করোনায় তারাই প্রথম মুখ থুবড়ে পড়েছিল মানুষের বেড়াতে যাওয়া এবং হোটেল-রেস্তরাঁয় খাওয়া বন্ধ হওয়ায়। ফলে বিপুল লোকসানে ডুবেছে পর্যটন এবং আতিথেয়তা (হোটেল-রেস্তরাঁ) ক্ষেত্র। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, ত্রাণ চেয়েও সরকারের সাড়া মেলেনি। ফলে বাজেটই শেষ ভরসা। শিল্পের তকমা থেকে কর ছাড়, যেখানে যতটুকু সম্ভব, সুবিধা দেওয়া হোক। উঠে দাঁড়াতে এ বার অন্তত কেন্দ্র পাশে দাঁড়াক।
মৌখিক ভাবে পর্যটন, আতিথেয়তাকে শিল্প বলা হলেও, সরকারি খাতায় সেই তকমা নেই। অথচ শিল্পের স্বীকৃতি পেলে পুঁজি জোগানো থেকে কর, সবেতেই বাড়তি সুবিধা মেলে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রের তকমা পেলেও তাই। পর্যটন, আতিথেয়তা ক্ষেত্রের সংগঠন এফএআইটিএইচ, এফএইচআরএ এবং আইএটিও-এর দাবিও তাই ওই দু’টিই।
এফএআইটিএইচ-এর জেনারেল সেক্রেটারি সুভায গয়াল বলেন, ‘‘আশা করছি বাজেট পর্যটনকে মন্দা থেকে টেনে তুলে তাকে বাঁচিয়ে রাখতেও সাহায্য করবে।’’ প্রধানমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী এবং সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে জাতীয় পর্যটন পর্ষদ তৈরি, স্বীকৃত সংস্থার মাধ্যমে দেশের মধ্যে বেড়ানোয় উৎসাহ দিতে পর্যটককে আয়কর ছাড়ের মতো প্রস্তাবও দিয়েছেন তাঁরা।
মূলত বিদেশি পর্যটকদের ভারতে সফর করানোর সংস্থাগুলির সংগঠন আইএটিও-র প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকারের মতে, এ দেশে পর্যটন ক্ষেত্রে কর প্রতিবেশী দেশগুলির চেয়ে অনেক বেশি। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন তাঁরা। বিদেশি মুদ্রা আয় করায় তাঁদের রফতানি ক্ষেত্রের সুবিধা দেওয়ার সওয়ালও করেন তিনি। গত আট-নয় মাসে আতিথেয়তা শিল্প অতিমারিতে তছনছ হয়েছে, দাবি এফএইচআরএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুরবক্স সিংহ কোহলির। তাঁর কথায়, ‘‘বাজেটই এই ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy