প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে রাজ্যে কমছে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। বাড়ছে আর্থিক কর্মকাণ্ড। কিন্তু কর্মসংস্থানের ছবিতে তার প্রতিফলন কম। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র রিপোর্টে পরিষ্কার, গ্রাম ও সারা দেশে বেকারত্বের হার কিছুটা কমলেও, শহরে তা ফের ছাড়িয়েছে ১০%। যে পরিস্থিতি শেষ বার তৈরি হয়েছিল প্রায় দু’মাস আগে।
গত বছর মার্চে করোনার হানার পর থেকেই দেশে কাজের বাজার বিপর্যস্ত। বেকারত্ব ফের মাথাচাড়া দেয় এ বছর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে। ছাড়ায় দুই অঙ্ক। তবে স্থানীয় বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবস্থা পাল্টায়। ২০ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে শেষ বার শহরে বেকারত্ব ছিল ১০.৩%। কিন্তু সিএমআইই বলছে, ১৫ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে ওই হার ফের দুই অঙ্কের ঘরে ঢুকেছে। হয়েছে ১০.২৩%। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ।
বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় অর্থনীতির পালে বাতাস লাগতে শুরু করেছে বলে দাবি করছেন কেন্দ্রের মন্ত্রী এবং আধিকারিকেরা। সোমবার মূল্যায়ন সংস্থা নমুরা-ও জানিয়েছে, ১৫ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে আর্থিক কর্মকাণ্ড পৌঁছেছে অতিমারির আগের অবস্থায়। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তা হলে শহরে কাজের এই পরিস্থিতি কেন?
সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, করোনার প্রবল ঝড়ের সময়ে কর্মসংস্থান যেমন কমেছিল, তেমনই বহু মানুষ কাজ খোঁজাও বন্ধ রেখেছিলেন। এ বারে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়ায় কাজও খুঁজতে শুরু করেছেন অনেকে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। সিএমআইই-র রিপোর্টও জানাচ্ছে, করোনায় উৎপাদন ক্ষেত্রে কাজ তৈরির হার কমেছে। ফলে সব মিলিয়ে মাথা তুলেছে বেকারত্বের হার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy