কোচবিহারের ইতিহাস /খান চৌধুরী আমানতউল্লা আহমদ
সম্পাদক: রণজিৎ দেব
মূল্য: ৮৯৫.০০
প্রকাশক: পারুল
বিশ শতকের আগে কোচবিহারের রাজ-আনুকূল্যে কয়েকটি বংশাবলি পুথি রচিত হয়। কিন্তু সেগুলির ঐতিহাসিক ভিত্তি ছিল নিতান্তই দুর্বল। ১৯০৩-এ প্রকাশিত হয় হরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর কোচবিহার স্টেট অ্যান্ড ইটস ল্যান্ড রেভিনিউ সেট্লমেন্ট। এখানেই এই দেশীয় রাজ্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নথিপত্রের ভিত্তিতে প্রথম গ্রন্থিত হয়। পরে মহারাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণ বিস্তারিত ইতিহাস প্রণয়নে উদ্যোগী হন। অনেক দিন ধরে নানা নথিপত্র ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহের পর শেষে ১৯৩৬-এ মহারাজ জগদ্দীপেন্দ্রনারায়ণের সময় খান চৌধুরী আমানতউল্লা আহমদ রচিত আলোচ্য বইটি প্রকাশিত হয়। প্রথম খণ্ডে ছিল ১৫১৫-১৭৮৩ পর্যন্ত সময়ের বিবরণ, দ্বিতীয় খণ্ড আর রচনা করে যেতে পারেননি আমানতউল্লা। এ বার ১৭৮৩ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত সময়কালের ইতিহাস সংযোজন করে নতুন সংস্করণ সম্পাদনা করেছেন রণজিৎ দেব। প্রথমে ছিল উনিশটি পরিচ্ছেদ— দেশের প্রাচীন ইতিহাস দিয়ে শুরু, তারপর রাজবংশের বিবরণ। শেষে ছিল বিশেষ বিশেষ বিষয়ের উপর আলাদা অধ্যায়, যেমন শাখা-রাজবংশ, মুসলমান-সংশ্রব, নারায়ণী মুদ্রা, নাজীর-গোস্বামী সংঘর্ষ, ভুটান দুয়ার, কোচবিহার সন্ধি এবং বিভিন্ন অব্দের আলোচনা। নতুন সংস্করণে ছ’টি সংযোজিত অধ্যায়ে পরবর্তী রাজগণের বিবরণ সংযুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে রাজাদের নিজস্ব সৃষ্টি এবং তাঁদের পৃষ্ঠপোষণায় সাহিত্য চর্চা, কোচবিহার হিতৈষিণী সভা, ব্রাহ্ম ধর্ম ও নৃপেন্দ্রনারায়ণের বিতর্কিত বিবাহ নিয়ে আলোচনা, তাঁর লেখা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র এখানে রয়েছে। শেষে রয়েছে একটি প্রয়োজনীয় সময়ানুক্রমণী। প্রথম সংস্করণের অধিকাংশ সাদাকালো ছবির সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে আরও অনেক দুর্লভ সাদাকালো ছবি। এই সংস্করণে যুক্ত রঙিন ছবিগুলির মধ্যে প্রাচীন পুথি থেকে সংগৃহীত রাজাদের ছবি, হরেন্দ্রনারায়ণের ‘উপকথা’ নামক পুথির পাটার বেশ কয়েকটি ছবি খুবই মূল্যবান। আছে কোচবিহার রাজ্যের পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণাপত্র, আর ভারতে সংযুক্তির মূল চুক্তিপত্রটিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy