Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Paper Factory

Andrew Yule: বন্ধ হচ্ছে অ্যান্ড্রু ইয়ুলের শাখা

এক সময়ে বিআইএফআরে যাওয়া অ্যান্ড্রু ইয়ুল ক’বছর আগে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। দেয় শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড-ও।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ০৬:৩৮
Share: Save:

রাজ্যে বন্ধের মুখে আরও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শাখা। কলকাতার শিল্প ক্ষেত্রে অন্যতম অগ্রণী ও দেড়শো বছরেরও প্রাচীন অ্যান্ড্রু ইয়ুল পশ্চিমবঙ্গে তাদের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির ব্যবসা গোটাচ্ছে। পর্ষদের সায় মিলেছে। আপাতত কেন্দ্রের অনুমতির অপেক্ষা বলে সম্প্রতি এক্সচেঞ্জগুলিকে জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্রের খবর, সায় পেলে মাস তিনেক লাগবে বন্ধের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে।

ক’বছর ধরেই কলকাতায় সদর দফতর বা রাজ্যে অস্তিত্ব রয়েছে এমন অনেক সরকারি-বেসরকারি সংস্থা হয় পুরো ব্যবসা গুটিয়েছে বা শাখা সরিয়েছে। তার মধ্যে সাম্প্রতিককালে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের সংযুক্তির ফলে দ্বিতীয়টির সদর দফতর সরেছে মুম্বইয়ে। সরানো হয়েছে দুর্গাপুর-বার্নপুরে সেলের কারখানার কাঁচামাল সরবরাহকারী বিভাগও। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে মাস খানেক আগে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রীকে চিঠি দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র-সহ অন্যেরা। এরই মধ্যে এ বার সামনে এল মাঝেরহাট ও ময়ূরভঞ্জ এলাকায় অ্যান্ড্রু ইয়ুলের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দু’টি কারখানা গোটানোর প্রস্তাব।

এক সময়ে বিআইএফআরে যাওয়া অ্যান্ড্রু ইয়ুল ক’বছর আগে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। দেয় শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড-ও। সংস্থাটির মূল ব্যবসা চা। রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাও। সূত্রের খবর, আশির দশকে দুর্বল ব্রেন্টফোর্ড ইলেকট্রিককে অ্যান্ড্রু ইয়ুলের সঙ্গে মেশানোর পরে সেটিই তাদের বৈদ্যুতিক শাখায় পরিণত হয়। কলকাতার পাশাপাশি চেন্নাইয়েও কারখানা রয়েছে। কলকাতার দু’টি কারখানায় কর্মী ১৬১ জন।

সূত্র জানাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই লোকসানে চলেছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবসা। কিছুটা আধুনিকরণ করা হলেও পুরো খোলনলচে বদলানোর জন্য যে পুঁজি জরুরি, তা সংস্থার ছিল না। লোকসানে চলা ব্যবসার ভরসা ছিল ভর্তুকিই। উপরন্তু তারা যে পণ্য তৈরি করে, এখন প্রযুক্তিগত ভাবে তা পিছিয়ে পড়েছে। তাই ক’বছর ধরেই শাখা গোটানোর জন্য সায় দিয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইছিল পর্ষদ। শেষ পর্যন্ত সত্যিই ব্যবসা গোটালে কর্মীদের বকেয়া পেতে যাতে সমস্যা না-হয় সে জন্য নিজেদের ভাঁড়ার থেকেই তা মেটানো হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তবে সোমবার শাখা বন্ধ নিয়ে তাদের বক্তব্য মেলেনি।

এ দিন সিটুর কলকাতা জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবাঞ্জন চক্রবর্তীর দাবি, বৈদ্যুতিক পণ্যের বাজারের টিকে থাকতে কারখানায় যে লগ্নি ও আধুনিকীকরণের দরকার ছিল, তা করা হয়নি। উল্টে কিছু কাজ আউটসোর্স করা হচ্ছে। কারখানা বন্ধে আপত্তি জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। তিনি জানান, ১৯ জুলাই সিটু-সহ তিনটি ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা
জানিয়েছে সংস্থা।

অন্য বিষয়গুলি:

Paper Factory Business Heritage Buildings
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy