—প্রতীকী চিত্র।
মহিলা আয়করদাতার নিরিখে দেশে প্রথম সারিতে ঠাঁই পেল পশ্চিমবঙ্গ। রয়েছে কেরল ও তামিলনাড়ুর পরেই, তৃতীয় স্থানে। তবে সামগ্রিক ভাবে আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচে নেই রাজ্য। সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্কের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই ছবি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত অর্থবর্ষে ভারতে মহিলা করদাতার অংশীদারিত্বের বিচারে প্রথম সারিতে রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশ। কেরলে মোট আয়করদাতার ২২%-২৬% মহিলা। তামিলনাড়ুতে ২১%-২৫%। তার পরেই ১৬%-১৯% নিয়ে বাংলা ও পঞ্জাব। অন্ধ্রপ্রদেশে তা ১৫%-১৯%।
যদিও রিপোর্ট বলছে, সামগ্রিক ভাবে আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম সাত-আটটা রাজ্যের মধ্যে নেই। এই নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটির প্রায় দেড় কোটি মানুষ কর দেন। তার পরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান ও তামিলনাড়ু।
স্টেট ব্যাঙ্কের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষ জানান, মহিলা আয়করদাতার অংশীদারিত্বের প্রশ্নে বাংলা-সহ বাকি রাজ্যগুলির অগ্রগতি প্রশংসনীয়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশের মোট আয়করদাতার ১৫% মহিলা। কিন্তু কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গনায় কর প্রদানকারী মহিলাদের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। তাঁর দাবি, ‘‘এতে প্রমাণ হচ্ছে এই রাজ্যগুলিতে মহিলাদের আর্থিক অবস্থা বেশ মজবুত।’’ সর্বশেষ তথ্য বলছে, এ রাজ্যে মোট করদাতা প্রায় ৫০ লক্ষ। ফলে ব্যাঙ্কের দাবি অনুযায়ী, মহিলা করদাতা প্রায় ১০ লক্ষ।
আর্থিক উপদেষ্টা নীলাঞ্জন দে বলেন, “এই তথ্য তুলে ধরে রাজ্যের মহিলারা আর্থিক ভাবে স্বাধীন হচ্ছেন। তাঁদের হাতে অর্থ রয়েছে। শুধু আয়কর দেওয়া নয়, স্বনির্ভর হওয়া এবং লগ্নির ক্ষেত্রেও পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে।” তিনি জানান, ১০ জন মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ারে লগ্নি করলে সাত জনই মহিলা। তাঁরাই আয়কর দিচ্ছেন। বাংলায় এই প্রবণতা আগে ছিল না।
আয়কর বিশেষজ্ঞ সনাতন বণিক বলেন, “মহিলাদের মধ্যে কর জমা ক্রমশ বাড়ছে। অভিজ্ঞতা বলে, মোট করদাতার ২০% মহিলা। শেষ পাঁচ বছরে সংখ্যাটা অনেকটা বেড়েছে।”
অন্য দিকে ব্যাঙ্কের সমীক্ষায় প্রকাশ, দেশে গত অর্থবর্ষে আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে ৮.৬ কোটির বেশি। যা এ বছর ৯ কোটি পেরিয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy