প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
ফের বদলানো হবে জিএসটি অর্থাৎ পণ্য এবং পরিষেবা করের পরিকাঠামো। সরকার চাইছে, দেশের ৯৯ শতাংশ পণ্যকেই ১৮ শতাংশ জিএসটি-র নিচে নিয়ে আসতে। মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জিএসটি পরিকাঠামোতে বদল আনতে এই মুহূর্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘জিএসটি চালুর আগে সারা দেশে নথিভুক্ত সংস্থার সংখ্যা ছিল ৬৫ লক্ষ। জিএসটি চালুর পর সেই সংখ্যা আরও ৫৫ লক্ষ বেড়েছে। ৯৯ শতাংশ পণ্যকে আমরা ১৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতার নিচে নিয়ে আসার জন্য কাজ শুরু করেছি।’’
আম আদমির কথা মাথায় রেখেই যে পণ্য ও পরিষেবা করের পরিকাঠামোয় বদল আনা হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মোদী। শুধুমাত্র গুটিকতক বিলাসবহুল সামগ্রীর জন্যই থাকবে ২৮ শতাংশ জিএসটি। সাধারণ মানুষ যে সব সামগ্রী ব্যবহার করেন, সেই সমস্ত কিছুকেই ১৮ শতাংশের নিচে নিয়ে আসা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির কাছে আমরা জিএসটি আরও সহজ করে পৌঁছে দিতে চাই।’’
আরও পড়ুন: ‘সব কৃষকের ঋণ মকুব না করা পর্যন্ত মোদীকে ঘুমোতে দেব না’, ফের তোপ রাহুলের
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুরোপুরি প্রস্তুত না হয়ে সারা দেশে জিএসটি চালু করে দেওয়ার ফলে বিপাকে পড়েছেন দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাপের উদ্যোগপতিরা। সেই ক্ষোভের প্রতিফলনই পড়েছে সদ্যসমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। উদ্যোগপতিদের সেই ক্ষোভ বেড়ে গিয়ে যাতে বিপদ না বাড়ে, সেইপ্রস্তুতিই শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।কৃষিঋণ মকুব করার ইঙ্গিত দিয়ে কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমিত করার একটা চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এখন শুরু হয়ে গেল ব্যবসায়ীদের দলে টানতে নতুন উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: সব দরিদ্রের জন্য উজ্জ্বলা! ভোট বুঝে গ্যাসে টোপ কেন্দ্রের
(মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy