ফাইল চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা
কৃষি বিলের মতো কেন্দ্রের নতুন শ্রম বিধি নিয়েও দীর্ঘ দিন বিতর্ক চলছে। সংসদে বিরোধী পক্ষের অনুপস্থিতিতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কার্যত বিনা বাধায় পাশ হয় সেই বিধি। কিন্তু রাজ্যে যাতে তা কার্যকর না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানাল বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। পাশাপাশি, ওই বিধির প্রতিবাদে আগামী ২৩ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। তাতে সংযুক্ত কিসান মোর্চাও শামিল হবে।
নয়া শ্রম বিধির বিরুদ্ধে জনমত গড়তে সম্প্রতি শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি, ট্রেড ইউনিয়ন সলিডারিটি সেন্টার এবং নাগরিক মঞ্চ এক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ওই আর্জি জানানো হয়। শ্রমিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, অতিমারির জন্য দেশ জুড়ে বড় মাপের আন্দোলন হয়নি। এ বার তা হবে।
নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত বলেন, ‘‘কেন্দ্র এমন ভাবে বিধিগুলি তৈরি করেছে যাতে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় শ্রমিক শ্রেণির উপকার হবে। কিন্তু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে কাজের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে মজুরি, সব ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হবেন শ্রমিকেরা। আগামী দিনে আইন পরিবর্তন করতে হলে সংসদের মাধ্যমে না গিয়ে যাতে আমলারাই তা করতে পারেন, সেই সংস্থানও রাখা হয়েছে।’’ ট্রেড ইউনিয়ন সলিডারিটি সেন্টারের সমীর পুততুণ্ড ও শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির কমল তিওয়ারির বক্তব্য, ‘‘শ্রম বিধি বাতিলে সরকারকে বাধ্য করতে হলে কৃষকদের ধাঁচে দেশ জুড়ে আন্দোলন করতে হবে। কৃষক আন্দোলনে যেমন ৫০০ সংগঠন যুক্ত হয়েছিল, তেমনই এই আন্দোলনেও ছোট-বড় সমস্ত শ্রমিক সংগঠনকে যুক্ত করতে হবে।’’
তবে রাজ্য নয়া শ্রম বিধি চালু না করলেও এ রাজ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলির কর্মীরা সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইএনটিটিইউসি সভাপতি তথা সাংসদ দোলা সেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ওই সব সংস্থায় প্রযোজ্য হবে না। তাই নয়া শ্রম বিধি কী ভাবে শ্রমিকদের স্বার্থ হানি করবে তা সকলকে বোঝানো জরুরি।’’ ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ জানান, তাঁরা ছাড়াও আইএনটিইউসি, সিটু, এআইটিইউসি, এআইইউটিইউইসির মতো শ্রমিক সংগঠন ধর্মঘটে শামিল হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy