সম্প্রতি নীতি আয়োগ বলেছে দেশে ২০২৩ সালের মধ্যে সমস্ত তিন চাকা ও ২০২৫-এর মধ্যে সব দু’চাকা বৈদ্যুতিক হোক। বাজেটেও জোর দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে। ফলে পেট্রল-ডিজেলচালিত গাড়িগুলির ভবিতব্য প্রসঙ্গে মোদী সরকারের প্রথম দফায় নোটবন্দির সিদ্ধান্তের মিল পাচ্ছেন অনেকে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের অভিযোগ, সরকার এ বার দেশ জুড়ে ‘গাড়িবন্দি’ করতে চলেছে। আজ, বৃহস্পতিবার বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রসার নিয়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাতে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার খামতিগুলি তুলে ধরা হবে বলে বুধবার নবান্নে জানালেন অমিতবাবু।
তাঁর অভিযোগ, ‘‘নীতি আয়োগ চায় ২০২৫ সালের মধ্যে ট্রাক ছাড়া সব বাণিজ্যিক গাড়ি বৈদ্যুতিক হোক। তেল থেকে বিদ্যুতে কী ভাবে পরিবর্তন করা যায়, দু’সপ্তাহের মধ্যে সব গাড়ি সংস্থার থেকে সেই পরিকল্পনা চেয়েছে তারা।’’
কেন্দ্রীয় শিল্প দফতরের পরিবর্তে কেন নীতি আয়োগ এমন তাড়াহুড়ো করছে এবং আচমকা একদিনের নোটিসে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্স ডাকা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘ওই বৈঠকে অন্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রীও থাকবেন। পরিবেশ দূষণ রোখা নিয়ে আমরা একমত। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটা ধাপে ধাপে হওয়া প্রয়োজন। না হলে বহু মানুষ বিপদে পড়বেন।’’
বৈদ্যুতিকে জোর, কিন্তু...
• শহরের পথে ও হাইওয়েতে চার্জের ব্যবস্থা কই?
• প্রয়োজনীয় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির দাম আকাশছোঁয়া।
• এক বার চার্জের পরে কত ক্ষণ চলবে গাড়ি, খটকা আছে তা নিয়ে।
• সাপ্লাই-চেনের অভাব এতটাই যে, তা তৈরিতে এক দশক গড়াবে।
• ভারতে এই গাড়ির জন্য গবেষণা ও উন্নয়নের সুবিধাও যথেষ্ট নয়।
• যে পরিবেশ বাঁচাতে কেন্দ্র দ্রুত এই গাড়ি আনতে চায়,
পরিকল্পনাহীন ভাবে সেটি বাস্তবায়িত হলে, তা আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
অর্থমন্ত্রীর তথ্য, দেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উন্নয়নে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা ঢেলেছে গাড়ি সংস্থাগুলি। ৩৩% মানুষই দু’চাকা ব্যবহার করেন। বহু মানুষ ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন। অনেক বছর ধরে তা শোধ হয়। এখন ২০২৫ সাল থেকে তেলচালিত গাড়ি বাতিল হলে অনেকে বিপদে পড়পবেন। কারণ, ঋণ শোধ করতেই হবে। আবার পুরনো তেলের গাড়িও বিক্রি হবে না। অথচ বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে হবে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy