প্রতীকী ছবি
চলতি হারে রাজ্যগুলিকে জিএসটির ভাগ দেওয়ার অবস্থায় নেই কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সংসদের অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ কথাই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে। এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্রে। ওই কমিটির মাথায় রয়েছেন বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিংহ।
‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রের মতে, ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা দুই সদস্য কেন্দ্রীয় অর্থ সচিবের ওই মন্তব্যের কথা মেনে নিয়েছেন। ওই সূত্রের মতে, করোনা অতিমারির জেরে কর আদায় কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এ কথা বলেন অজয়ভূষণ। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্যগুলিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হবে না? ওই দিনের বৈঠকে এ প্রশ্নও উঠে আসে। সূত্রের মতে, তখন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব বলেন, যদি কর আদায় একটা স্তরের নীচে নেমে যায়, তা হলে রাজ্যকে যে ফরমুলায় জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে তা বদলানোর সংস্থানও ওই আইনে রয়েছে।
সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছিল, জিএসটি বাবদ ২০১৯-২০ সালের সর্বশেষ কিস্তি তারা রাজ্যগুলিকে পাঠিয়ে দিয়েছে। তার পরিমাণ মোট ১৩ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা। কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে জিএসটির ভাগ কোন ফরমুলায় হবে তা নিয়ে জুলাইতেই বৈঠকে বসার কথাও ছিল জিএসটি পরিষদের। কিন্তু সেই বৈঠক এখনও হয়ে ওঠেনি।
আরও পড়ুন: রাজস্থান: ‘২১ দিনের নোটিস প্রয়োজন’, গহলৌতের প্রস্তাব ফেরালেন রাজ্যপাল
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়া থেকে আনলক পর্যন্ত — এই পর্বে গত কাল প্রথম বার বৈঠকে বসেছিল সংসদের ওই স্থায়ী কমিটি। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে দেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত আলোচনা প্রাধ্যান্য পায়নি। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওই কমিটিতে থাকা বিরোধী দলের সদস্যরা। সূত্র মতে, কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি, অম্বিকা সোনি, গৌরব গগৈ, এনসিপি সাংসদ প্রফুল্ল পটেল দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনার দাবি তোলেন।
আরও পড়ুন: চিনের ঝুঁকি ট্রাম্পের মুলুকেও
খোদ কেন্দ্রীয় অর্থসচিবের এই মন্তব্য সামনে আসার পর থেকেই মোদী সরকারকে নিশানা করে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy