—প্রতীকী ছবি।
নীতি রয়েছে। সম্ভাবনাও বিস্তর। কিন্তু সেই অনুযায়ী রফতানি বৃদ্ধির জন্য পশ্চিমবঙ্গে তাকে ঠিক মতো কাজে লাগানো হচ্ছে না বলে দাবি করলেন রফতানিকারীদের বড় অংশ। তাঁদের বার্তা, বিশ্ব বাজারের সঙ্কটে দেশের রফতানি বাণিজ্য বেশ কিছু দিন ধরে কমছে। এই পরিস্থিতিতে এখানকার সংস্থাগুলির পাশে দাঁড়াতে অবিলম্বে রাজ্য সরকারের এগিয়ে আসা দরকার। সেই সহযোগিতা পেলে কয়েক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকে রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, এঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, লৌহ আকর, ইস্পাত, গয়না এবং দামি পাথর, সামুদ্রিক পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, চাল, গম, পেট্রোলজাত পণ্য, চা, জামা কাপড়, পাটজাত পণ্য এবং হাতের কাজের সামগ্রী।
রফতানিকারীদের সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্টস অর্গানাইজ়েশন্সের (ফিও) মতে, রাজ্যে রফতানি বৃদ্ধির পথে বাধাগুলি দূর করতে এক দিকে কিছু ক্ষেত্রে নীতি প্রণয়ন জরুরি। অন্য দিকে বিশেষ করে সড়ক পরিকাঠামোর উন্নতির কাজ দ্রুত সারা প্রয়োজন। রাজ্য থেকে বিমানে রফতানির সুযোগও বাড়াতে হবে। বর্তমানে ভারতের মোট রফতানি বাণিজ্যের মাত্র ২.৮৫% হয় এই রাজ্য থেকে। সরকার উদ্যোগী হলে তা দ্বিগুণ হতে পারে বলেও মনেকরছে ফিও।
পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য, যারা ২০০৩ সালে রফতানি নীতি প্রণয়ন করেছিল। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে এখানে দ্রুত একটি পণ্য পরিবহণ ও মজুত পরিচালনার (লজিস্টিকস) নীতির পক্ষে সওয়াল করেছেন ফিও-র ডিরেক্টর জেনারেল এবং সিইও অজয় সহায়। তিনি বলেন, “রফতানি বাড়িয়ে রাজ্যের অর্থনীতিতে গতি আনা সম্ভব। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক অবস্থান যেহেতু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য সুবিধাজনক। যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকার-সহ সকলেই ‘পূবে তাকাও’ নীতি নিয়ে সরব হচ্ছে। ব্যবসা বিস্তারে সংস্থাগুলি এ রাজ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর সুযোগ নিয়ে এখান থেকে রফতানি বাড়ানোর দিকে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের বিশেষ নজরদেওয়া জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy