Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারের হাতে জটের শঙ্কা ঋণ ও লগ্নিতে, দাবি ইউনূসের 

মুহাম্মদ ইউনূস। নয়াদিল্লিতে।

মুহাম্মদ ইউনূস। নয়াদিল্লিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩
Share: Save:

মুদ্রা প্রকল্পের মূল ভাবনা স্বাগত। আপত্তি নেই নিজের ব্যবসা তৈরিতে সাধারণ মানুষকে আর্থিক অক্সিজেন জোগানোর মূল সুরে। কিন্তু ধার দেওয়া কিংবা লগ্নির কাজে সরকার সরাসরি হাত দিলে, সাধারণত তা তালগোল পাকিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কর্ণধার মুহাম্মদ ইউনূস। তা সে যে দেশের যে সরকারই হোক না কেন। সেই সঙ্গে, বেকারত্ব ও ধনবৈষম্যের অন্যতম কারণ হিসেবে চাকরি খোঁজার একবগ্গা মানসিকতা তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থাকেও কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।

সোমবার নয়াদিল্লিতে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির সংগঠন সা-ধনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ফাঁকে ইউনূস বলেন, বাজারে কাজ খোঁজার বদলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য সরকার যদি প্রাথমিক লগ্নিটুকু ঋণ হিসেবে জোগায়, তবে তা অবশ্যই স্বাগত। কিন্তু সমস্যা হল, ক্রমশ তাতে বাসা বাঁধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব। সমস্যা তৈরি করে লাল ফিতের ফাঁস। এক দল ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরে অন্য দল মসনদে এলে, প্রকল্প চলা নিয়েও টানাপড়েন হয় বিস্তর। এই সমস্ত কারণে বরং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড তৈরি করে সেখানে সরকারের সেই টাকা ঢালা উচিত বলে মনে করেন তিনি। যাতে তা পরিচালনার সুযোগ পান দক্ষ পেশাদারেরা। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কর্পোরেট সংস্থাকে শুধু সামাজিক প্রকল্পে নির্দিষ্ট অনুপাতে টাকা দেওয়ার কথা না-বলে, তাদেরও এমন তহবিল গড়তে বাধ্য করা উচিত।

ভারত-সহ সারা বিশ্বে ধনবৈষম্য যে ভাবে বাড়ছে, তা রীতিমতো লজ্জাজনক বলে মনে করেন ইউনূস। তাঁর মতে, তা দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে মস্ত বাধা। নোবেলজয়ীর মতে, সকলে বড় সংস্থায় কাজের জন্য না দৌড়ে সংস্থা তৈরির চেষ্টা করলে, তবেই কিছুটা কমতে পারে এই সমস্যা।

বিশ্ব জুড়ে দূষণের প্রকোপ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে এখনও সাবধান না-হলে, বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশ আগামী কয়েক দশকে সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা ইউনূসের।

অন্য বিষয়গুলি:

Muhammad Yunus Investment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy