শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরেই স্থিতিশীলতার বার্তা দিলেন শশী পাঁজা। ফাইল চিত্র।
লগ্নির আগে কোনও রাজ্য কতটা স্থিতিশীল, তা যাচাই করে সংস্থাগুলি। স্বল্প মেয়াদে সরকারি নীতির ফারাক হচ্ছে কি না, নজর থাকে সে দিকেও। কারণ তা দ্রুত বদলালে ধাক্কা খায় বাজার ও লগ্নির পরিকল্পনা। সদ্য রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে সেই স্থিতিশীলতার বার্তাই দিলেন শশী পাঁজা। লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করতে শনিবার সিআইআইয়ের সভায় দাবি করলেন, টানা তিন বার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। প্রতিবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সবই স্থিতিশীলতার প্রতীক। তবে পাঁজার অভিযোগ, কেউ কেউ রাজ্যের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা চেষ্টা করছে। শিল্প মহল যেন তাতে কান না-দেয়।
পূর্ব-ভারতে লগ্নির সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা সম্মেলন করছে সিআইআই। শনিবার ছিল পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আলোচনা। ১২-১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় পূর্বাঞ্চলের সম্মেলন হবে।
এ দিন তাঁদের আমলে রাজ্যের অগ্রগতির দিকগুলি তুলে ধরে পাঁজা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহজে পৌঁছনো যায় এবং তিনি খোলা মনে সব ভাবনাকেই গুরুত্ব দেন। তবে সম্প্রতি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শিল্পের পথে বাধা কি না, জল্পনা চলছে তা নিয়ে। সভায় ও পরে শিল্পমন্ত্রীর অভিযোগ, একাংশ রাজনৈতিক ভাবে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘সব মিথ্যা। আলাদা ভাবে তার মোকাবিলা করব।’’ কারা তা করছে, সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘সবাই জানেন। আলাদা করে ব্যাখ্যা করতে হবে না। দেখানো হচ্ছে যে এখানে অস্থিরতা রয়েছে। আদৌ তা নেই। বাংলার ভাবমূর্তি ভাল। যে কাজ করছি, তাতে বিব্রত নই। কিন্তু যাঁরা কালিমালিপ্ত করতে চাইছে, কাজ হবে না।’’ শিল্প মহল যাতে তাতে কান না দেয়, সেই বার্তা দিয়ে শশী বলেন, ‘‘আপনারা ময়দানে নেমে কাজ করেন। বাস্তবটা জানেন।’’
পূর্বাঞ্চলে সিআইআইয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান শিব সিদ্ধান্ত কল এখানের উন্নয়নে নির্দিষ্ট নীতির উপরে জোর দেন। পশ্চিমবঙ্গে বণিকসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত শর্মার দাবি, রাজ্যে ১১ বছরে ধর্মঘটের জেরে শ্রম দিবস নষ্ট হয়নি, জল-বিদ্যুতের সমস্যা নেই। এ সবই স্থিতিশীলতার পরিচায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy