রতন টাটা যখন তরুণ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ইস্পাত কঠিন মুখ। অনমনীয় চরিত্র।
সাধারণ মানুষের কাছে রতন টাটা এমনই এক ব্যক্তিত্ব। নয় কি?
রাজ্যে ন্যানো কারখানা গড়ার প্রশ্নে যতটাই স্বতস্ফূর্ত ছিলেন, মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিয়েছেন তার চেয়েও কম। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেই স্মৃতি এখনও টাটকা।
সেই রতন টাটা নাকি কলেজের গণ্ডি ডিঙিয়ে প্রেমে পড়েছিলেন! পৌঁছে গিয়েছিলেন বিয়ের দোরগোড়ায়! এক জনপ্রিয় ফেসবুক পেজে এমনটা জানিয়েছেন খোদ টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমেরিটাস।
টাটা কথা শুরু করেছেন ছেলেবেলা থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সবে শেষ হয়েছে। মা-বাবার বিচ্ছেদের পরে তিনি এবং তাঁর ভাই ঠাকুরমার কাছে লন্ডনে। স্কুলে পড়া সেখানেই। সে প্রায় সাত দশক আগের কথা। বিবাহ বিচ্ছেদ তখন একটা বিস্ময়ের ব্যাপার। খাস ব্রিটেনেও। ফলে স্কুলের বন্ধুদের কাছে আপত্তিকর মন্তব্য হজম করতে হচ্ছে দুই ভাইকে। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর তো আরও। টাটা জানাচ্ছেন, সেই সময়ে ঠাকুরমা শিখিয়েছিলেন মূল্যবোধ। ‘এটা বলতে নেই’, ‘অমুকটাতে চুপ থাকাই ভাল’ গোছের অনুশাসন তো ছিলই। কিন্তু আত্মসম্মান যে সব কিছুর উপরে, সেই পাঠও দিয়েছিলেন ঠাকুরমা। ফলে স্কুলের সমস্যা এড়িয়ে থাকা গিয়েছিল।
টাটার কথায়, এর পরের দ্বন্দ্ব বাবার সঙ্গে। যিনি চাইতেন ছেলে পিয়ানো শিখুক। ছেলে চায় বেহালা বাজাতে। বাবা চান লন্ডনেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে ছেলে। আর ছেলের পছন্দ আমেরিকা। আর্কিটেকচার। এখানেও মধ্যস্থতাকারী সেই ঠাকুরমা। তাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়েও শাখা বদলে আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার পড়া গিয়েছিল।
তার পরেই লস অ্যাঞ্জেলেসে দু’বছর চাকরি করবেন আগামী দিনের শিল্পপতি। হাতে আসবে নিজের গাড়ির স্টিয়ারিং। আর স্বাবলম্বী হয়েই পড়বেন প্রেমে। বিয়ে প্রায় করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু ঠাকুরমা তখন গুরুতর অসুস্থ। তাই ফিরে আসতে হয়েছিল দেশে। আশায় ছিলেন, প্রণয়ী হয়তো ভারতে আসবেন। কিন্তু তখন ভারত-চিন যুদ্ধ। তরুণীর মা-বাবা রাজি হননি।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আগে ভাইরাল হয়েছে এই পোস্ট। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার কমেন্ট পড়েছে। শেয়ারের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। রিঅ্যাকশন ২৪ হাজার। ওই পেজেই ব্যক্তিগত জীবনের অনেক অজানা কথা তিন কিস্তিতে জানাবেন ৮২ বছর বয়সি শিল্পপতি। বাকি দু’কিস্তির দিকে তাকিয়ে নেটিজেনরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy