে এসে দেখিয়ে দেয়, কোথায় ভুল হচ্ছে। সেই কন্যা লতা কী ভাবে কিংবদন্তি গায়িকা হলেন, নানান স্মৃতি ঘটনা অনুষঙ্গে বুনেছেন পল্লব মিত্র। অল্প পরিসরে লতার শিল্পীজীবনের পরিচয় গাঢ় করে তুলেছেন বাঙালি পাঠকের কাছে। সঙ্গে তাঁর দুর্লভ সাক্ষাৎকার, তাতে লতা জানিয়েছেন ‘সিনেমার গানের মধ্যে কুন্দনলাল সাইগলের গান আমার সবচেয়ে প্রিয়।’ আর আছে লতার গাওয়া নির্বাচিত পঞ্চাশটি গান, ও তাঁকে নিয়ে কথোপকথন।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অগ্রন্থিত রচনা
সম্পাদক: বারিদবরণ ঘোষ
মূল্য: ৪০০.০০
প্রকাশক: কারিগর
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৫৮টি অগ্রন্থিত রচনা সংকলন করে ‘সম্পাদনা’ করেছেন বারিদবরণ ঘোষ। এই সংকলনে ছড়া-কবিতা যেমন আছে, তেমনই আছে নানা চিঠিপত্র, পুস্তক সমালোচনা, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ, পৌরাণিক যাত্রাও। সংকলনের প্রথম রচনা ‘স্বস্তিবচন’, ভারতেশ্বরের আমন্ত্রণে মহারাজকুমার প্রদ্যোৎকুমারের বিলাত যাত্রা উপলক্ষে রচিত। স্পষ্টত এ রচনার গুরুত্ব তেমন নেই। কিন্তু পরের রচনাটি আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, ‘বিজাতীয় রকমে স্বদেশোন্নতি’। অবনীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধটি লিখেছিলেন প্রবাসী-র কার্তিক ১৩১৩ সংখ্যায় প্রকাশিত প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের একটি প্রবন্ধের সমালোচনায়। প্রভাতকুমারের প্রবন্ধটির সঙ্গে প্রবাসী-সম্পাদকের সংযোজনও প্রকাশিত হয়েছিল ওই কার্তিক সংখ্যায়। এ সবের কোনও উল্লেখ এই সংকলনে সম্পাদক করেননি। অবনীন্দ্রনাথের লেখার মধ্যে যে রেফারেন্স আছে তাকেই যথেষ্ট বলে মনে করেছেন। ‘অবনীন্দ্রনাথ সংবর্ধনার প্রত্যুত্তরে’ শীর্ষক লেখাটি ২০ ভাদ্র ১৩৪৮ তারিখে সরকারি আর্ট স্কুলে প্রদত্ত অবনীন্দ্রনাথ-সংবর্ধনার প্রত্যুত্তরে অবনীন্দ্রনাথের ভাষণের অংশবিশেষ। এটি মুদ্রিত হয় প্রবাসী-র কার্তিক ১৩৪৮ সংখ্যায়। কিন্তু যে প্রশস্তিপত্রের প্রত্যুত্তর এই ভাষণ তারও অংশ প্রকাশিত হয়েছিল ওই সংখ্যায়। এই সংকলনের পরিশিষ্টে তা থাকা উচিত ছিল। সম্পাদকের ভূমিকায় থাকা উচিত ছিল এ তথ্যও যে অবনীন্দ্রনাথের ভাষণের যে প্রতিবেদনটি এই সংকলনে গৃহীত তাঁর রচনা হিসেবে, তাকে প্রবাসী-সম্পাদকের ‘পছন্দসই’ বা ‘সন্তোষজনক’ মনে হয়নি। এলোমেলো ভাবে নানা ধরনের কিছু লেখা দুমলাটে ছাপিয়ে দেওয়ার বাইরে কোনও রকম সম্পাদনা এ বইয়ে করা হয়নি। এমনকী লেখাগুলিকে মোটামুটি ভাবে সংরূপ অনুসারে সাজিয়ে দেওয়াও হয়নি। অতি আবেগপ্রবণ দু’পৃষ্ঠার সম্পাদকীয় ভূমিকা এমন গুরুত্বপূর্ণ রচনার সংকলনে যথেষ্ট নয়। প্রচ্ছদে অবনীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি-চিত্রটি উৎস সুপরিচিত আলোকচিত্রটির প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy