ঋণে জেরবার হয়ে নিউ ইয়র্কের আদালতে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করল সেই উইওয়ার্ক। ছবি: সংগৃহীত।
গত ২০১০ সালে নিউ ইয়র্কে অ্যাডাম নিউম্যানের হাত ধরে যাত্রা শুরুর পরে উত্থান হয়েছিল কার্যত রকেট গতিতে। ঋণে জেরবার হয়ে নিউ ইয়র্কের আদালতে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করল সেই উইওয়ার্ক। বিভিন্ন সংস্থাকে অফিসের জায়গা ভাড়া দেয় যারা। ভারতেও ব্যবসা করে সংস্থা। তবে এখানে যৌথ উদ্যোগের সিংহভাগ মালিকানা এমব্যাসি গোষ্ঠীর। তারা জানিয়েছে, এ দেশে দেউলিয়া ঘোষণার প্রভাব পড়বে না। উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুতে আমেরিকায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক এবং সিগ্নেচার ব্যাঙ্কও বন্ধ হয়েছিল আর্থিক সঙ্কটে ভুগে।
অল্প সময়ে বিশ্ব জুড়ে ব্যবসা ছড়িয়েছিল উইওয়ার্ক, গত জুনের হিসাবে ৩৯টি দেশের ৭৭৭টি জায়গায়। এক সময়ে আমেরিকার অন্যতম সফল এবং সর্বাধিক মূল্যের স্টার্ট-আপ সংস্থার তকমাও পায়। বাজারদর হয় ৪৭০০ কোটি ডলার (প্রায় ৩.৯ লক্ষ কোটি টাকা)। পুঁজি ঢালে জাপানের সফটব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন লগ্নিকারী সংস্থা। এখন ঋণ কমিয়ে হিসাবের খাতা পরিষ্কার এবং সংস্থা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে উইওয়ার্ক। তবে সংস্থারও দাবি, আমেরিকা ও কানাডার বাইরের কেন্দ্রগুলি এই প্রক্রিয়ার আওতায় পড়বে না।
আমেরিকায় উইওয়ার্কের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল বহু দিন আগেই। তারা মুনাফার মুখ দেখছিল না। নিউম্যানের বিপুল খরচ ও তাঁর ব্যবহার সমালোচনার মুখে পড়ে। ২০১৯ সালে বাজারে প্রথম বার শেয়ার ছেড়ে টাকা তোলার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। তার পরেই ধাক্কা দেয় কোভিড। কারণ, ঘরবন্দি মানুষ বাড়ি থেকে কাজ শুরু করেন। উধাও হয় অফিসের জায়গার চাহিদা। ২০২১-এ বাজারে নথিভুক্ত হলেও, আর্থিক ক্ষতি সামলে উঠতে পারেনি সংস্থা। চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৬৯.৬ কোটি ডলার লোকসান করেছে। অগস্টেই জানিয়েছিল, ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
ভারতে এমব্যাসির সঙ্গে জোটে ৫০টি জায়গায় কেন্দ্র খুলেছে উইওয়ার্ক। ভারতীয় শাখার সিইও করণ ভিরওয়ানি দাবি, ভারতীয় ব্যবসা লাভজনক। এটি সম্পূর্ণ আলাদা সংস্থাও। ফলে চিন্তা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy