Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Viral video

এ যেন কল্পবিজ্ঞানের মহাকাশ যান, প্রকাশ্যে এল মার্সেডিজের চোখ ধাঁধানো কনসেপ্ট কার ‘অবতার’

আর গাড়ির প্রতিটি অংশে এলইডি-কে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে, যেগুলি দেখে একটি প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রের কথা মনে পড়বে। এমনকি গাড়ির পিছনের অংশ মাছের কানকোর মতো। ৩৩টি ঢাকনা দেওয়া ছিদ্র রয়েছে। যেগুলির ভিতর থেকে আলো দেখা যায়া।

মার্সেডিজ-বেঞ্জ ভিশন এভিটিআর। ছবি: মার্সেডিয়ের সাইট থেকে নেওয়া।

মার্সেডিজ-বেঞ্জ ভিশন এভিটিআর। ছবি: মার্সেডিয়ের সাইট থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
লাস ভেগাস শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৪৩
Share: Save:

সামনে দাঁড়িয়ে বাস্তবের কোনও গাড়ি দেখছেন, নাকি হলিউডের কল্পবিজ্ঞানের কোনও উড়ুক্কু যান দেখছেন, প্রথম দর্শনে ধন্দে পড়ে যাবেন। এমনই একটি গাড়ি সামনে আনল মার্সেডিজ-বেঞ্জ। সম্প্রতি আমেরিকার লাস ভেগাসে আত্মপ্রকাশ করল মার্সেডিজ-বেঞ্জের এই চোখ ধাঁধানো কনসেপ্ট কার। যা ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউড ফিল্ম অবতার-এর কনেসেপ্টে তৈরি করা হয়েছে। এই গাড়ি আমাদের গ্রহের উপর কোনও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করেছে কোম্পানি।

লাস ভেগাসে কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স শো ২০২০-তে প্রকাশ পেল ‘মার্সেডিজ-বেঞ্জ ভিশন এভিটিআর’। এই গাড়ি তৈরির জন্য, হলিউড ফিল্ম ডিরেক্টর জেম্স ক্যামেরন ও তাঁর লাইটস্টর্ম এন্টারটেনমেন্ট কোম্পানির সাহায্য নেয় মার্সেডিজ। গাড়িটির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে অবতারের কনসেপ্ট। ভিতরের এলইডি, ডিসপ্লের দৃশ্য, সব কিছু আপনাকে যেন নিয়ে যাবে প্যান্ডোরা-য় (অবতার ফিল্মের ‘নাভি’-দের বাসস্থান)।

গাড়িটিকে মেশিনের থেকে বেশি জীবন্ত প্রাণী বলে বর্ণনা করেছেন মার্সেডিজ বেঞ্জের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ওলা কে-লেনিআস। তাঁর ব্যাখ্যা, সামনে বা পিছন থেকে দেখলে গাড়িটিকে একটি কাঁকড়ার শরীরের মতো লাগবে। আর গাড়ির প্রতিটি অংশে এলইডি-কে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে, যেগুলি দেখে একটি প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রের কথা মনে পড়বে। এমনকি গাড়ির পিছনের অংশ মাছের কানকোর মতো ৩৩টি ঢাকনা দেওয়া ছিদ্র রয়েছে। যেগুলির ভিতর থেকে আলো দেখা যায়া।

গাড়িটিতে কোনও স্টিয়ারিং নেই। তারবদলে একটি এমন একটি সেন্সর রয়েছে, যাতে হাত রাখলেই চালককে চিনে নেবে গাড়িটি। ওই সেন্সরের হাত দিয়েই গোটা গাড়িটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই গাড়িটিকে রাস্তায় চালাতেও দেখা গেল। টুইটারে সে ভিডিয়ো পোস্টও করেছেন এক ইউজার। দুই আসন বিশিষ্ট গাড়িটির দরজা তৈরি হয়েছে কাচ দিয়ে। ফলে দরজা বন্ধ অবস্থাতেও ভিতর পুরো দেখা যায়।

দেখুন সেই ভিডিয়ো:

এই গাড়িতে সামনের ও পিছনের চাকাগুলি এমন ভাবে তৈরি হয়েছে, যে গাড়িটি পাশাপাশি ৩০ ডিগ্রি কোণেও নিয়ে যেতে পারবে। ফলে পার্কিং-এর সমস্যা কম হবে। চাকাগুলিতে লাগানো এলইডিগুলি নানান রঙের আলো ছড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: নতুনের কাছে ভালবাসা প্রমাণে প্রাক্তন বান্ধবীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা কিশোরের

এই গাড়িতে ব্যবহার হয়েছে ১১০ কিলোওয়াটের শক্তিশালী ব্যাটরি। যে ব্যটারি এমন উপাদানে তৈরি যে এটি কোনও দূষণ ছড়াবে না। এছাড়াও গাড়ির অন্যান্য অংশও পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না বলে দাবি করেছেন কম্পানির আধিকারিকরা।

মার্সেডিজের তরফে জানানো হয়েছে, এই কনসেপ্ট কার মানুষকে দেখাবে একটি গাড়ির নক্সা কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এই গাড়ি তৈরির মাধ্যমে দেখানো হয়েছে, প্রকৃতি ও প্রযুক্তির মধ্যে কী ভাবে ভারসাম্য রক্ষা করে চলা সম্ভব।

দেখুন সেই ভিডিয়ো:

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE