বেশ কয়েক মাস পাতার দাম কমায় ভুগেছেন চা শিল্পোদ্যোগীরা। ফাইল ছবি।
মাঘেও বৃষ্টি হল না। ফলে উত্তরের বাগানে চায়ের মান মার খাওয়ার সিঁদুরে মেঘ দেখা দিয়েছে এর মধ্যেই। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাজ্য বাজেটে নতুন কর না চাপিয়ে কৃষিতে আয়কর ছাড় বজায় রাখা এবং আগামী দু’টি অর্থবর্ষের জন্য কাঁচা চা পাতার উপরে বসা দু’ধরনের সেস (গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও শিক্ষা) প্রত্যাহার কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের। সে কথা মেনেও চা শিল্পের এক কর্তার বক্তব্য, “কেন্দ্র ও রাজ্য— কারও বাজেটেই এই ক্ষেত্রের জন্য অভিনব বা ব্যতিক্রমী কোনও ঘোষণা শুনতে পেলাম না, এটা আক্ষেপের।” চা পর্ষদের সদস্য পুরজিৎ বক্সীগুপ্ত অবশ্য বলেন, “দুই সিদ্ধান্তেরই প্রশংসা করতে হবে। চা শিল্প উপকৃত হবে।”
গত অর্থবর্ষের বেশ কয়েক মাস পাতার দাম কমায় ভুগেছেন চা শিল্পোদ্যোগীরা। বছরের শেষ দিকে বাজার খানিকটা চাঙ্গা হয়। তবে মাঘ মাস পেরিয়ে গেলেও বৃষ্টি না পেয়ে চিন্তিত বাগান। এর ফলে রোগ-পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। তাতে প্রথম ‘ফ্লাশ’-এর মান নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে। প্রথম ‘ফ্লাশ’-এর দাম ঠিকঠাক না পেলে বছরের গোড়াতেই ধাক্কা খাবে বাগানের অর্থনীতি।
‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর চেয়ারম্যান নয়নতারা পালচৌধুরী বলেন, “এই অবস্থায় কৃষি আয়কর ছাড়, সেস ছাড়ের মেয়াদ আরও দু’বছর বাড়ানোর প্রস্তাব স্বাগত। কৃষিভিত্তিকবনসৃজনে জোর দেওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের বিষয়টির গুরুত্ব পাবে।’’
গ্রামীণ স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আরও সাহায্য ও উৎসাহের যে প্রস্তাব আছেবাজেটে, তার প্রভাবও চা বাগানের উপরে পড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টমহলের। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন ‘সিস্টা’-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে ছোট বাগান ও কারখানা চলে। গোষ্ঠী উৎসাহ পেলে, ছোট চা চাষিদের জন্য সেটি সুখবর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy